• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট: কার কেমন সম্ভাবনা?

    চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট: কার কেমন সম্ভাবনা?    

    ন্যু ক্যাম্পে গত রাতে বার্সেলোনা-চেলসির ম্যাচের মধ্যে দিয়ে শেষ হল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলর নাটকীয়তা। লিওনেল মেসির জাদুতে আবারও কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল কাতালানরা। আগামীকাল সুইজারল্যান্ডের নিওনে  বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ আটের ড্র, সরাসরি সম্প্রচার করবে টেন ২। নিজেদের লিগে শীর্ষস্থানে থাকা বার্সা, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটিরাই কি ফেভারিট? নাকি টানা তৃতীয় শিরোপার সুবাস পাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ?

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগের মাদ্রিদ, মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ

    লা লিগায় ফর্ম যেমনই হোক না কেন, ইউরোপের ক্লাব পর্যায়ের সর্বোচ্চ প্রতিযোগীতায় রিয়াল যেন অনন্য। কার্লো আঞ্চেলত্তির অধীনে ১৩-১৪ মৌসুমে 'লা ডেসিমা' জয়ের সময় থেকেই যেন এই ধারাতেই চলছে রিয়ালের মৌসুম। দীর্ঘ ৫ বছর পর গতবার লা লিগা জেতা রিয়াল এবার আছে টেবিলের তিন নম্বরে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল যেন অপ্রতিরোধ্য। ৫-২ অ্যাগ্রিগ্রেটে প্যারিসের দলটিকে উড়িয়ে দিয়ে টানা আট মৌসুমে ইউসিএল-এর শেষ আটের টিকেট নিশ্চিত করেছে রিয়াল। লা লিগায় মেসির চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর তুলনা কেবল রোনালদোই। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। গ্রুপপর্ব থেকে শেষ ষোল- গোল করেছেন প্রত্যেক ম্যাচেই। রিয়াল ফাইনালে গেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মৌসুমে নিজের গড়া সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও (১৭) ভেঙ্গে দিতে পারেন নিজেই। ছন্দে ফিরেছেন করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেলও। টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচরাও আছেন স্বরূপে। 

     

     

    গ্রুপপর্বে রানার আপ হয়ে শেষ ষোলতে আসায় এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের 'ফেভারিট' হিসেবে রিয়ালের নামটা হয়ত আসত অনেক পরেই। কিন্তু পিএসজিকে হারিয়ে রিয়াল আবারও জানান দিল, কেন এই টুর্নামেন্টের সফলতম দল তারা। কেন তারা একমাত্র দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ধরে রেখেছে। কেন শেষ আটের অন্য দলগুলো কালকের ড্র-তে এড়াতেই চাইবে জিনেদিন জিদানের দলকে।

     

    মেসিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্ন বার্সার

    লা লিগার শিরোপা ঘরে তুলে নেওয়াটা সময়ের ব্যাপার এখন। পৌঁছে গেছে কোপা ডেল রে-র ফাইনালেও। গতকাল চেলসিকে হারিয়ে শেষ আটে আসা বার্সার সমর্থকদের আরও এক 'ট্রেবল'-এর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মেসি। এই মৌসুমের আগে জুভেন্টাস, চেলসির বিপক্ষে গোল না করা মেসি এই মৌসুমে এ দু'দলের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে করেছেন ৫ গোল।

     

     

    মেসি স্বভাবসুলভ ফর্মে থাকলেও বার্সার আক্রমণভাগের অন্যরা বেশ বিবর্ণ। চ্যাম্পিয়নস লিগে লুইস সুয়ারেজ, উসমান ডেম্বেলেদের ফর্ম এর্নেস্তো ভালভার্দের দুশ্চিন্তার অন্যতম মূল কারণ। সুয়ারেজের শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল এসেছিল প্রায় বছরখানেক আগে। শেষ ষোলতে চেলসি গেরো কাটানোর পেছনেও বার্সার মূল কারিগর ছিলেন মেসিই। 'লা পুলগা'য় সওয়ার হয়েই মূলত এতদূর এসেছে বার্সা। । গতকাল হারলেও নিজেদের 'হাই প্রেসিং' ফুটবল দিয়ে বার্সাকে বেশ কয়েকবার সমস্যায় ফেলেছিল চেলসি। তাই নিজেদের ছয় নম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে হলে মেসির পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে দলের অন্যদেরও।

     

    সিটির প্রথম, গার্দিওলার তৃতীয়?

