পিএসজির কৌশল ভুল মনে করছেন ড্রাক্সলার
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হারের পর প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের কাছ থেকে পরের লেগে আক্রমণাত্মক খেলা আশা করেছিল সবাই। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সাথে খেলাকে সামনে রেখে তেঁতে ছিল আসলে গোটা প্যারিসই। সেই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অসহায় আত্মসমর্পন করেছে ঘরের দল। টানা দুইবার শেষ-১৬ এর গন্ডি না পেরুতে পেরে আরও চাপে পড়ে গেছেন পিএসজি ম্যানেজার উনাই এমেরি। স্বাভাবিকভাবেই তার কৌশল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমেরির কৌশল অবশ্য শুধু সমর্থকদেরকেই নয়, অবাক করেছে নিজের খেলোয়াড়দেরও। মিডফিল্ডার হুলিয়ান ড্রাক্সলারও আছেন তাদের দলে।
জার্মান টেলিভিশন জেডডিএফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাচের পর এসব জানিয়েছেন ড্রাক্সলার। "আমরা আজকে কিছুই করতে পারিনি। সেজন্যই এমন হার মেনে নেওয়া আরও কষ্টকর হচ্ছে। পুরো শহর আমাদের অপেক্ষায় ছিল। আমরাও অনুপ্রাণিত ছিলাম। তারপর একটা ম্যাচে বিধ্বংসী কিছু না দেখিয়েই চলে এলাম, রিয়ালকে এভাবে হারানো যায় না।"
তাহলে রিয়ালকে হারাতে কি করা দরকার ছিল পিএসজির? আফসোসের সুরে সেই কথাও জানিয়েছেন জার্মান মিডফিল্ডার, "আমরা শুধু পাস দিচ্ছিলাম। আমাদের বল পজেশন হয়ত বেশি ছিল। কিন্তু সেটা দিয়ে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না! ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকা রিয়ালের বিপক্ষে শুধু নিজেদের মধ্যে পাস দিয়েই গোলের আশা করা যায় না। একেবারে শুরু থেকেই রিয়ালের ওপর চড়াও হয়ে খেলা উচিত ছিল আমাদের। সেটা আমরা করতে পারিনি, আমাদের তাই বাদ পড়াই কথা ছিল।"
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে অবশ্য নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ কমই পেয়েছেন ড্রাক্সলার। এ কারণেই হয়ত আরও হতাশ তিনি। এডিনসন কাভানির সমতাসূচক গোলের পরই মাঠে নামার কথা ছিল ড্রাক্সলারের। কিন্তু কোচের নির্দেশে আরও প্রায় ৫ মিনিট পর মাঠে নামেন তিনি। এই সিদ্ধান্তও অবাক করেছে তাকে।
"আমার কাছে আসলে ব্যাপারটা স্পষ্ট না। আমরা কেবল খেলাটাকে ১-১ এ সমতায় এনেছি। ওই গোল দিয়ে কিছুই হত না। আমাদের আরও চাপ প্রয়োগ করে খেলা উচিত ছিল তখন। কিন্তু আমি জানিনা তখন কী হলো। যাই হোক না কেন, সেটা আমাকে অবাক করেছে, ব্যাপারটা আমার খুব একটা ভালোও মনে হয়নি।"