• বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
  • " />

     

    সেই আফগানিস্তানই চলে গেল বিশ্বকাপে

    সেই আফগানিস্তানই চলে গেল বিশ্বকাপে    

    বলটা ফাইন লেগ দিয়ে সীমানা পার হয়ে যাওয়ার জন্যও অপেক্ষা করলেন না স্টানিকজাই। বুনো উল্লাসে জানান দিলেন, জয়টা কতটা প্রার্থিত ছিল তাদের জন্য। ড্রেসিংরুমে তখন রশিদ খান ও কোচ ফিল সিমন্স আলিঙ্গন শুরু করেছেন, আফগানদের মুখে তখন যুদ্ধজয়ের আনন্দ। যুদ্ধজয় আসলে কমই হয়ে যায়। যে বিশ্বকাপ স্বপ্ন একসময় সুদূরে মিলিয়ে যাচ্ছিল তাদের, সেটাই রূপকথার মতো এসে ধরা দিল হাতে। আয়ারল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ স্বপ্ন সত্যি হলো আফগানিস্তানের।

    স্কট্যলান্ডের কাছে হেরে শুরু, এরপর জিম্বাবুয়ে এমনকি পুঁচকে হংকংয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছিল আফগানদের। নেপালকে হারানোর পর হংকং সেই নেপালের কাছেই হেরে যাওয়ায় প্রায় ধুঁকতে ধুঁকতেই উঠেছে সুপার সিক্সে। সেখানে নিজেদের সবগুলো ম্যাচ জিতলেও হতো না, নির্ভর করতে হতো অনেক যদি-কিন্তুর ওপর। কীভাবে কীভাবে যেন সবকিছুই মিলে গেল আফগানদের।

    কাল জিম্বাবুয়ে আমিরাতের হেরে যাওয়াতেই দরজাটা খোলা হয়ে গেল আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডের। আজ জয়ী দলই বিশ্বকাপে চলে যেত, এমন ছিল সমীকরণ। শুরুতে সহজ মনে হলেও একটা সময় আফগানরা নিজেরাই কঠিন করে ফেলেছিল কাজটা। মোহাম্মদ শাহজাদ যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন, আইরিশদের অসহায় মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৫০ বলে ৫৪ রান করে শাহজাদ আউট হওয়ার পর পরেই যেন খোলসে ঢুকে যায় আফগানরা।

    ১৬ ওভারের মধ্যেই ৮৬ রান উঠে যাওয়ার পরও আফগানদের সামনে কাজটা সহজ ছিল না। গুলবদন নাইব, রহমত শাহ, সামিউল্লাহ শেনোয়ারি সবাই রানের জন্য সংগ্রাম করেছেন। একটা সময় শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ৫৯, ম্যাচটা হতে পারত যে কারও।

    তবে অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই সেখান থেকেই খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। বলতে গেলে পুরো চাপটাই নিয়েছেন নিজের কাঁধে, শেষ দিকে বলে বলে রান দরকার হলেও স্নায়ুচাপে ভোগেননি। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৩৯ রান করে ৫ বল হাতে রাখতেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ব্ররুথা গেছে সিমি সিংদের দুর্দান্ত বোলিং।

    তার আগে আয়ারল্যান্ডের দৃশ্যটা ছিল উলটো। ওপেনিং জুটিই রান তুলতে বিস্তর ভুগছিল, ৫৩ রান তুলতেই খেলে ফেলেছিল ১৫.২ ওভার। এরপরের ব্যাটসম্যানরা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দুই ভাই নিল ও ব্রায়েন ও কেভিন ও ব্রায়েন চেষ্টা করেছিলেন। নিল ৪১ বলে করেছেন ৩৬, তবে কেভিনের ৩৭ বলে ৪১ রানের জন্যই শেষ ১০ ওভারে সাতের কাছাকাছি উঠেছে রান। ২০০ও পেরিয়েছে তাতেই। দিন শেষে তা অবশ্য জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।