    এর মধ্যে ইংলিশ লিগের শিরোপায় এক হাত দিয়ে রেখেছে তারা। লিগে এখনও ৮ ম্যাচ বাকি থাকলেও ইপিএল শিরোপা ঘরে তুলতে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির প্রয়োজন মাত্র ৬ পয়েন্ট। এরই মাঝে কারাবাও কাপটাও জিতে নিয়েছে তারা। এখন গার্দিওলার মূল লক্ষ্য সিটিকে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো।

     

     

    এই মৌসুমে প্রতিপক্ষদের গুঁড়িয়ে দিয়েই সামনে দিকে এগিয়েছে সিটি। লিভারপুল, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসির মত দলগুলোও পাত্তা পায়নি তাদের সামনে। গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শেষ ষোলোতে দুই লেগ মিলিয়ে বাসেলকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে 'সিটিজেন'রা। সার্জিও আগুয়েরো, কেভিন ডি ব্রুইন, রহিম স্টার্লিংদের প্রত্যেকেই আছেন ফর্মে। রক্ষণে নিকোলাস ওটামেন্ডি, এডারসন মোরায়েস, কাইল ওয়াকাররাও নিজেদের কাজটা করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। গার্দিওলার ৪-৩-৩ ফর্মেশনে গতিশীল ফুটবল, পজেশন ধরে রাখা, প্রতি আক্রমণে দক্ষতা, দারুণ বোঝাপড়া- অভাব নেই কোনোটিরই। লিগে ভাল করলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছিল সিটি। কিন্তু ক্যারিয়ারে কোচ হিসেবে দু'বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা গার্দিওলার অধীনেই কাটবে এই গেরো- এই মৌসুমে সিটির ধারাবাহিকতা দেখে এমনটাই বিশ্বাস 'সিটিজেন'দের।

     

    'হেইঙ্কস জাদু'তে আবারও বায়ার্ন?

    কার্লো আঞ্চেলত্তির অধীনে মৌসুমের একটা সময় বুন্দেসলিগা টেবিলের চার নম্বরে ছিল বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়নস লিগেও বেশ বিবর্ণই ছিল 'বাভারিয়ান'রা। পিএসজির কাছে ৩-০ গোলের হারের পর শেষ পর্যন্ত চাকরিই হারাতে হয় এই বর্ষীয়ান ইতালিয়ানকে। প্রিয় দলের সংকটময় মূহূর্তে অবসর ভেঙ্গে বায়ার্নের দায়িত্ব নেন ইয়ুপ হেইঙ্কস। এরপর থেকেই যেন খোলনলচে বদলে গেছে তারা। বুন্দেসলিগার শীর্ষে বায়ার্নের লিড এখন ১৯ পয়েন্টের, এই সপ্তাহেই জিতে নিতে পারে নিজেদের টানা ছয় নম্বর বুন্দেসলিগার শিরোপা। বেসিকতাসকে ৮-১ অ্যাগ্রিগ্রেটে হারিয়ে হেইঙ্কেসের দল যেন জানান দিল, ১২-১৩ মৌসুমের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে বদ্ধপরিকর তারা।

     

     

    বায়ার্নের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল, বার্সার মত কারও একক নৈপুণ্যের ওপর নির্ভরশীল নয় তারা। আক্রমণভাগে রবার্ট লেভানডফস্কি, থমাস মুলার, থিয়াগো আলকান্তারাদের সবাই-ই আছেন ফর্মে। গ্রুপপর্বে রানার আপ হলেও রিয়ালের মতই ঠিক সময়েই ফর্মে ফিরেছে বায়ার্ন। আর রক্ষণভাগে জেরোম বোয়াটেং, ম্যাটস হামেলসদের ফাঁকি দেওয়া প্রতিপক্ষের জন্য রীতিমত কষ্টসাধ্য। সব মিলিয়ে এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য 'ফেভারিট'-এর তালিকায় শুরুর দিকেই থাকবে বায়ার্নের নাম।

