'এই প্রতিযোগিতা দলের জন্যই ভাল'
মিরপুরে আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য মাইলফলকের। এনামুল হক ও সাব্বির রহমান ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের ১০০০ রানের মাইলফলক, মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৫০তম ওয়ানডে, সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পূর্ণ হলো ১০ হাজার রান, আর তামিমের ১১ হাজার।
সাকিব জানতেন না। সংবাদ সম্মেলনে তাকে বলা হলে প্রথমে প্রতিক্রিয়া জানালেন সাকিব-সুলভ, ‘তাই নাকি! আলহামদুল্লিাহ! দেখুন এমন একেকটা ল্যান্ডমার্ক ছুঁতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগে। চেষ্টা থাকবে আরও যতবেশি করতে পারি। সব সময় হয় না। আবার সব সময় হবেও না, সেটাও নয়। এখন ভালো হচ্ছে। চেষ্টা থাকতে আরও কত দ্রুত মাইলফলকগুলো ছোঁয়া যায়।’
এই মাইলফলকের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই তামিম ইকবালের সঙ্গে একটা ‘প্রতিযোগিতা’ আছে সাকিবের। দলের জন্য এই ‘সুস্থ’ প্রতিযোগিতাটা জরুরী বলে মানছেন সাকিব, ‘এই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাটা আমার কাছে মনে হয় খুব জরুরি। সবার তো সবার প্রতি অবশ্যই একটা প্রত্যাশা থাকে। নিজের সঙ্গে নিজের একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এমন প্রতিযোগিতা দলের জন্য অনেক ভালো’।
‘আমরা হয়তো তিন চারজন আছি খুব কাছাকাছি রানের দিক থেকে। প্রতি ম্যাচেই আমাদের চিন্তা থাকে কার থেকে কে বেশি রান করবে। চিন্তাটা এমন নয় যে কেউ আউট হয়ে যাক। যে যত বেশি করবে, তার চেয়ে বেশি করতে পারাটা আলাদা একটা স্বস্তির ব্যাপার। আমরা যারা আছি, এটা খুব ভালো ভাবে অনুভব করি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের তিনজনের এই প্রতিযোগিতাটা খুব ভালো। এইটা যত বেশিদিন চলতে থাকবে, আমাদের দল তত ভালো খেলতে থাকবে।’
সাকিবের কথার এই তিনজনের অন্যজন মুশফিকুর রহিম। আজকের ম্যাচের পর সব মিলিয়ে মুশফিকের রান ৮৯০৯, ওয়ানডেতে ৪৬৫২। নিজের মাইলফলকের কথা না জানলেও সাকিবের এই ধারণাটুকু আছে, ‘মুশফিক ভাইয়েরও তো প্রায় ৫ হাজারের মতো রান। আর আশে পাশে নেই মনে হয় কেউ।’
১০ হাজার রানের এই মাইলফলক ছুঁতে সাকিবের লাগলো ১২ বছর, তামিমের লেগেছিল ১০ বছর। সাকিবের কেন বেশি লাগলো, এ প্রশ্নের জবাবটা দিতে চাইলেন ‘ভালভাবে’, ‘ভালোভাবেই উত্তরটা দেই। স্বাভাবিক ভাবে একজন ওপেনার যেমন রান করতে, নাম্বার ৫-৬ সেটা করতে পারবে না।’
সাকিবের কাছে এটাই ‘ভাল’ উত্তর। তবে নতুন এই তিন নম্বর জায়গাটা রান করার ক্ষেত্রে তাকে বাড়তি সুযোগই দিবে বলে মনে করেন তিনি, ‘ব্যালেন্স হচ্ছে কিনা, এটা এখনই বলা সম্ভব না। আমাদের ব্যাটিংটা আরও অনেক বেশি দৃঢ় হবে এখন। আমাদের মধ্যে যে স্বাস্থ্যকর একটা প্রতিযোগিতা সব সময় কাজ করে, সেটা আরও ভালো হবে। আমরা সবসময়ই দলের মধ্যে ইতিবাচকভাবে আলোচনা করি।’