• বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
  • " />

     

    আফগান-অঘটনে চমকে দিল স্কটল্যান্ড

    আফগান-অঘটনে চমকে দিল স্কটল্যান্ড    

    শিরোনামটা আসলে একটু বদলেই দেওয়া উচিত। আফগানিস্তান তো আসলে স্কটল্যান্ডের কাছে যতটা, তার চেয়েও বেশি হেরে গেছে এক ক্যালাম ম্যাকলিওডের কাছে। আফগানিস্তানের ২৫৬ রান যে স্কটল্যান্ড ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেল, সেটা তো ম্যাকলিওডের ১৪৬ বলে ১৫৭ রানের ওই অপরাজিত ইনিংসের জন্যই। তার চেয়েও বড় কথা, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটা হলো এক অঘটন দিয়েই।

    অঘটন শব্দে আসলে কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়। প্রস্তুতি ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাকাল করে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে ওঠার লড়াইয়ে তাদের পক্ষে বাজি ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই সেই আফগানিস্তানকে মাটিতে নামিয়ে আনল স্কটিশরা। সুপার সিক্সে ওঠার পথটা এখন বেশ খানিকটা বন্ধুরই হয়ে গেল আফগানদের।

    চমকের শেষ অবশ্য এখানেই নয়। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের এক নম্বর বোলার রশিদ খানের সব জারিজুরি এভাবে ফাঁস হয়ে যাবে স্কটিশদের কাছে, কে ভেবেছিল? ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ওভারপ্রতি রশিদ ছয়ের ওপর রান দিয়েছেন মাত্র একবার। আজ তিনি নয় ওভার বল করে দিয়েছেন ৬৮ রান, পেয়েছেন মাত্র এক উইকেট! নয়টি চার হজম করতে হয়েছে তাঁকে!

    সেই কৃতিত্ব অনেকটুকুই পাওনা ম্যাকলিওডের। তাড়া  করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি স্কটল্যান্ডের, ২১ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। এরপরেই রিচি ব্যারিংটনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু ম্যাকলিওডের। তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ২০৮ রান। ৯৫ বলে ৬৭ রান করে ব্যারিংটন রশিদ খানের বলে আউট হয়ে গেলেও ম্যাকলিওড দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ১৫৬ রানের ইনিংসে মেরেছেন ২৩টি চার, ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি চার মারার রেকর্ড আছে ছয়টি।

    আফগানিস্তানের শুরুটাও অবশ্য ভালো হয়নি। টসে জিতে বল করতে নেমে শুরুতেই উইকেট নিতে থাকে স্কটল্যান্ড। একটা সময় ৭১ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ নবী ও নজিবুল্লাহ জাদরানের ১৪৯ রানের জুটি আবার তাদের পথ দেখায়। নজিবুল্লাহ ৬৭ রানে আউট হওয়ার খানিক পরেই ৮২ বলে ৯২ রান করে ফিরে যান নবী। শেষদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় রান ২৫৫ এর বেশি হয়নি।

    প্রথম দিনে অঘটন হয়েছে এই একটিই। নেপালের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনির সাথে আরব আমিরাত এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছিল জয়ের পথেই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাঁচটি করে দল গ্রুপ পর্বে খেলবে। সেখান থেকে তিনটি করে দল যাবে সুপার সিক্সে। সেখানে শীর্ষ দুই দলের জুটবে বিশ্বকাপের টিকিট।