• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    'মাশরাফি ভাই অ্যাটাক করবে, গেইল স্ট্রাইক দেবে'

    'মাশরাফি ভাই অ্যাটাক করবে, গেইল স্ট্রাইক দেবে'    

    আগের দিন ব্যাট হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলেছিলেন তিনে নেমে। আজ যখন সাতে নেমে, তখনও পরিস্থিতির দাবি ছিল একটা বিস্ফোরক ইনিংসের। শেষ ওভারে ছয় মেরে জয়টা এনে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর রংপুর সতীর্থ নাজমুল ইসলাম অপুও যেমন বললেন, কোচের পরিকল্পনার কথা ঠিকঠাক কাজে লাগাচ্ছে রংপুর। বিশেষ করে আগের দিনের পরিকল্পনার কথাই বললেন আলাদা করে।

    মাশরাফি শেষটা করলেও আজ রংপুরের নায়ক ছিলেন আসলে অপুই। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের স্কোরটা ২০০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেননি। কিন্ত ১৭৪ রানও কাগজে কলমে অনেক বড় স্কোর।আজকের ম্যাচে ম্যাককালাম নেমেছেন পরে, মাশরাফিও সরে গেছেন সাতে। সেই কারণও ব্যাখ্যা করলেন অপু, ‘গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কান পেরেরা ছিল। আজকে যেমন মাশরাফি ভাই ছিল। আসলে আলটিমেটলি আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে প্রথম দিকে অ্যাটাক করব এবং শেষ দিকে গিয়ে ঠিক করে নিব।’

     

     

    তবে আজকের চেয়েও আগের দিনের পরিকল্পনাটা আরও বেশি চমকপ্রদ ছিল। বিশেষ করে তিনে নেমে মাশরাফির ইনিংসটা বদলে দিয়েছিল সবকিছু। সেই পরিকল্পনাটাও ব্যাখ্যা করলেন অপু, ‘শেষ ম্যাচে ক্রিস গেইল যখন ব্যাটিং করছিল তখন মাশরাফি ভাই যায়। পরিকল্পনা ছিল মাশরাফি ভাই যতক্ষণ ক্রিজে থাকবে ততক্ষণ মাশরাফি ভাই অ্যাটাক করবে। ক্রিস গেইল স্ট্রাইক দিবে। কারণ ক্রিস গেইল যদি উইকেটে থাকে তাহলে প্রত্যেকটা বোলারের একটা চাপ থাকে যে কখন কি হবে কখন কি হবে। ওভাবেই পরিকল্পনা করছে। আর ভাই খুব ভালো টাচে আছে। হচ্ছে সব কিছু।’

    অপুর নিজের জন্যও এই ম্যাচ ছিল অনেক কিছু প্রমাণের।  চার ম্যাচ বসে থাকার পর আজ নেমেছিলেন মাঠে। এর মধ্যে যে কোচ টম মুডির সঙ্গে আলাদা করে কাজ করেছেন, তাও জানালেন, ‘এই বিপিএলে অনেক কিছুই শিখছি। কোচ নিজের হাতে কিছু কিছু কাজ করাচ্ছে। যেমন শেষ তিন ম্যাচের পর আমি চার ম্যাচ খেলিনি। কিন্তু সে আমাদের এক্সট্রা নিয়ে কাজ করছিল। বলছিল যে কিছু একটা আছে ওকে দিয়ে হবে। আমি সাইড ওয়াইজ বল করতাম। কিভাবে করতে হবে সেটা জানতাম না। কোচ বললো যে এই অ্যাঙ্গেলে করলে এটা হবে। ওভাবে করতে গিয়ে দেখলাম যে খুব ভালো। অ্যাঙ্গেলটা বদলেছে।'