• দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    নাটকীয় জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ভারতের

    নাটকীয় জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ভারতের    

    স্কোর 

    ভারত ২০ ওভারে ১৭২/৭ ( ধাওয়ান ৪৭, রায়না ৪৩, ডালা ৩/৩৫)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৬৫/৬ ( জনকার ৪৯, ডুমিনি ৫৫, ভুবনেশ্বর ২/২৪)

    ফল- ভারত ৭ রানে জয়ী 


    সফরের শুরুটা হয়েছিল একরাশ হতাশা দিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টেস্ট সিরিজ খোয়ানোর পর শেষ টেস্টের জয়টাই যেন বদলে দিয়েছে সবকিছু। ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও নিজেদের করে নিল ভারত। কেপটাউনে সিরিজের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে হাসিমুখেই বাড়ি ফিরছে কোহলি-ভুবনেশ্বররা।

     

    দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা এনেছিল জেপি ডুমিনিরা। অঘোষিত ফাইনালে তাঁদের সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭৩। আগের ম্যাচের নায়ক হেনরিক ক্লাসেন কাল বেশি সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন ৭ রানেই। ডেভিড মিলারকেও ২৪ রানে আউট করেছেন সুরেশ রায়না।

     

     

     

    আফ্রিকার জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ডুমিনি ও অভিষেক হওয়া ক্রিস্টিয়ান জনকার। ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪১ বলে ৫৫ রান করে শারদুল ঠাকুরের বলে ডুমিনি ফিরলেও জনকারের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য লড়েছে প্রোটিয়ারা।

     

    জনকারের ব্যাটিং কাল শুধু মুগ্ধতাই ছড়িয়েছে। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ২০৪ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ২৪ বলেই করেন ৪৯ রান। জাসপ্রিত বুমরার করা ১৯ তম ওভারে ১৮ রান নিয়ে ভারতীয় শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দলকে জয় এনে দিতে পারেননি, ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়েছেন জনকার।

     

    বিশ্রামে ছিলেন কোহলি, দায়িত্বটা তাই রোহিত শর্মার কাঁধেই ছিল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রোহিত, ফিরেছেন ১১ রান করেই। শিখর ধাওয়ানের ৪৭ ও রায়নার ২৭ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে অবশ্য বড় স্কোরের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত। শেষের ৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের কৃপণে বোলিংয়ে ২০০ পেরোতে পারেনি তারা।