'এইতো সেদিন এখানে ছিলাম'
ত্রিদেশীয় সিরিজে দলগুলোর লুকানোর তেমন কিছু নেই বলেই মনে করছেন জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ হিথ স্ট্রিক। একসময় বাংলাদেশের বোলিং কোচ ছিলেন তিনি, ২০১৬ সালের মে মাসে চুক্তি নবায়ন না করে চলে গেছেন। শ্রীলঙ্কার কোচ আবার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়ার পর এটিই তার প্রথম সিরিজ। স্ট্রিক, হাথুরুসিংহে- দুইজনের সঙ্গেই কাজ করেছেন বাংলাদেশ দলের ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ। শুধু কোচরা না, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দুই দলের বেশ কিছু ক্রিকেটারই খেলেছেন বিপিএলেও।
‘এখনকার দিনে অনেক কোচই একটা দলের অংশ থাকে, প্রতিপক্ষ বনে যায়। চন্ডিকা ও খালেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। আমার মনে হয়, সবার জন্যই এটা দারুণ একটা চ্যালেঞ্জ হবে। আমরা কন্ডিশন জানি, ক্রিকেটারদেরও জানি। চন্ডিকাও জানে। আবার অনেক ক্রিকেটারই এখানে বিপিএল খেলে। খুব বেশি কিছু লুকানোর নেই এখন। ভাল পরিকল্পনা আর টেকনিক্যাল পরামর্শ নিয়ে মাঠে আসতে হবে, সেসব কার্যকর করতে হবে ভালভাবে।’
হাথুরুসিংহের চলে যাওয়াটাকে স্ট্রিক নিচ্ছেন খুব স্বাভাবিকভাবেই, ‘সবকিছুর পর চন্ডিকা একজন শ্রীলঙ্কান। নিজের দেশের কোচ হওয়া সবসময়ই বড় ব্যাপার। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশের কেউ অন্য কোথাও কাজ করার সময় এমন সুযোগ পেলে তারাও সেটা ছেড়ে দেওয়ার আগে দুইবার ভাবত। চন্ডিকা বাংলাদেশের জন্য দারুণ একটা কাজ করে গেছে, তার আমলে যে সাফল্য, সেটা ভুলে যাওয়া উচিৎ হবে না। পরিবার ছেড়ে দূরে থেকে কোচিং করানো সবসময়ই কঠিন কাজ। দেশের কোচ হওয়াটা সবসময়ই মর্যাদার, সবাই এটাই চায়।’
স্ট্রিকও সেই সুযোগটাই পেয়েছেন। তবে ভোলেননি বাংলাদেশকে। দায়িত্ব ছাড়ার পরও অনুসরণ করেছেন মাশরাফিদের, এখানে এসে ‘ঘরে ফেরা’র অনুভূতিই হচ্ছে, ‘ফিরে আসতে পেরে দারুণ লাগছে। ঘরের বাইরে আরেক ঘর। খুব বেশিদিন হয়নি, এখানে দুই বছর কাটিয়েছি। মনে হয় এইতো সেদিন আমি এখানেই ছিলাম!’
সব মিলিয়ে দারুণ একটি সিরিজ আশা করছেন। যে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে মানছেন ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই। আর সাম্প্রতিক সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে এখনও ‘সুদীর্ঘ পথ’ বলেই মত সাবেক এই অলরাউন্ডারের।