এবার যাদবদের পাত্তাই দিল না আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ৫০ ওভারে ২৮৯/৭ ( ধাওয়ান ১০৯, কোহলি ৭৫, এনগিদি ২/৫২)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫.৩ ওভারে ২০৭/৫ ( ক্লাসেন ৪৩*, ফেহলুকায়ো ২৩*, কুলদিপ ২/৫১)
ফল- বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী
প্রথম তিন ওয়ানডেতে কুলদিপ যাদব ও জুভেন্দর চেহেলের ইকোনমি রেটের যোগফল চতুর্থ ওয়ানডেতে তাদের ইকোনমি রেটের চেয়েও কম। ছোট্ট এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, দুই স্পিনারের ওপর কী ঝড়টাই না গেছে কাল! জোহানেসবার্গে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের ওপর ‘তান্ডব’ চালিয়ে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৪৪.৪, ১৩৯.২, ১৫৯.২ ও ৪৬০; দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল এটাই। অতিরিক্ত বজ্রপাতের কারণে লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল ২৮ ওভারে ২০২ রান। অনেকটা টি-টোয়েন্টি মেজাজেই ব্যাটিং করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সরা। ডেভিড মিলার, হেনরিক ক্লাসেন, আন্দিল ফেহলুকায়ো; মূলত এই তিনজনের কাছেই হেরেছে ভারত। ভাগ্যও অবশ্য আফ্রিকার পক্ষেই ছিল, ২বার জীবন পেয়েছেন মিলার। ৬ রানে তাঁর ক্যাচ ছাড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। দুই বল পর ৭ রানে বোল্ড হলেও চেহেলের নো বলের কারণে বেঁচে যান আবারও।
ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গেছে চেহেলের ওপর। ৫ ওভার ৩ বলে দিয়েছেন ৬৮ রান! কুলদিপও ৬ ওভারে দিয়েছে ৫১ রান। প্রতি ওভারেই চার ছক্কার বর্ষণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কখনোই নিজের হাতে নিতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। ৩৯ রানে মিলার ফিরলেও ৫ চার ও ১ ছয়ে ২৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। ফেহলুকায়ো অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে। ১ চার ও ৩ ছক্কাতে মাত্র ৫ বলেই করেছেন এই রান! ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছায় আফ্রিকা।
পরাজয়ের জন্য বোলারদের পাশাপাশি বজ্রপাতকেও সমানভাবে দোষারোপ করতে পারেন কোহলি। শিখর ধাওয়ানের ১০৯ ও কোহলির ৭৫ রানে ৩৫ ওভারেই ২০০ পেরোয় ভারত। মোমেন্টাম যখন পুরোপুরি ভারতের পক্ষে, তখনই বজ্রপাতে খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ সময়। এই বিরতিটাই কাল হয়েছে ভারতের। খেলা শুরু হলে আগের ছন্দে ফিরতে পারেনি দল, শেষ ১৫ ওভারে উঠেছে মাত্র ৮৪ রান। সেটাও সম্ভব হয়েছে ধোনির ৪২ রানের ইনিংসের কারনেই।
২০১৩ সালের পর ‘পিংক ডে’ ম্যাচে কখনোই হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, এবারো সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। এই জয়ের পরেও অবশ্য সিরিজে ৩-১ এ পিছিয়ে আছে তারা।