• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    জিতেই সুপার লিগে শেখ জামাল

    জিতেই সুপার লিগে শেখ জামাল    

    শেখ জামাল ধানমন্ডি-ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ফতুল্লা

    টস-  ব্রাদার্স ইউনিয়ন (বোলিং)

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৪৭.১ ওভারে ১৮৪ ( সৈকত ৫৫, তানবির ৩৩, সানি ৩১, খালেদ ৩/৪১)

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৩৯.২ ওভারে ১১০ ( মায়শুকুর ২৭, দেব্রবত ২৭, সানি ৩/ ২২, গাজী ৩/৩৬)

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৭৪ রানে জয়ী

     

    নিজেদের ভাগ্য ছিল নিজেদের হাতেই। জিতলেই সুপার লিগ, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সামনে সমীকরণটা ছিল এমনই। ফতুল্লায় ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়টাই পেল শেখ জামাল। ইলিয়াস সানির অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ব্রাদার্সকে ৭৪ রানে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে তারা।

    লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৮৫। প্রথম বলেই ব্রাদার্সের মিজানুর রহমানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। নিজের দ্বিতীয় ওভারে জুনায়েদ খানকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। ৭ রানে ২ উইকেট হারানো ব্রাদার্সকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল মায়শুকুর রহমান ও দেবব্রত দাসের জুটি।

    ২ চার ও এক ছয়ে ৫৬ বলে ২৭ রান করা মায়শুকুরকে ফিরিয়ে ৪৭ রানের জুটি ভাঙ্গেন নাজমুল ইসলাম। এরপর দলের হাল ধরতে পারেননি আর কেউই। ২৭ রান করে সানির বলে আউট হন দেব্রবত। অলল কাপালি ১২ ও মইনুদ্দিন রুবেল ১৬ রানে ফিরলে জয়ের শেষ আশাটাও ধূলিসাৎ হয়ে যায় ব্রাদার্সের। ব্রাদার্সের লোয়ার মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছেন গাজী একাই। ব্রাদার্সের শেষ ৮ উইকেট পড়েছে মাত্র ৫৬ রানের ব্যবধানে। সানি ও গাজী দুজনেই নিয়েছেন ৩ টি করে উইকেট।

    ফতুল্লায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কা খায় শেখ জামাল। ২ রান করে খালেদ আহমেদের বলে ফেরেন ওপেনার পিনাক ঘোষ। রাকিন আহমেদও টেকেননি বেশিক্ষণ। অন্যরা যখন টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন খানিকটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার সৈকত আলি। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ফিফটি করলেন ইনিংসটা খুব বড় করতে পারেননি।

    ৫৫ রান করে সৈকত আউট হলে দলের হাল ধরেন তানবির হায়দার ও ইলিয়াস সানি। দুজনের কল্যাণেই দলের স্কোর ১৫০ পেরোয়। ৩৩ রান করে কাপালির বলে মায়শুকুরকে ক্যাচ দিয়েছেন তানবির, সানি হয়েছেন খালেদের তৃতীয় শিকার। শেষ পর্যন্ত স্কোর আর ২০০ পেরোতে পারেনি। শেখ জামালের শেষ ৫ উইকেট পড়ে ৩৭ রানে।   

    এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে উঠলো শেখ জামাল। এই মৌসুমে ৬ ম্যাচ জিতেছে তারা, হেরেছে ৫টিতে।