• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    চাঁদের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, আবাহনীকে হারিয়ে দিল শেখ জামাল

    চাঁদের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, আবাহনীকে হারিয়ে দিল শেখ জামাল    

    শেখ জামাল- আবাহনী, ফতুল্লা
    টস- আবাহনী (ফিল্ডিং) 
    শেখ জামাল ২৫৮/৮, ৫০ ওভার (চাঁদ ১০১, সৈকত ৫৬, তানভীর ৩১, মাশরাফি ৩/৪৬, মিরাজ ২/৩৭, তাসকিন ২/৫৯)
    আবাহনী ২৩০ অল-আউট, ৪৭.২ ওভার (মিরাজ ৩৫, এনামুল ৩৪, তাসকিন ৩১, রবিউল ৩/৩৫, আবু জায়েদ ৩/৫১, সানি ১/৩৮)
    ফল- শেখ জামাল ২৮ রানে জয়ী 


    শেষ দল হিসেবে সুপার লিগে উঠেছিল শেখ জামাল, তবে পরের রাউন্ডে এসে যেন বদলে গেল তাদের পারফরম্যান্সও। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ভারতীয় ব্যাটসম্যান উন্মুক্ত চাঁদ যেন শেখ জামালের জন্য আশির্বাদ হয়ে এলেন। এসেই করলেন টানা দুই সেঞ্চুরি, তার সেঞ্চুরিতে এবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল আবাহনীকেও হারিয়ে দিল শেখ জামাল। ফতুল্লায় সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনীকে ২৬ রানে হারিয়েছে তারা। এ জয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এলো ধানমন্ডির ক্লাবটি। 

    টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া আবাহনীকে হতাশ করে গেছেন জামালের দুই ওপেনার- সৈকত আলি ও চাঁদ। ৯০ রানের জুটি ভেঙেছে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে সৈকত স্টাম্পড হওয়াতে, এর আগে তিনি করেছেন ৫৬ রান। রাকিন আহমেদ দ্রুত ফিরলেও তানভীর হায়দারকে নিয়ে ৩য় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েছেন চাঁদ, সে জুটি ভেঙেছে তানভীরের রান-আউটে। 

    ৪৩তম ওভারে গিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়েছেন চাঁদকে, তার আগে করেছেন ১৩৮ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ১০১ রান। এরপর ১৭ রান তুলতেই শেখ জামাল হারিয়েছে ৫ উইকেট, ইলিয়াস সানি ও নাজমুল ইসলাম মিলে তাদেরকে নিয়ে গেছেন ২৫৮ রান পর্যন্ত। ৪৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় নিজেকে নিয়ে গেলেন আরও দূরে। ১৩ ম্যাচে এখন ৩৫ উইকেট তার। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। 

    এরপর আবাহনী একটা চমক দিল, ওপেনিংয়ে এনামুলের সঙ্গে এলেন মাশরাফি। অবশ্য ৮ বলে ৭ রান করে আবু জায়েদের বলে বোল্ড হয়েছেন। ৩২ বলে ৩৪ রান করে ফিরেছেন এনামুল, এই দুইজনের মাঝে আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হনুমান বিহারি ও আরেক নায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেটও আবাহনী হারিয়েছে ৮৯ রানের ভেতরই। এই ৫ উইকেটের ৩টিই নিয়েছেন আবু জায়েদ। 

    এরপরের ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছেন, তবে নাসির হোসেনের ২৮, মোসাদ্দেক হোসেনের ২৭, মিরাজের ৩৫, সানজামুল ইসলামের ২৭ ও তাসকিনের ৩১ রানের ইনিংস- যথেষ্ট হয়নি কোনোটিই। শেষ ৩০ বলে ৫১ রানের প্রয়োজনীয়তাটা তাসকিনের ঝড়ো ইনিংসে ১৮ বলে ২৮ রানে নেমে এসেছিল, তবে রবিউল হকের বলে ক্যাচ দিয়ে অন্যরকম কিছু করতে পারেননি আর তাসকিন। ১৬ বল বাকি থাকতেই জিতে গেছে শেখ জামাল। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ ও রবিউল।