• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্লিনে অনেক কিছুর হাতছানি

    বার্লিনে অনেক কিছুর হাতছানি    

    সেই ২০০৩ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছিল জুভেন্টাস। এরপর ফাইনাল থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১২ বছর পর আবার সামনে আরেকটি ফাইনাল, তবে এবার জুভেন্টাসকে জিততে হলে নিজেদের সেরার চাইতেও বেশি কিছু দিতে হবে। বার্সেলোনা, বিশেষ করে মেসি, নেইমার, সুয়ারেজ যেমন খেলছেন, তাতে তাঁদের ঠেকানো তো এই মুহূর্তে মিশন ইম্পসিবলের মতোই।

     

     

    বার্লিনের ফাইনালের আগে প্রশ্ন আসলে অনেকগুলো। এমএসএনকে কি ঠেকানো যাবে ? চোটের কারণে ছিটকে পড়া কিয়েলিনির অভাব কি জুভেন্টাস পূরণ করতে পারবে ? পিরলো-পগবা-ভিদালের গড়া মধ্যমাঠের সঙ্গে রাকিটিচ-ইনিয়েস্তা-বুস্কেটসের লড়াইয়ে কারা জিতবেন ? বার্সা রক্ষণ কি তেভেজ-মোরাতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে ? 

     

    একদিক দিয়ে আজকের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে একটা যুগের। ১৮ বছর আগে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয়েছিল জাভির। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সার হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ। মাঠে নামার সুযোগ পাবেন কি না সেটা অবশ্য নিশ্চিত নয়। তবে ট্রেবল দিয়ে শেষ করতে পারলে সেটি হবে রূপকথার গল্পই।

     

     

    আন্দ্রেয়া পিরলোর জন্যও আজকের ম্যাচটা হয়ে যেতে পারে ইতালি অধ্যায়ের শেষ। ৩৬ বছর বয়সে এখনও পিরলো জুভেন্টাস মধ্যমাঠের মধ্যমণি। কয়েকদিন আগে আভাস দিয়েছেন, এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে সামনের মৌসুমে মেজর সকার লিগে পাড়ি জমাতে পারেন। জুভেন্টাস কি পিরলোকে মনে রাখার মতো একটা বিদায়ী উপহার দিতে পারবে?

     

     

    ও হ্যাঁ, আরেকজনের জন্যও আজ অনেক দিনের একটা আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ। ক্যারিয়ারে প্রায় সবকিছু জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিতে এখনও চুমু খাওয়া হয়নি বুফনের। এত বছরের দুঃখটা আজ নিশ্চয় ভুলতেই চাইবেন জুভেন্টাস অধিনায়ক।