বার্সার জীবনটা নরকের মতো মনে হচ্ছে গোমেজের
২০১৬ সালে ভ্যালেন্সিয়া থেকে বার্সেলোনায় যখন পাড়ি জমিয়েছিলেন বয়স তার তখন মাত্র ২২। তরুণ মিডফিল্ডার ন্যু ক্যাম্পে এসেছিলেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে, সমর্থকদেরও আশা ছিল তার কাছে। গত দু'বছরে ফর্ম হারিয়ে সমর্থকদের ভালোবাসা হারিয়ছেন, সাথে নিজের আত্মবিশ্বাসটাও। আন্দ্রে গোমেজের বার্সার গল্পটা এখন পর্যন্তও হতাশারই। সেই হতাশা ভর করেছে গোমেজের ওপরও। পানেকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের দুর্বিষহ জীবনের কথাই বর্ণনা করেছেন গোমেজ।
"মাঠে আর আগের মতো ভালো বোধ করছি না আমি। প্রথম ৬ মাস ভালোই কেটেছিল, এরপরই সব বদলে গেল। যদিও এটা বলা ঠিক হচ্ছে না কিন্তু আমার জীবনটা কিছুটা নরকের মতোই হয়ে গেছে। কারণ আমি আগের চেয়েও বেশি চাপ অনুভব করছি। চাপ নিয়ে আমি খেলতে পারি, কিন্তু আলাদা করে একজনের ওপর চাপ থাকলে সেটা কঠিন হয়ে যায়। খেলার সময়ও অনুভূতিটা আমার খারাপই থাকে।"
মাঠের চাপ ট্রেনিংয়েও তার পিছু ছাড়ে না বলেও জানিয়েছেন গোমেজ, "ট্রেনিং সেশনে খুব একটা সমস্যা হয় না আমার। সতীর্থদের সাথে থাকতে ভালো লাগে। কিন্তু এমন দিনও মাঝে মধ্যে পার করতে হয় যখন আগের দিনের ম্যাচের ভুলগুলো চোখের সামনে ভাসতে থাকে। তখন আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। আর এটাই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দিচ্ছে না আমাকে।"
মাঠে খেলার সময় কম পান, তার ওপর তার পছন্দের জায়গাতেও নামানো হয় না তাকে- বার্সায় গোমেজের পড়তি ফর্মের কারণ হিসেবে এগুলোই দেখা হয়। কিন্তু মাঠে নেমেও ধীরগতির ফুটবল খেলার দোষে ন্যু ক্যাম্পের দুয়ো শোনা থেকে তো আর তাতে রেহাই মেলে না! একে তো আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি সাথে নিজের সমর্থকদের কাছেই অপছন্দের পাত্র হয়ে যাওয়ায় জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের, "আমি ঘরে থেকেই বের হতে চাই না। কারণ রাস্তা ঘাটে লোকজন ভালো দৃষ্টিতে তাকায় না আমার দিকে। আমি কারও সাথে দেখাও করি না। আমার আসলে লজ্জাই লাগে। আমি আগের খারাপ ব্যাপারগুলো চিন্তা করি, আর ভাবি কী করতে হবে। যদিও আমার সতীর্থরা আমাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করে। কিন্তু তারা যেভাবে চায়, সেটাও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে না।"