এসেই ঝলক দেখালেন রাজা
গাজী গ্রুপ-খেলাঘর (বিকেএসপি)
টস- খেলাঘর (ফিল্ডিং)
গাজী ৩০৪/৬, ৫০ ওভার (রাজা ৯০, ইমরুল ৬৩, মুমিনুল ৪৭, তানভীর ৩/৪৩, মাসুম ২/৭৩)
খেলাঘর ২৭০ অল-আউট, ৪৯.৩ ওভার (অংকন ৬৯, রবি ৬৭, মাসুম ৪৪, রনি ৩/৪৩, মেহেদি ২/৪৫, রাজা ১/৫২)
ফল- গাজী গ্রুপ ৩৪ রানে জয়ী
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা, তবে জিম্বাবুয়েকে মূল পর্বে নিয়ে যেতে না পারার আক্ষেপটা পুড়িয়েছে তাকে। এসেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে, জিম্বাবুয়ের হয়ে সে ফর্মটা টেনে আনলেন সিকান্দার রাজা, প্রথম ম্যাচেই হলেন ম্যাচসেরা। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে খেলাঘরকে হারিয়ে সুপার লিগে প্রথম জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ।
বিকেএসপিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল গাজী গ্রুপ, ১২ রানেই ওপেনিং জুটি ভেঙেছে তাদের। ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক এরপর ২য় উইকেটে যোগ করেছেন ৯৬ রান। ৫৬ বলে ৬৩ রান করে তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়েছেন ইমরুল, ৪৭ রান করে মাসুম খানকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুল।
রাজাকে এরপর সঙ্গ দিয়েছেন আসিফ আহমেদ, এই দুইজনের জুটি ৫৫ রানের। ৪৭তম ওভারে আউট হয়েছেন চারে নামা রাজা, ৮৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে করেছেন ৯০ রান। এরপর নাদিফ চৌধুরির ৩৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ৩০০ পেরিয়ে গেছে গাজী গ্রুপ। ৮ বোলার ব্যবহার করেছে খেলাঘর, ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তানভীর।
৩০৫ রানের লক্ষ্যে খেলাঘরের ওপেনিং জুটিতেই রবিউল ইসলাম রবি ও মাহিদুল ইসলাম অংকন তুলেছিলেন ১০৮ রান। ৬৩ বলে ৬৭ রান করে নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হয়েছেন রবি, ৯৪ বলে ৬৯ রান করে মুমিনুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন অংকন। তবে খেলাঘরের মিডল অর্ডারে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ, অশোক মেনারিয়া করেছেন ২৫ রান, রাফসান আল মাহমুদ ২০ রান।
সাতে নেমে ৪১ বলে ৪৪ রান করেছেন মাসুম, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি লোয়ার অর্ডারেরও কেউ। ৩ বল বাকি থাকতে ২৭০ রানেই থমকে গেছে খেলাঘর। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি, ৪৫ রানে ২টি নিয়েছেন মেহেদি হাসান। আর ৫২ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন রাজা।