বন্ধু, কী খবর বল!
কবে, কখন
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, ত্রিদেশীয় সিরিজ
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা
প্রতিপক্ষ কি বন্ধু হয়? যদি হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু জিম্বাবুয়ে। অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলে। লাল জার্সির এই দলের সঙ্গেই বাংলাদেশে খেলেছে সবচেয়ে বেশি ৬৭টি ওয়ানডে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সে বন্ধুত্বে ‘ভাটা’ পড়েছে একটু। ২০১৫ সালে দুইদল শেষ খেলেছে ওয়ানডে, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অবশ্য জিম্বাবুয়ে খেলে গেছে শুধুই টি-টোয়েন্টি। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে কাল বন্ধুকে ‘পাশে পাচ্ছে’ বাংলাদেশ।
বন্ধুত্বের ব্যাপার-স্যাপার আছে আরও। জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ হিথ স্ট্রিক বাংলাদেশের বোলিং কোচ ছিলেন ২০১৫ সালে শেষবার জিম্বাবুয়ে খেলে যাওয়ার সময়ও। স্ট্রিক এখন প্রতিপক্ষ, খেলোয়াড়ি জীবনেও স্ট্রিকের বেশ প্রিয় প্রতিপক্ষই ছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের ক্যারিয়ার গড় ২৮ থেকে বেড়ে প্রায় ৫০ হয়ে যেতো, বোলিং গড় ২৯ থেকে নেমে আসতো ১৮-তে। স্ট্রিক তো ইতিহাস, গ্রায়েম ক্রেমার, সিকান্দার রাজারা কদিন আগেই খেলে গেছেন বিপিএল।
বন্ধুত্ব ছাড়াও দুই দলের মিল আছে শেষ সফর দিয়েও। বাংলাদেশ সব ফরম্যাট মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, আর জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল শুধু একটা টেস্ট খেলতে। তবে বিভীষিকা পেয়েছে দুই দলই, বাংলাদেশ হেরেছিল সব ফরম্যাটে, জিম্বাবুয়ে চারদিনের টেস্ট হেরেছিল দুই দিনেই।
তবে বাংলাদেশ খেলবে হোম কন্ডিশনে। জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশকে শেষবার হারিয়েছিল সেই ২০১০ সালে, ঢাকায়। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও শেষ আট ম্যাচে অপরাজিত বাংলাদেশ।
দুই পুরোনো ‘বন্ধু’-র মুখোমুখি লড়াইয়ে কি বদলাবে চিত্র? নাকি হোম কন্ডিশনের আধিপত্য বজায় রাখবে বাংলাদেশ?
রঙ্গমঞ্চ
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের কাল ৯৯তম ওয়ানডে। তবে এখানে শেষ ওয়ানডে হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ঢাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে, কুয়াশার কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচের সময়ও বদলানো হয়েছে আগেই। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, টসে জিতলে কী নেবেন, সেটা নিয়ে সন্দিহান এখনও। তবে উইকেটকে তার ‘ভাল’ই মনে হচ্ছে।
যাদের ওপর চোখ
মুস্তাফিজুর রহমান
চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ মিস করেছিলেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চার ম্যাচ বোলিং করে পেয়েছিলেন ১ উইকেট। ঘরের মাঠে দলে ফিরছেন মুস্তাফিজ, পারফরম্যান্সটা কেমন হবে এবার?
ব্রেন্ডন টেইলর
ভারতের সঙ্গে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি, হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। টেইলর বিদায় নিয়েছিলেন অশ্রুসজল হয়ে, কলপ্যাকে খেলতে যাবেন বলে জিম্বাবুয়ের হয়ে সেটাই ছিল তার ‘শেষ’ ম্যাচ। জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে আবার ফিরেছেন তিনি, তবে টেস্ট খেললেও খেলা হয়নি ওয়ানডে। বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ দিয়েই প্রত্যাবর্তন হচ্ছে তার।
একাদশ
সাকিব আল হাসান খেলবেন তিনে। ইমরুল কায়েস চোটের কারণে খেলতে পারবেন না। প্রায় তিন বছর পর দলে ফেরা ওপেনার এনামুলের খেলা মোটামুটি নিশ্চিতই।
সম্ভাব্য
তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, নাসির হোসেন/সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান/মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে দলে ফিরতে পারেন ব্রেন্ডন টেইলর, কাইল জারভিস, ক্রিস এমপোফু।
সম্ভাব্য
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, ক্রেইগ এরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, ম্যালকম ওয়ালার, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, গ্রায়েম ক্রেমার, কাইল জারভিস, ক্রিস এমপোফু, টেন্ডাই চাতারা।