• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    ইয়র্কার ও বাউন্সারের দিকে নজর দিতে বলছেন মাহমুদউল্লাহ

    ইয়র্কার ও বাউন্সারের দিকে নজর দিতে বলছেন মাহমুদউল্লাহ    

    ১৫তম ওভার, মুস্তাফিজুর রহমান তিনটা ফুললেংথে বল করলেন দাশুন শনাকা ও থিসারা পেরেরাকে, তিনটাই ডট। আগের ওভারে ৫ রান দিয়েছেন, এই ওভারটাও তাই গুরুত্বপূর্ণ বেশ। একটা ওয়াইড দিলেন এর মাঝে। চতুর্থ বলটাও ফুললেংথেই করতে চেয়েছিলেন, হয়ে গেল ফুলটস। সেটা হলো চার। শেষ বলটাও ফুললেংথে করলেন মুস্তাফিজ, তবে শনাকা ততক্ষণে মুস্তাফিজের পরিকল্পনা বুঝে গেছেন, জায়গা বানিয়ে মারলেন দিনের সবচেয়ে বড় ছয়গুলোর একটি। বাংলাদেশের বোলিংয়ের চিত্রই যেন এটা- যা করতে চেয়েছেন তা ঠিকঠাক করতে পারেননি, যা করেছেন- সেটার কড়া জবাব দিয়েছে শ্রীলঙ্কা!

    নিজেদের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোরও তাই যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বোলিং লাইন-আপ। ম্যাচশেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও দোষটা দিচ্ছেন বোলিংকেই। তার মতে, লেংথ ঠিক ছিল না বাংলাদেশী বোলারদের, সঙ্গে ছিল ইয়র্কার ও ব্লক হোলে বলের অপ্রতুলতাও।

    ব্যাটসম্যানদের কাজটা তারা ঠিকঠাক করেছেন বলেই মনে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহর, ‘ভালো উইকেটই ছিল। যদিও ব্যাটম্যানরা ভালো কাজই করেছে। তবু দুইশ, দুইশর ওপরে হলে ভালো হতো। তার পরও এটা ভালো স্কোর ছিল। কিন্তু বোলাররা ভালো লেংথে বোলিং করতে পারেনি। আমি বলব না লাইন ঠিক ছিল না। কিন্তু লেংথ ভালো ছিল না। এ কারণে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা শুরুতে দ্রুত উইকেট নিতে পারিনি আমরা। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জিনিসগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’

    উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ, বোলারদের জন্য বরাদ্দ ছিল না কিছুই। এমন উইকেটে ফুললেংথে বল করে ব্যাটসম্যানের জায়গাটা আঁটসাঁট করে দেওয়াটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি, ‘ওদের বোলিং যদি দেখেন, ওরা শেষের দিকে ইয়র্কারগুলো ভালো ভাবে করতে পেরেছে। আমাদের অনেক পথ খুঁজতে হয়েছে রান করতে। যদি মুশফিকের ব্যাটিং দেখেন, স্কুপ, রিভার্স স্কুপ খেলেছে বা ব্লকের বল অফ স্টাম্পের বাইরে এসে মেরেছে। আমাদের বোলাররা সেই লেংথে বল করতে পারেনি। এজন্যই আজকে এই ফল। তবে ১৯৪ রান করে অবশ্যই তাদের আটকে দেওয়া উচিত ছিল।’

    সেই সঙ্গে এমন উইকেটে বাউন্সারের গুরুত্বও দেখছেন তিনি, ‘বোলিং গ্রুপ হিসেবে আমাদের বসে কাজ করতে হবে কাকে কখন কোন সময় কিভাবে বল করব। ডট বল করে চাপ সৃষ্টি করতে পারব। এ ধরনের উইকেটে, আমাকে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। হয়ত ঠিকঠাক বাউন্সার করতে হবে, হয়ত ইয়র্কার করতে হবে ব্যাটসম্যানের শক্তি বুঝে। এ জিনিসগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

    ‘এই উইকেটে লেংথটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট খুব ভালো ছিল। ভালো ভাবে ব্যাটে আসছিল। এখানে জায়গা দিলে রান করা সহজ। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে।’