• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ৯ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে লিভারপুল

    ৯ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে লিভারপুল    

    সাদিও মানের হ্যাটট্রিকে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে পোর্তোকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে আজ দ্বিতীয় লেগটা তাই ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতাই। প্রায় অর্থহীন ম্যাচে অবশ্য আর গোল করতে পারেনি লিভারপুল, শোধ দেওয়া হয়নি পোর্তোরও। দুই লেগ মিলিয়ে তাই ৫-০ গোল জয় নিয়েই ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর প্রথমবারেরমতো শেষ আটের টিকেট নিশ্চিত করল ক্লপের দল।

     

    প্রথম লেগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলায় আজ কিছুটা গা বাঁচিয়েই খেলেছে লিভারপুল। দলের মূল তারকা মোহাম্মদ সালাহকে বিশ্রাম দিয়ে ইংলিশ উইঙ্গার অ্যাডাম লালানাকে মূল একাদশে রেখেছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সালাহকে ছাড়া নিজেদের ক্ষুরধার আক্রমণের পসরা সাজাতে পারেনি 'অল রেড'রা। অ্যানফিল্ডে গোলের প্রথম সুযোগ পেতে ৩২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল লিভারপুলকে। মাঝ মাঠ থেকে জেমস মিলনারের পাসে ডিবক্সে বল পান মানে। ডানপায়ের জোরাল শটে পোর্তো গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করলেও মানের শট ফিরে আসে বারপোস্টে প্রতিহত হয়ে। প্রথমার্ধে বলতে গেলে এটিই ছিল লিভারপুলের গোলের একমাত্র সুযোগ।

     

     

    প্রথমার্ধে লিভারপুলের মতই গোলের সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ ছিল পোর্তোও। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিডটা প্রায় নিয়েই নিয়েছিল তারা। ৫২ মিনিটে ডিবক্সের প্রায় ২০ গজ বাইরে থেকে লিভারপুলের দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন স্ট্রাইকার আবদুল মজিদ ওয়ারিস। ঘানার এই স্ট্রাইকারের জোরাল শট দক্ষহাতে ফিরিয়ে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস ক্যারিওস। ম্যাচের বাকিটা সময় গোলের চেয়ে মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়েই ব্যস্ত ছিল দু'দল। প্রতিপক্ষ ডিবক্সে খুব কমই দেখা গেছে ফিরমিনো, মানে, আবুবকর, ওয়ারিসদের।

     

    তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকেও আরেকবার গোলটা পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি পোর্তোর। ৮৪ মিনিটে ওলিভার তোরেসের শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লিভারপুল ডিফেন্ডার দেয়ান লভ্রেন। ৮৯ মিনিটে সালাহর ক্রস থেকে ড্যানি ইঙ্কসের শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন ক্যাসিয়াস। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই 'অল রেড' সমর্থকদের জোরাল উল্লাসধ্বনিই জানান দিচ্ছিল, প্রায় এক দশক পর ইউরোপের সেরা আটের টিকেট নিশ্চিত করাটা লিভারপুলের জন্য ঠিক কতটা অর্থবহ।