ফাইনালে যাবে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
ভারতের সঙ্গে দুইটি ম্যাচই হার, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুইটি ম্যাচেই জয়। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই ভারতই। তাদেরকে টুর্নামেন্টের সেরা দল মেনে নিয়েই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সঙ্গে পাওয়া আত্মবিশ্বাসটাও কাজে দেবে তাদের।
‘আমরা পরের ম্যাচে এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাব। ভারত এই টুর্নামেন্টের সেরা দল। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। আমাদের সেরাটা দিতে হবে। আশা করি ভাল ম্যাচ হবে, এটাই প্রার্থনা, সঙ্গে আমরা যাতে জিততে পারি।’
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের বেদনাটা এবার বাংলাদেশ ভুললো কিনা, সেভাবেও ভাবতে চান না সাকিব, ‘জিনিসটা যেটা হচ্ছে- ফাইনালে যাওয়া আনন্দের বিষয়। কই কী হয়েছে, সেটা ব্যাপার না। আমরা জিতলাম, মোমেন্টাম আছে, সবাই আত্মবিশ্বাসী- এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
সব বিভাগেই উন্নতির সুযোগ দেখলেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন বোলারদেরও, ‘আমরা শুধু ব্যাটিং নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু এটা ১৮০-৯০ এর উইকেট, চাপের ম্যাচ- এ কারণে ১৬০ হতে পারে। তবে প্রথম ১০ ওভার আমরা অনেক ভাল বোলিং করেছি। সত্যি কথা, এতোটা আশা করিনি। টি-টোয়েন্টি এমনই। দিনশেষে এই জয়টা সবচেয়ে সন্তোষজনক।’
এই ম্যাচের আগে কোচ কোর্টনি ওয়ালশ বলেছিলেন, রুবেলের সঙ্গে মুস্তাফিজকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রথম ১০ ওভারের মাঝে দারুণই ছিলেন মুস্তাফিজ, উইকেট-মেডেনও করেছেন একটা। তবে শেষ দুই ওভারে গুণেছেন ৩৫ রান। সাকিবেরও ধারণা, বোলিং ফিগার যেমন দেখাচ্ছে, তার ফাস্ট বোলাররা তার চেয়ে বেশ ভাল, ‘আমাদের উন্নতির সুযোগ আছে, বিশেষত ফাস্ট বোলারদের। তাদের ফিগারগুলো তারা কতখানি ভাল এটা প্রকাশ করছে না।’
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ নয়, বাংলাদেশ হেরেছিল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালও। আরেকটি ফাইনাল, দলে নবীণ ক্রিকেটারও আছেন। সাকিব অবশ্য বলছেন, দলের সবাই ম্যাচের গুরুত্বটা নিজে থেকেই বুঝতে পারছেন, ‘তারা ম্যাচের গুরুত্ব জানে। তাদেরকে অভিজ্ঞতা শুধু এটুকু থেকে বলতে পারি কী হতে পারে। তবে সবাই নিজেরাই স্কিল কখন দেখাতে হবে, কিভাবে দেখাতে হবে সেটা জানে।’
সব মিলিয়ে একটা দল হিসেবেই আছেন তারা, ‘আমরা ১১ জন খেলি। সিনিয়র-জুনিয়র কিছু না। ৪-৫ জন বাইরে থাকে, সাপোর্ট স্টাফ থাকে- আমরা সবাই মিলেই একটা দল।’