তামিমের 'আরেকটি সুযোগ'
৮০-৮৪, এই রানসীমায় তামিম ইকবাল ওয়ানডেতে থেমেছেন বা থামতে বাধ্য হয়েছেন তিনবার। এর মধ্যে একবার অপরাজিত, এই ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। পরের ম্যাচেই সেই ৮৪-তেই থামলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আকিলা দনঞ্জয়ার বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে। সেঞ্চুরি উঁকি দিয়েও তাই মিলিয়ে গেছে, তবে এটা মাথায় রেখে তামিম নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে রাজি নন। বরং উইকেট ছুড়ে আসেননি বলেই খুশি তিনি।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা শুরু করেছিলেন ধীরগতিতে। ৭২ বলে ফিফটি করেছিলেন, তবে সেটা পুষিয়ে নিয়েছেন পরে। পরের ৩৪ রান করতে তামিম খেলেছেন মাত্র ৩০ বল। তামিম বলছেন, সবকিছুই ছিল তার পরিকল্পনামাফিকই, ‘আমার কাছে ওই ইনিংসের সবচেয়ে যেটা ভাল লেগেছে, আমি উইকেট ছুড়ে আসিনি। আমি আমার নিজের সময় আসার অপেক্ষা করছিলাম। এক বোলারকে লক্ষ্য করে এরপর খেলেছি। আমার মনে হয়, আমার ইনিংসের গতিটা বেশ ভালই ছিল।’
‘এরপর আবার যখন নিয়ন্ত্রণের দরকার হলো, আমি সেভাবেই খেলেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটা ভাল বল এসে গেছে, কিছু বলার নেই।’
তবে তামিমের বলার আছে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট দুই, তিন বছর হলো ভালো খেলতে শুরু করেছে। আমাদের সত্যি কথা কোনও রেকর্ডও একসময় হয়ত ছিল না। কারণ আমরা শিখছিলাম। আমরা খুব নতুন ছিলাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। অর্জন করা শুরু করেছি, উদযাপন করা উচিত। আজ থেকে দশ বছর পর হয়ত এইগুলা এতো আলাদা করে বলা হবে না। তখন আমাদের যারা নতুন খেলবেন তাদের লক্ষ্যই অন্যরকম হতে পারে।’
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পরের ম্যাচেও তামিমের তাই নতুন লক্ষ্য থাকবে, ‘প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে একটা সুযোগ থাকে ক্রিকেটারদের কাছে, সেঞ্চুরি করার বা পাঁচ উইকেট নেওয়ার। যখন আমি এই গ্রুপকে দেখি আমার কাছে ওই জিনিসটা মনে হয়, প্রত্যেকেই এটা করতে চায়।’
ফাইনালে উঠে গেলেও তাই এ ম্যাচটাও তামিমের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে নিজের কথামতোই তামিম পাচ্ছেন আরেকটা সুযোগ। হয়তো তামিমের কোনও অর্জনেই সে ম্যাচের গুরুত্ব বেড়ে যাবে আরও! আর তামিম তৃপ্ত হবেন সুযোগ কাজে লাগিয়ে!