যেসব নতুন রেকর্ড হলো বার্লিনে
জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি বেশকিছু নতুন রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা। ক্যাটালানদের সাথে অবশ্য তুরিনের বুড়িরাও কিছু রেকর্ডের অংশীদার। একনজরে দেখে নেয়া যাক উল্লেখযোগ্য কিছু রেকর্ডঃ
- প্রথম ইউরোপিয়ান দল হিসেবে দুইবার ট্রেবল জিতলো বার্সেলোনা (২০০৮-০৯ আর ২০১৪-১৫)। অন্য যেসব ইউরোপিয়ান দলের এই কীর্তি আছে : সেলটিক (১৯৬৬-৬৭), আয়াক্স (১৯৭১-৭২), পিএসভি আইন্দোহোভেন (১৯৮৭-৮৮), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১৯৯৮-৯৯), ইন্টার মিলান (২০০৯-১০), বায়ার্ন মিউনিখ (২০১২-১৩)।
- ৫ম বারের মতন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে বায়ার্ন মিউনিখ আর লিভারপুলের পাশে নাম লেখালো বার্সেলোনা। এরচেয়ে বেশি শিরোপা আছে রিয়াল মাদ্রিদ (১০ বার) আর এসি মিলানের (৭বার)।
- প্রথম দল হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে চ্যাম্পিয়ন হবার পথে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, ইতালিয়ান সিরি-আ, জার্মান বুন্দেসলীগা, ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে বার্সেলোনা। গ্রুপ পর্যায়ে সাইপ্রাস লীগ আর ডাচ লীগ চ্যাম্পিয়নদেরও হারিয়েছিলো বার্সেলোনা।
- সবচেয়ে বেশিবার (৬বার) উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে রানার্স আপ হলো জুভেন্টাস। ৫ বার করে রানার্স আপ হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ আর বেনফিকা।
- প্রথমবারের মতো কোনো দলের দুইজন খেলোয়াড় (বার্সেলোনার মেসি-নেইমার) চ্যাম্পিয়নস লীগের একই মৌসুমে ১০ গোল করলেন।
- মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ ত্রয়ী মিলে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে করেছেন মোট ১২২ গোল। প্রথম দল হিসেবে দুইবার ট্রেবল জেতা ক্যাটালানদের ১৭৫ গোলের প্রায় ৭০ শতাংশ গোল এসেছে লাতিন আমেরিকার সেরা তিন তারকার কাছ থেকে। (মেসি ৫৮, নেইমার ৩৯, সুয়ারেজ ২৫)
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে সবচে বেশিবার মাঠে নামার রেকর্ড গড়লেন বার্সেলোনার জাভি (১৫১ ম্যাচ)। পরের মৌসুমেই হয়ত ক্যাসিয়াস (১৫০ ম্যাচ) আবার রেকর্ডটি ভেঙ্গে দিবেন।
- ১৯৮৯ আর ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম পরপর দুই বছর একই দেশের ক্লাব ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হলো। ২৫ বছর আগে সেই দুইবারই এসি মিলান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অবশ্য।
- প্রথম উরুগুইয়ান খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতলেন লুইস সুয়ারেজ।
- প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইন্যালে (২০০৯, ২০১১, ২০১৫) 'অ্যাসিস্ট' করেছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
- ক্লারেন্স সিডর্ফের পর মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইন্যাল খেললেন প্যাট্রিস এভরা (মোনাকো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস)। সিডর্ফ খেলেছিলেন আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ আর এসি মিলানের হয়ে। সিডর্ফের যেখানে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হবার রেকর্ড আছে, এভরার রয়েছে বিপরীত অভিজ্ঞতা। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে রানার্স আপ হওয়া একমাত্র খেলোয়াড় তিনি।
- পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন লিওনেল মেসি। জার্ড মুলার সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন চারবার।