দলের ২৩৫ রান, একজন একাই করলেন ১৫১!
একটা দলের রান ২৩৫, সেখানে সর্বোচ্চ স্কোর কত হতে পারে? ফিফটি না থাকাও অস্বাভাবিক কিছু না, এরকম অনেক স্কোরকার্ডের হদিস পাওয়া যাবে। কিন্তু পাপুয়া নিউ গিনির টনি উরা যা করলেন, সেটা আপনাকে বিমূঢ় করতেই পারে। ২৩৫ রানের মধ্যে একজন যখন একাই ১৫১ রান করেন, সেটা তো অবাক করার মতোই।
অবাক হওয়া এখানেই শেষ নয়। পাপুয়া নিউ গিনির এই ওপেনার এর আগে ওয়ানডে খেলেছেন ১৪টি, সেখানে ফিফটি ছিল মাত্র একটি। ২৯টি লিস্ট এ ম্যাচে ফিফটি মাত্র দুইটিই। সেই উরাই কি না ১৪২ বলে ১৫১ রান করে আউট হলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আক্ষরিক অর্থেই পুরো দলকে টেনে নিলেন একাই।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আজ উরা নেমেছিলেন ওপেনার হিসেবে। একদিক থেকে দেখেছেন সতীর্থদের ড্রেসিংরুমে আসা যাওয়া। প্রথম ৫৫ রানের ভেতর ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউ গিনি, ৮০ রানের ভেতর হারিয়েছে ছয়টি। ১১৬ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর শুরু প্রতিরোধের। অষ্টম উইকেটে চাড সোপারকে নিয়ে যোগ করেছেন ৮৩ রান, এর মধ্যে ভারের অবদান মাত্র ২৫। এরপর অষ্টম উইকেটে যোগ করেছেন আরও ২৮ রান। ১১২ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন উরা, পরের ফিফটি করেছেন মাত্র ৩০ বলে। দশটা চারের পাশাপাশি মেরেছেন ছয়টি ছয়। উরা ছাড়া পাপুক্যা নিউ গিনির হয়ে আর বাউন্ডারি হয়েছে শুধু একটি! সবচেয়ে বেশি তোপ গেছে কেভিন ও ব্রায়েনের ওপর দিয়ে, তিনটি ছয় মেরেছেন তাঁকেই।
শেষ পর্যন্ত মোট রানের শতকরা ৬৪.২৫ ভাগ করেছেন উরাই। ওয়ানডে ইতিহাসে মোট রানের শতকরা হিসেবে এর বেশি করেছেন শুধু তিন জন। ১৯৮৪ সালে ম্যানচেস্টারে ভিভ রিচার্ডসের ১৮৯ রানের অপরাজিত সেই ইনিংস তো ক্রিকেট পুরাণেরই অংশ হয়ে গেছে, দলের ৬৯.৪৮% রান করেছিলেন ভিভ। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে কপিল দেবের ১৭৫ রানের ইনিংস ছিল ভারতের মোট রানের ৬৫.৭৮%। আর রোহিত শর্মার ইতিহাসগড়া ২৬৪ রানের ইনিংস ছিল দলের ৬৫.৩৪ ভাগ। এই তিনবারই জিতেছিল নিজেদের দল, তবে উরার দল হারলো। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের সেঞ্চুরি (১১১) ও এড জয়েসের ফিফটিতে (৫৩) ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জিতেছে আয়ারল্যান্ডা।