'গাইতা দুর্গ' ভেদ করতে পারল না বার্সা
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। শত চেষ্টার পরও গেটাফে রক্ষণদুর্গ ভেদ করতে সক্ষম হয়নি বার্সেলোনা। যোগ করা সময়ে ডানপ্রান্তে বল পেলেন উসমান ডেম্বেলে। ফ্রেঞ্চ উইঙ্গারের মাপা ক্রসে হেড করলেন লুইস সুয়ারেজ। শূণ্যে ভেসে সুয়ারেজের সেই হেড দুর্দান্তভাবে রুখে দিলেন গেটাফে গোলরক্ষক ভিসেন্তে গাইতা। এই ঘটনাটাই হয়ে থাকল পুরো ম্যাচের প্রতিচ্ছবি। শেষ পর্যন্ত ন্যু ক্যাম্পে গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হল বার্সেলোনা এবং গেটাফের ম্যাচটি। লা লিগার এই মৌসুমে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হল বার্সা।
ড্র হলেও আক্ষরিক অর্থেই ম্যাচের শেষ কিকে জয়টা প্রায় ছিনিয়েই নিয়েছিল গেটাফে। সুয়ারেজের সেই হেডের কিছুক্ষণ বাদেই বার্সার অর্ধে ফ্রিকিক পায় তারা। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে পর্তুগিজ লেফটব্যাক আন্তুনেসের আগুনে ফ্রিকিক ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেন। গোলশূন্য ড্র ম্যাচে দু’দলের গোলরক্ষকই ছিলেন দারুণ ফর্মে। আক্রমণভাগের ফুটবলারদের একের পর এক প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন গাইতা এবং স্টেগেন। তবে দুই গোলরক্ষকের মধ্যে গাইতাই ছিলেন বেশি ব্যস্ত। অবশ্য এজন্য সতীর্থ ডিফেন্ডারদের একটি ধন্যবাদ জানাতেই পারেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। মেসি, সুয়ারেজ, ডেম্বেলে, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ফিলিপ কুতিনিয়োদের মত তারকাঠাসা বার্সাকে ম্যাচের পুরোটা সময়ই পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন তারা।
গেটাফের জমাট রক্ষণের কারণে গোলের তেমন সু্যোগই তৈরি করতে পারেনি এর্নেস্তো ভালভার্দের দল। প্রথমার্ধে প্রায় ৮০ ভাগ বল দখলে রাখলেও একবারও লক্ষ্যে শটই নিতে পারেনি কাতালানরা! ম্যাচে গোলের প্রথম সুযোগ তৈরি করতে ৫০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল বার্সাকে। বাঁ-প্রান্ত থেকে কুতিনিয়োর ‘ট্রেডমার্ক’ বাঁকানো শট ফিরিয়ে দেন গাইতা। এর কিছুক্ষণ পরেই খেলার ধারার বিপরীতে লিডটা প্রায় নিয়েই নিয়েছিল গেটাফে। ৫৯ মিনিটে প্রতি আক্রমণে আলফ্রেড এন’দিয়ায়ের শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন টার-স্টেগেন।
গোলের দেখা পাওয়ার জন্য অবশ্য ভাগ্যকেও দুষতেই পারে বার্সা। ৭৭ মিনিটে ডেম্বেলের কর্নার থেকে বার্সার নতুন সেন্টারব্যাক ইয়েরি মিনার হেড গেটাফে গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় তারা। বার্সার হয়ে নিজের ‘হোম’ অভিষেকে আরেকটু হলেই জয়ের নায়ক বনে গিয়েছিলেন ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম কলম্বিয়ান ফুটবলার।
আজকের ড্রয়ে ২৩ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকল বার্সা। সমানসংখ্যক ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ৫২ পয়েন্ট। আর ২২ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন-এ থাকল রিয়াল মাদ্রিদ।