• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ঢাকার বাধা পেরিয়ে প্লে অফে কুমিল্লা

    ঢাকার বাধা পেরিয়ে প্লে অফে কুমিল্লা    

    কুমিল্লা ১৬৭/৬, ২০ ওভার (স্যামুয়েলস ৩৯, তামিম ৩৭, কুপার ৩/৪২, সাকিব ২/২৩, নারাইন ০/১৫)
    ঢাকা ১৫৫/৮, ২০ ওভার (ডেনলি ৪৯, পোলার্ড ২৭, ব্রাভো ৩/৩১)
    ফল : কুমিল্লা ১২ রানে জয়ী 


    দুই দলেরই সুযোগ ছিল শীর্ষের ওঠার। চট্টগ্রামে বিপিএলের শেষ ম্যাচে ঢাকাকে আটকে দিয়ে সে সুযোগ নিল কুমিল্লা। লড়াইয়ের পুঁজি নিয়ে অসাধারণ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো তামিম ইকবালের কুমিল্লা। 

    ঢাকার ১৬৮ রানের রান-তাড়াটা শুরুতেই বাধা পেয়েছিল লিটন দাসের অসাধারণ উইকেটকিপিংয়ে। শোয়েব মালিকের বলটা মিস করেছিলেন এভিন লুইস, দারুণ ক্ষীপ্রতায় স্টাম্প ভেঙে দিলেন লিটন। একরকম জোর করেই নাদির শাহকে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে নিয়ে গেলেন, তৃতীয় আম্পায়ার যেন পরীক্ষা করলেন অনন্তকাল ধরে! এরপর দিলেন আউট, ঢাকার ছিটকে যাওয়া যেন শুরু হলো তখনোই। 

    একপ্রান্ত আগলে থাকলেন শুধু জো ডেনলি, তবে ৫ম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ১৩তম ওভারে ৪৯ রান করে সাইফউদ্দীনের বলে বোল্ড হলেন, ঢাকার অবস্থা সুবিধার না তখনও। সে চিত্র বদলালো না। মিডল অর্ডার কিছুই করতে পারলো না, এর মাঝে দুই রান-আউটে কুমিল্লা এগিয়ে গেল আরও। 

     

     

    সাকিব ব্রাভোর বলে ক্যাচ দিলেন তামিমকে, যিনি আগে আউট হয়েছিলেন সাকিবের বলেই। নারাইন ফিরতি ক্যাচ দিলেন ব্রাভোকেই। মোসাদ্দেক-পোলার্ডের জুটি ছিল, আশাও ছিল তাই ঢাকার। তবে ভুল বুঝাবুঝিতে রান-আউট মোসাদ্দেক, তিনি রানটা নিতে না চাইলেও একরকম জোর করেই নিতে চাইলেন পোলার্ড। নিজের উইকেট শেষ পর্যন্ত ‘বিলিয়ে’ দিলেন মোসাদ্দেক, তবে তার প্রতিদান দিতে পারলেন না পোলার্ড। একটা চার মারলেন শুধু, এরপর ক্যাচ দিলেন ব্রাভোর বলে, স্কয়ার লেগে। 

    এরপরই তামিম খেলোয়াড়সুলভ আচরণের দারুণ এক দৃষ্টান্ত দেখালেন। ব্রাভোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাঝপথেই আটকে গিয়েছিলেন কেভন কুপার, রান-আউটও হয়েছিলেন। তবে তামিম এগিয়ে গিয়ে কথা বলে ফিরিয়ে আনলেন কুপারকে, পরে তিনি ছয়ও মারলেন একটা। 

    হাসান আলির বলে টানা তিন চার মেরে শেষবারের মতো জহুরুল আশা দিলেন ঢাকাকে। তবে শেষ পর্যন্ত পারলেন না। শেষ ওভারে ২১ রানের পুঁজি নিয়ে কুমিল্লাকে ঠিকমতোই সীমা পার করিয়ে দিলেন সাইফউদ্দিন। 

    এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দারুণ কিছু সহজাত শট খেলা তামিম ছিলেন ছন্দে। বিপত্তি ঘটলো লেগস্টাম্পের ওপরে সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে। সোজা ক্যাচ দিলেন ডিপ স্কয়ার লেগে। টানা দুই ফিফটি করা তামিম এবার থামলেন ৩৭ রানে। তামিমের আউটে হতাশ হয়ে পড়লেন লিটনও, সাকিবকেই ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মারতে ফ্লাইট মিস করে হলেন স্টাম্পড। ৩০ বলে ৩৪ রান, লিটনের এ বিপিএলে সর্বোচ্চ স্কোর এটিই। 

    ইমরুল কায়েস পারলেন না ইনিংস বড় করতে। এ ম্যাচেই দলে আসা কেভন কুপারের অফকাটারে ক্যাচ দিলেন লং-লেগে। শুরুটা ধীরগতির হলেও মোহাম্মদ শহীদকে ছয় মেরে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন স্যামুয়েলস। সুনীল নারাইন ছাড়া স্যামুয়েলস সবাইকেই খেলেছেন আরামসেই, আউট হয়েছেন কুপারের বলেই। কুমিল্লার তখন শেষের দিকে স্কোর বাড়িয়ে নেওয়ার আশা। 

    সে আশাতে প্রথম ছেদ পড়েছে স্যামুয়েলসের পরের বলেই জস বাটলারও আউট হলে। শেষদিকে হাসান আলির এক ছয় ছাড়া শোয়েব মালিক-ডোয়াইন ব্রাভোরা তেমন কিছু করতে পারেননি। 

    উইকেট না পেলেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন নারাইন। ইমরুল কায়েস শুধু একটি ছয় মেরেছেন, তা বাদে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার। ইকোনমি রেট ৬-এর নিচে ছিল সাকিবেরও, ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ২৩ রান।