গা গরমই হলো না সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের
সতীর্থেরা যখন প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন, তাঁরা বসে আছেন বাইরে। মোহামেডান, প্রাইম ব্যাংক, শাইনপুকুর- এই তিন ক্লাবের ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগটা করে দিতেই আয়োজন। তবে যে দুজনের ওপর আলোটা ছিল, তাদের কেউই খুব একটা গা গরম করতে পারলেন না। প্রীতি ম্যাচে সাকিব আল হাসানের বিসিবি লাল দল মাহমুদউল্লাহর সবুজ দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বটে, তবে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি দুজন।
মিরপুরে দিবারাত্রির ম্যাচের জন্য আরও বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও আজ দর্শক হিসেবে ছিলেন কোর্টনি ওয়ালশ, জাতীয় দলের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন, হাবিবুল বাশার, বিসিবির পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও। বলতে গেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পুরো থিঙ্কট্যাঙ্কই উপস্থিত। দর্শকও একদম কম ছিল না, অন্তত প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য তো বটেই। ম্যাচের মাঝামাঝি একটা গ্যালারির অনেকটুকুই ভরে উঠল। তবে ব্যাট বলের লড়াইটা ঠিক জমল না টি-টোয়েন্টিতে, মাহমুদউল্লাহদের দেওয়া ৯৬ রানের লক্ষ্য সাকিবরা পেরিয়ে গেল সহজেই।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই দ্বিতীয় ওভারেই রনি তালুকদারকে হারিয়ে বসে সবুজ দল। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই হারাতে থাকে উইকেট। সাকিব আল হাসান চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়েই পেয়ে যান উইকেট, তার আগেই অবশ্য আরও ২ উইকেট হারিয়ে বসে সবুজ দল। জাতীয় দলের আরিফুল হকও ১৩ রানে ফিরে যান, ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সবুজ দল।
মাহমুদউল্লাহ কেন নামছেন না, এ নিয়ে জল্পনা কল্পনাও শুরু হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত নামলেন সাতে, দল তখন বিপদেই। কিন্তু বেশিক্ষণ টেকেননি ক্রিজে, ১০ বলে ১১ রান করে স্টাম্পড হয়ে গেছেন রায়হানের বলে। শেষদিকে দেলোয়ার হোসেনের ২২ বলে ২০ রানে ৯৬ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে সবুজ দল। তিন উইকেট পেয়েছেন রায়হান উদ্দিন, সাকিব ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেটই।
৯৬ রানের লক্ষ্য, ব্যাটিং অনুশীলনের জন্য সাকিব নেমে গিয়েছিলেন শুরুতেই। দেলোয়ারের প্রথম ওভারে দারুণ দুই শটে দুইটি চারও মারলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১১ বলে ১৫ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি, ৪ উইকেট হারিয়েও লাল দল লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ১৬.১ ওভারেই। জাকির হাসান অপরাজিত ছিলেন ৩৫ বলে ৩৭ রান করে।