বার্নাব্যুতে লেগানেসের কাছে হেরে রিয়ালের বিদায়
লেগানেসের কাছে হেরে বাদ পড়ল রিয়ালঃ
কোপা ডেল রে এর প্রথম লেগে লেগানেসের মাঠ থেকে ১-০ ব্যবধানে জিতে আসার পর নির্ভারই থাকার কথা ছিল জিনেদিন জিদানের। মাঝে লা লিগায় দেপোর্তিভোর বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়টাও মনোবল বাড়িয়েই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে এসেই আর হিসেব মিলল না জিদানের। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ হেরে গেল ২-১ ব্যবধানে। আর দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে, অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে উঠে গেল লেগানেস।
সার্জিও রামোস একাদশে ফিরলেও লেগানেসের বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির এক দলই নিয়েই মাঠে নেমেছিল রিয়াল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, টনি ক্রুস দলেই ছিলেননা। লুকা মদ্রিচ, কাসেমিরোও ছিলেন বেঞ্চে। নিয়মিত একাদশের করিম বেনজেমা ইস্কো, নাচো ফার্নান্দেজ আর করিম বেনজেমা বাদে বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ। শেষ পর্যন্ত জিদানের নেওয়া সিদ্ধান্তটা ভুলই প্রমাণিত করেছে লেগানেস।
ম্যাচের শুরুতেই জিদানের হিসেব বড় গড়মিল পাকিয়ে দিতে পারত তারা। ৫ মিনিটে স্ট্রাইকার ক্লদিও বিয়াভুর নেওয়া ফ্রি-কিক বারপোস্টে লেগে ফিরে না আসলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত লেগানেস। এরও ১০ মিনিট পর লেগানেসের আরও একটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচ গোলশূন্য রাখেন রিয়াল গোলরক্ষক কিকো ক্যাসিয়া। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য আটকাতে পারেননি লেগানেসকে। ৩১ মিনিটে রিয়ালের রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ প্লেসমেন্টে রিয়ালের জালে বল জড়ান হাভিয়ের ইরাসো। ১-০ তেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। প্রথমার্ধে কোনো শট অন টার্গেটই নিতে পারেনি রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য করিম বেনজেমা গোল করে সমতায় ফেরান ম্যাচ। তখনও দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়েই ছিল রিয়াল। কিন্তু ৪৭ মিনিটে রিয়ালের নেওয়া লিডও খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৫ মিনিটে গ্যাব্রিয়েলের গোলে ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় লেগানেস। আর দুই লেগ মিলে সমতায় আসে ম্যাচ।
এরপর দানি কারভাহাল, লুকা মদ্রিচ, বোর্হা মায়োরালদের নামিয়ে কৌশল বদলেও লাভ হয়নি জিদানের। শেষ পর্যন্ত লেগানেসের কাছে হেরেই শেষ হয় রিয়ালের ম্যাচ। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগ জিতে এসে এবারই প্রথম কোপা ডেল রে থেকে বিদায় নিল রিয়াল মাদ্রিদ।
চেলসিকে হারিয়ে ফাইনালে আর্সেনালঃ
এমিরেটেস স্টেডিয়ামে চেলসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ক্যারাবাও কাপের ফাইনালে উঠেছে আর্সেনাল। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম লেগের খেলা ড্র হয়েছিল গোলশূন্যভাবে।
প্রতিপক্ষের মাঠে অবশ্য শুরুটা বিধ্বংসীই করেছিলেন এডেন হ্যাজার্ড। বেলজিয়ানের ৭ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসিই। কিন্তু এর ৫ মিনিট পরই আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। কর্নার থেকে নাচো মনরিয়েলের করা হেড চেলসি ডিফেন্ডার মার্কো আলোন্সোর পর অ্যান্টোনিও রুডিগারের মাথায় লেগে ঢুকে যায় চেলসির জালে।
৬০ মিনিটে গ্রানিত শাকার গোলই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দেয় ম্যাচে। লিগ কাপের ফাইনালে আর্সেনালের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি।