সাকিবেই আস্থা মাশরাফির
ওয়ানডে দলে সাকিবের ভূমিকা কী আদতে?
এই সিরিজে একটা ভূমিকা বদলে যাচ্ছে, সাকিব ব্যাট করছেন তিন নম্বরে। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় পাঁচেই খেলেছেন, তবে তিন নম্বরে ‘দৃঢ়’ এক ব্যাটসম্যানে অভাব পূরণ করতেই সাকিবের এই উঠে আসা। সাকিব যদি সেখানে আপাতত ব্যর্থও হন, তবুও তিনি সাকিব বলেই ফিরে আসতে পারবেন দারুণভাবে। মাশরাফি বিন মুর্তজার বিশ্বাস এমনই।
‘সাকিবকে তিনে ব্যাটিং করানোর পিছে আমার যুক্তিটা এটাই যে, গত তিন-চার বছরে অনেক ক্রিকেটারকেই বদল করা হয়েছে। সাকিব গত ১০-১২ বছর ধরে পারফরম্যান্স করেছে। আমি নিশ্চিত যে ওর চেয়ে বেশি ওর পারফরম্যান্স নিয়ে ‘চিন্তিত’ আর কেউ হবে না। ও যদি একটা দুইটা তিনটা ম্যাচে ব্যর্থও হয়, আমি নিশ্চিত ওই একমাত্র খেলোয়াড় যে ফিরে আসতে পারবে। কারণ তার নিজস্ব একটা ভাবমূর্তি বিশ্বক্রিকেটে আছে। তাই, সে নিজের প্রতি সন্দিহান থাকার চেয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা বেশি করবে।’
টপ অর্ডারে সাকিব ছাড়াও তামিম ইকবাল, এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ আছেন। এদের কেউ ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারলেই যে কোনও উইকেটে জয়ের কাছাকাছি চলে যেতে পারবেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন আছেন। তবে চিন্তা বলতে ৭-৮ নাম্বার ব্যাটিং পজিশনেই।
শ্রীলঙ্কায় এমন জায়গায় খেলেছেন থিসারা পেরেরা। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচটা তো প্রায়ই বের করেই নিয়ে গিয়েছিলেন একা হাতে। দলে যারা অলরাউন্ডার আছেন, তাদের জন্য এ জায়গায় তেমন কিছু করার এটা একটা ভাল সুযোগ বলে মনে করেন মাশরাফি। এবং এই ‘উন্মুক্ত’ জায়গাটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তিনি।
তবে একজন পেরেরা বা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের মতো পেস-অলরাউন্ডার যদি থাকতো বাংলাদেশে? তেমন কারও অভাব কি বোধ করেন না তিনি?
‘বিশেষত আমরা ওয়ানডে টি-টোয়েন্টিতে এমন ক্রিকেটারই খুঁজছি। আমাদের নতুন একজন দুইজন কিছু খেলোয়াড় এসেছে। সাইফউদ্দিন এসেছে, আবুল হাসান রাজু অনেক দিন পর দলে এসেছে। ওদের সে সামর্থ্য আছে। আত্মবিশ্বাস- আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা যদি এটা করতে পারে, আমি বিশ্বাস করি ওদের এ সামর্থ্য আছে। এটা এমন না যে একদিনে হয়ে যাবে। এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপগুলো নিতে নিতে এই মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা হবে।’
আপাতত অবশ্য সাকিবকেই মানিয়ে নিতে হবে তিন নাম্বার পজিশনে।