'সাকিব আসায় চাঙা হয়ে উঠেছে দল'
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান কাল বললেন, অন্তত শ্রীলঙ্কার সাথে কাল খেলার ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধেই কাল নেমেছিলেন। বাংলাদেশের বোলিং কোচ সুনীল যোশিও বললেন, সাকিবের দলে আসাটা ড্রেসিংরুমের জন্য টনিকের কাজ করেছে।
মহাকাব্যিক ওই ম্যাচের ঘোর কাটেনি তখনও। সাকিব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, গত ১০-১২ দিনে মোটামুটি রোলার কোস্টারের অনুভূতি হয়ে গেছে। তবে তাঁর দলে আসাটা কতটা প্রেরণা দিয়েছে, বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রথম কয়েকটা ওভারেই তা বোঝা গেছে। যোশিও সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘সাকিবের উপস্থিতিই চলকে চাঙা করে তুলেছিল। সে এই ফরম্যাটের সেরা খেলোয়াড়, এক নম্বর অলরাউন্ডার। খেলার সময়েই ওর প্রভাবটা বোঝা গেছে।’
তবে কাল সাকিবকে নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিশেষ করে নো বলকে ঘিরে চতুর্থ রেফারির সাথে বাহাস, পরে মাহমুদউল্লাহ-রুবেলদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত...সাকিবকে ধারাভাষ্যকারদের কেউ কেউও অখেলোয়াড়িজিনত আচরণের জন্য অভিযুক্ত করলেন। যোশী অবশ্য ব্যাপারটা একরকম এড়িয়েই গেলেন, ‘আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে রাখা অধিনায়কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মুহূর্তের উত্তেজনায় অনেক সময় অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে। এটার খেলারই অংশ। আমাদের আগ্রাসী মনোভাবটা ঠিক সময়েই দেখাতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে অমন হারের পর বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বড় একটা ধাক্কাই খেয়েছিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২১৪ রান তাড়া করে দুর্দান্ত সেই জয়েই দিশা পায় বাংলাদেশ। যোশি ওই ম্যাচের কথাও বললেন আলাদা করে, ‘ভাগ্যবশত আমরা ছন্দটা ওই ম্যাচেই পেয়ে গেছি। ওই ম্যাচে আমুরা ২১৪ তাড়া করে জিতেছি, ভারতের সঙ্গে পরের ম্যাচেও ভালো করেছি। আশা করি, ফাইনালেও আমরা ভালো খেলতে পারব।’
সামনে থেকে পথ দেখানোর জন্য যোশী কৃতিত্ব দিচ্ছেন টপ অর্ডারকে, ‘আমাদের টপ অর্ডার বিশেষ করে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ সামনে থেকে পথ দেখিয়েছে। আর সাকিব দলে আসায় বোঝা গেছে এই ফরম্যাটে আমরা কতটা শক্তিশালী।’