সামর্থ্যের জানান দিয়েই শেষ আটে বায়ার্ন মিউনিখ
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে ৫-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গাটা নিশ্চিতই করে নিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। আজ নিছক আনুষ্ঠানিকতার দ্বিতীয় লেগেও বেসিকতাসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইয়ুপ হেইঙ্কেসের দল। বায়ার্নের হয়ে গোল করেছেন মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকানতারা এবং স্ট্রাইকার সান্দ্রো ওয়াগনার, অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলে জিতেছে ‘বাভারিয়ান’রা।
ইস্তাম্বুলের ভোডাফোন পার্কে আক্রমণাত্মক সূচনা করেছিল বায়ার্নই। ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই লিড নিয়ে নিতে পারত তারা। বাঁ-প্রান্ত থেকে থিয়াগোর ক্রসে আর্তুরো ভিদালের হেড চলে যায় বেসিকতাসের গোলের সামান্য উপর দিয়ে। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময়ই রবার্ট লেভান্ডফস্কি, থমাস মুলারদের আটকাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছিল বেসিকতাসের রক্ষণভাগকে। ১০ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডেভিড আলাবার ফ্রিকিক ফিরিয়ে দেন বেসিকতাস গোলরক্ষক জেঙ্গিন। ফিরতি বলে গোলের মাত্র গজ পাঁচেক দূর থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন ‘রমডয়টার’ মুলার। গোল করতে ব্যর্থ হলেও মুলারের ক্রস থেকেই লিড নিয়েছিল বায়ার্ন। ১৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে তার ক্রসেই বাঁ-পায়ের আলতো টোকায় জেঙ্গিনকে পরাস্ত করেন থিয়াগো। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের লক্ষ্যভেদেই মৌসুমের গোলের ‘সেঞ্চুরি’ পূরণ করল ‘বাভারিয়ান’রা। দলকে লিড এনে দিলেও আনন্দটা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি থিয়াগোর। ৩৫ মিনিটে উরুর মাংসপেশীতে টান পড়ায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। থিয়াগোর বদলি হিসেবে নামেন হামেস রদ্রিগেজ। প্রথমার্ধের শেষদিকে প্রতি আক্রমণে তার ক্রস থেকেই জেরোম বোয়াটেং-এর হেড গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে না গেলে লিডটা আরও বাড়িয়ে নিতে পারত বায়ার্ন।
বোয়াটেং-এর ঐ মিস অবশ্য খুব একটা ভোগায়নি বায়ার্নকে। ৪৬ মিনিটে বায়ার্নের রাইটব্যাক রাফিনহার ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে পাঠান বেসিকতাস ডিফেন্ডার গোখান গোনুল। ৭-০ গোলের লিড নিয়েও ক্ষান্ত দেয়নি বায়ার্ন। ৫৬ মিনিটে গোলের একেবারে সামনে থেকে হামেসের শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন জেঙ্গিন। দুই লেগ মিলিয়ে রীতিমত বিধ্বস্ত হলেও বেসিকতাস সমর্থকদের উৎসাহ, উদ্দীপনায় ভাটা পড়েনি এতটুকু। সেই উৎসাহে অনুপ্রারিত হয়েই ৫৯ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ভাগনার লাভ। ডিফেন্ডার নিকোলাস সুলের ভুল থেকে বল পান জার্মেইন লেন্স। ডাচ এই উইঙ্গারের পাস থেকে বায়ার্ন গোলরক্ষক সভেন উলরিখকে পরাস্ত করেন লাভ। গোলের পর যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায় বেসিকতাস সমর্থকদের উদযাপন। লাভের গোলের মিনিটখানেক পর সমতায় ফেরার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন অধিনায়ক ওজিয়াকুপ। কিন্তু বাঁ-প্রান্ত থেকে রিকার্ডো কারেজমার মাইনাস গোলের মাত্র গজ তিনেক দূর থেকেও বাইরে মারেন তুরষ্কের এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের মিনিট ছয়েক বাকি থাকতে ৮৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণে আলাবার ক্রসে হেড করে বেসিকতাসে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ওয়াগনার।