     

    দুই আর্জেন্টাইনে আশা দেখছে জুভেন্টাস

    স্পার্সের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে প্রথম লেগের ২-২ গোলে ড্র করেছিল জুভেন্টাস। দ্বিতীয় লেগের আগে তাই ফেভারিট ছিল মাউরিসিও পচেত্তিনোর দলই। এমনকি ওয়েম্বলিতে লিডটাও নিয়েছিল তারাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুভেন্টাসের অভিজ্ঞতার কাছেই হার মানতে হয় স্পার্সকে। গঞ্জালো হিগুয়াইন এবং পাওলো দিবালার গোলে পিছিয়ে পড়েও ঠিকই শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে 'তুরিনের বুড়ি'রা। ঐ ম্যাচে নিজেদের বিশ্বখ্যাত রক্ষণভাগের পসরা সাজিয়ে বসেছিল জুভেন্টাস। মূল কৃতিত্বটা অবশ্যই ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনিরই। আক্রমণভাগে হিগুয়াইন-দিবালারা গোলের জন্য প্রশংসা কুড়ালেও রক্ষণভাগে বুফন-কিয়েলিনি-বার্জাগলিদের অবদান অনস্বীকার্য।

     

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাসের এই মৌসুমের ফর্ম অনেকটাই রিয়াল, বায়ার্নের মত। গ্রুপপর্বে রানার আপ হলেও শেষ ষোলতে স্বরূপে ফিরেছে ম্যাক্সিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দল। এই মৌসুম দিয়েই ফুটবলকে বিদায় জানাবেন বুফন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের রূপোর ট্রফিতে এখনও চুমু আঁকা হয়নি এই গোলরক্ষকের। নিজেদের অধিনায়কের জন্য আরও একটি ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে থাকবে জুভেন্টাস- তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    লিভারপুলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সালাহ-ফিরমিনো-মানে

     ফিলিপ কুতিনিয়ো বার্সায় পাড়ি জমানোয় এই মৌসুমে লিভারপুলের ভাল করার তেমন সম্ভাবনা দেখছিলেন না খোদ কট্টর লিভারপুল সমর্থকেরাই। কিন্তু মাস দুয়েক পর সেই লিভারপুলই আছে দুর্দান্ত ফর্মে। মোহাম্মাদ সালাহ, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনোদের ধারাবাহিকতায় কুতিনিয়োর অভাবটা চোখে পড়ছে না একেবারেই। 'অল রেড'দের এই দুর্ধর্ষ আক্রমণত্রয়ীর মতই কৃতিত্বের দাবিদার কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। মৌসুমের মাঝে এতবড় একজন ফুটবলারকে হারিয়েও লিভারপুলের মনোবলে চিড় ধরতে দেননি এতটুকু। সেই সাথে দল এখনও খেলছে সেই চিরচেনা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে, প্রতিপক্ষকে ভাসাচ্ছে গোলবন্যায়।

     

     

    গ্রুপপর্বে সেভিয়াকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলতে এসেছিল লিভারপুল। এই মৌসুমের গ্রুপপর্বে ক্লপের দলের (২৩) চেয়ে বেশি গোল করেছে কেবল পিএসজি (২৫)। গত রাউন্ডে পোর্তোকে ৫-০ গোলে হারিয়েই শেষ আটে এসেছে তারা। এই মৌসুমে সালাহ, মানে, ফিরমিনোরা তিনজন মিলে করেছেন ৭৩ গোল! আর মাঝমাঠে 'সাপোর্টিং কাস্ট'-এর ভূমিকাও দারুণভাবে পালন করছেন এমরে চান, জেমস মিলনাররা। তবে রক্ষণভাগ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এখনও। বায়ার্ন, রিয়ালের সামনে ঠিক কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন ভার্জিল ভ্যান ডাইকরা- তা নিয়ে হয়ত সন্দিহান খোদ ক্লপই। এজন্যই দারুণ ফর্মে থাকলেও লিভারপুলকে ঠিক শিরোপার দাবিদার বলা যাচ্ছে না এখনই।

     

    প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালেই বাজিমাত করবে সেভিয়া?

