বার্লিনে বার্সেলোনার ইতিহাস
ট্রেবল হাতছানি দিচ্ছল দুই দলকেই। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার হাতেই সেটি উঠল, প্রথম দল হিসেবে দুইবার জিতে গড়ল ইতিহাস। জুভেন্টাসকে ষষ্ঠবারের মতো বরণ করতে হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পরাজয়। ৩-১ গোলে জিতে বার্লিন তাই আলোকিত বার্সেলোনার আলোয়। বার্সার হয়ে গোল করেছেন ইভান রাকিটিচ, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার। জুভেন্টাসের হয়ে একমাত্র গোল করেছেন আলভারো মোরাতা।
ম্যাচের শুরুতেই জুভেন্টাসকে হকচকিত করে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ম্যাচের চার মিনিটে ইনিয়েস্তার পাস থেকে রাকিটিচের গোল- ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার হয়ে দ্রুততম। এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফিরে আসে জুভেন্টাস, কিন্তু জিয়ানলুইজি বুফন দেখিয়ে দিয়েছেন কেন তাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক বলা হয়। দানি আলভেসের একটা শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন অসাধারণভাবে, পরে সুয়ারেজের আরেকটি শটও দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
তবে প্রথমার্ধে জুভেন্টাস তেমন কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। বার্সেলোনা ১-০ এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে। এরপর হঠাৎই যেন বদলে যায় দৃশ্যপট, জাদুমন্ত্রের মতো জেগে ওঠে জুভেন্টাস। ৫৫ মিনিটে মোরাতার গোলটা দারুণ এক আক্রমণ থেকে আসে। মার্কিসিওর অসাধারণ ব্যাকহিল, লিকস্টেইনারের মাইনাস থেকে তেভেজের শট স্টেগেনের হাতে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে মোরাতার কাছে। সুযোগ কাজে আগাতে ভুল করেননি ফর্মে থাকা মোরাতা।
৬৮ মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে মেসির শট ঠেকিয়ে দেন বুফন, ফিরতি বলটা জালে জড়িয়ে দেন সুয়ারেজ। একটু পরেই নেইমার গোল করেন, কিন্তু হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।
২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও জুভেন্টাস খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু খেলার অন্তম মুহূর্তে গোল করে নেইমার ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সেই আশাটাও শেষ করে দেন।