বল টেম্পারিংয়ের ডামাডোলে লায়নের ৩০০
টিম পেইনের জন্য স্টাম্পিংটা ছিল সহজ। কাগিসো রাবাদা ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছিলেন, তেঁড়েফুঁড়ে বড় শট খেলবেন বলে। ন্যাথান লায়নের ফ্লাইটে ধোঁকা খেলেন, স্টাম্পড হয়ে নাম লেখালেন ইতিহাসে! ন্যাথান লায়নের ৩০০তম টেস্ট উইকেট বনে গেলেন তিনি, কেপটাউনে বল-টেম্পারিংয়ের বিতর্কে হয়তো মিলিয়ে গেল লায়নের অর্জনটাও। অন্য সময় হলে উদযাপনটা আরও বেশি হতো, এখানে থাকলো বেশ পরিমিতই!
তবে ইতিহাস থেকে লায়ন মিলিয়ে যাবেন না সহসাই। অ্যাডিলেড ওভালের কিউরেটর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলে, এরপর তাদের ইতিহাসের সেরা অফস্পিনার বনে যাওয়া- ভ্রমণটা দীর্ঘ, অর্জনের পাল্লাটাও বেশ ভারিই। লায়নের আগে অফস্পিনার হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেট পেয়েছেন চারজন- শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরণ, ভারতের হারভাজান সিং ও রবি আশ্বিন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ল্যান্স গিবস। সব মিলিয়ে ৩৩তম বোলার হিসেবে টেস্টে এই কীর্তি গড়লেন লায়ন, প্রথম অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনার হিসেবেও।
২০১১ সালে গলে অভিষেক হয়েছিল লায়নের, তার প্রথম টেস্ট উইকেট ছিল কুমার সাঙ্গাকারা। ৭৭ ম্যাচ ও ১৪৭তম ইনিংসে এসে ছুঁলেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক, সময়ের হিসেবে প্রায় সাড়ে ছয় বছরের মাঝেই।
২৯৬ টেস্ট উইকেট নিয়ে কেপটাউনে খেলতে নেমেছিলেন লায়ন, প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। বাকি ছিল আর ২টি, তবে এর আগেই বল-টেম্পারিং বিতর্ক ছাপিয়ে গেছে যেন সবকিছুকেই! এই টেস্টেই ৩০০ উইকেটে মাইলফলক ছুঁয়েছেন এ সিরিজ খেলেই অবসর নিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মরনি মরকেল।