    একটা চক্রই যেন তৈরি করেছিল তারা। লা লিগায় চতুর্থ হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে, গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ে যাবে ইউরোপা লিগে, সেবার ইউরোপা জিতে আবারও ইউসিএল-এ ফিরবে পরের বছর- গত চার মৌসুম ধরে এটাই যেন 'রুটিন' বানিয়ে ফেলেছিল সেভিয়া। তবে এবার এমনটা হচ্ছে না। শেষ ষোলতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হয়ত তাদের গোণাতেই ধরেনি অনেকে। কিন্তু গোলশূন্য প্রথম লেগের পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে সেভিয়া। এই মহাকাব্যিক জয়ের পর কোচ ভিন্সেঞ্জো মন্তেয়া বলেছিলেন, "ছেড়ে কথা বলবার পাত্র নই আমরা"।

     

     

    শক্তিমত্তার বিচারে ইউরোপের অন্যান্য রাঘব-বোয়ালদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গত রাউন্ডের ফলাফলের পর সেভিয়াকে সমীহই করবে সবাই। তবে সেভিয়ার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল, দল হিসেবে তারা অসাধারণ। কারও একক নৈপুণ্যের ওপর একেবারেই নির্ভরশীল নয় তারা। গোলরক্ষক সার্জিও রিকো থেকে শুরু করে ইউনাইটেড বধের মূল নায়ক স্ট্রাইকার উইসাম বেন ইয়েদের পর্যন্ত সবার মধ্যেই বোঝাপড়াটা দারুণ। বেন ইয়েদের, লুইস মুরিয়েলদের মত তরুণদের সাথে আছে এভার বানেগা, গ্যাব্রিয়েল মার্কাদোর অভিজ্ঞতার মিশেল। সব মিলিয়ে সেভিয়া যেন এক 'ওয়েল অয়েল্ড মেশিন'। শেষ আটে আরও এক বিস্ময়ের উপহার দিয়ে সেমিতে গেলেও তাই খুব একটা অবাক হওয়ার অবকাশ রাখবে না সেভিয়া। 

     

    এএস রোমা, এবারের 'ডার্ক হর্স'?

    গ্রুপপর্বের ড্রয়ের পর গ্রুপ 'সি'কেই ধরা হচ্ছিল মৃত্যুকূপ। চেলসি এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের থাকায় রোমার পক্ষে গ্রুপপর্ব পেরুনোর বাজি ধরার লোকের সংখ্যা হয়তো ছিল নেহায়েতই কম। কিন্তু আন্তোনিও কন্তে, ডিয়েগো সিমিওনেদের টপকে ঠিকই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলতে এসেছিল ইউসেবিও ডি ফ্রাঞ্চেস্কোর দল। বিশেষ করে স্তাদিও অলিম্পিকোতে চেলসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েই আলোচনায় এসেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।

     

     

    শেষ ষোলোতে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হেরেও নিজেদের মাঠে ১-০ গোলের জয়ে শেষ আটে এসেছে রোমা। স্বভাবসুলভ ইতালিয়ান রক্ষণের ছাপ আছে এই দলেও। দুই সেন্টারব্যাক কস্তাস মানোলাস এবং ফেদেরিকো ফাজিওর মাঝে বোঝাপড়াটা দারুণ। মাঝমাঠে রাজা নাইঙ্গোলান, কেভিন স্ট্রুটম্যান এবং বর্ষীয়ান অধিনায়ক ড্যানিয়েল ডি রসি আছেন দারুণ ফর্মে। আর আক্রমণভাগে স্ট্রাইকার এডিন জেকোর কথা না বললেই নয়। এই মৌসুমে ১৭ গোল করা এই বসনিয়ানের গোলেই শাখতারকে বিদায় করে এক দশক পর কোয়ার্টারের টিকেট পেয়েছে রোমা।।