বাকিদের কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন রুবেল
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ খেলিয়েছিল তিন পেসার। মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেনের সঙ্গে তাসকিন আহমেদ। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও তিন পেসারই ছিল বাংলাদেশ দলে। পার্থক্য বলতে, তাসকিনের জায়গায় খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় পেসার হিসেবে বোলিং করতে এসেছিলেন রুবেল, করেছেন ৫ ওভার। তবে রুবেলের বোলিংয়ের ভূমিকাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখছেন সহকারি কোচ রিচার্ড হ্যালসল।
‘তৃতীয় পেসার হিসেবে রুবেল দারুণ বোলিং করেছে। যখন ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি সেট হয়ে যায়, তখন তাকে তাদের অস্বস্তিতে ফেলার কাজটি করতে হয়। ডেথ ওভারে বোলিং করতে হয়। তৃতীয় পেসাররের কাজটা নির্দিষ্ট, রুবেলের দক্ষতা আছে সেটি করার। আক্রমণাত্মক কিছু বাউন্সার করেছে, এরপর তো শেষের দিকের ইয়র্কারগুলো।’
শেষের দিকের ইয়র্কার দিয়েই রুবেল পেয়েছেন সাফল্য। মন্থর উইকেটে এর আগে শর্ট বলে দেখিয়েছেন দক্ষতা। ৪৯তম ওভারে পরপর দুই বলে বোল্ড করেছেন টেনডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে। রুবেল প্রথম বোলিং করতে এসেছিলেন ২১তম ওভারে, এর মাঝে করেছেন তাই মাত্র ৪ ওভার। হ্যালসলের মতে, রুবেলের এই ব্যাপ্তিটাই কাজ সহজ করে দেয় বাকি বোলারদের, ‘আমাদের সাকিব, সানজামুল, নাসির আছে। (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ তো বোলিং-ই করেনি। আমরা সব দৃশ্যপটেই ভেবে দেখছি। তৃতীয় পেসার থাকলে যেটা হয়, অন্য বোলাররা একটা নির্দিষ্ট সময়ে বোলিং করতে পারে। এটা কিছুটা ছক মেলানোর মতো ব্যাপার।’
তবে মিরপুরের এমন উইকেটে কাজটা বরাবরই স্পিনারদের ওপরই বর্তায়। সাকিব গতকাল মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাঁহাতি স্পিনেই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সফলতা আসে বরাবর। তার নিজের সঙ্গে আরেকদিক থেকে বোলিং ওপেন করেছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। সানজামুলের কারণে দলে জায়গাই হচ্ছে না অফস্পিনার মেহেদি হাসানের।
বাঁহাতি স্পিনার হলেও যে কোনও ধরনের ব্যাটসম্যানের বিপক্ষেই সানজামুলের বোলিং করার ক্ষমতা আছে বলে মত হ্যালসলের, ‘মিরাজ যে খেলার জন্য অপেক্ষা করছে, ব্যাপারটা দারুণ। এরপর আপনি সানজামুলের বোলিং দেখবেন, বাঁহাতিদের বিপক্ষে সে বোলিং করতে পারে। অন্যদিকে আপনার বল টার্ন করে বলে আপনি ডানহাতি বা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বোলিং করতে পারবেন না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যদি আপনি অসাধারণ বোলার হন, তাহলে আপনি যে কোনও হাতের ব্যাটসম্যানকেই বোলিং করতে পারবেন। আমার মনে হয় আমরা ভাগ্যবান- যেভাবে দলের ম্যানেজমেন্ট ও অভিজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন- আমাদের মিরাজ বা সানজামুলের (যে কোনও একজনকে) খেলানোর বিলাসিতা আছে। ভিন্ন এক দিকে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে এখন আশির্বাদপুষ্টই বলা যায়।’