আবাহনীর ইতিহাসের দিনে জিতল শেখ জামাল, রুপগঞ্জও
ইতিহাস গড়ে জিতেছে আবাহনী, তবে তাদের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে রুপগঞ্জ ও শেখ জামাল। বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে তারাও, প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে তিন রাউন্ড শেষে আবাহনীর পয়েন্ট ২০, রুপগঞ্জ ও শেখ জামালের প্রত্যেকের পয়েন্ট ১৮।
আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বর, বিকেএসপি
আবাহনী ৩৯৩/৪, ৫০ ওভার
দোলেশ্বর ২৪৪/৩, ৩৪.১ ওভার (লক্ষ্য ২৬৫)
আবাহনী ডি-এল মেথডে ২০ রানে জয়ী
বিজয়-শান্তর সেঞ্চুরিতে প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়া আবাহনীর বিপক্ষে রান-তাড়ায় একসময় ঠিকপথেই ছিল দোলেশ্বর। ২০ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭৭, মার্শাল আইয়ুব অপরাজিত ছিলেন ৭৪ বলে ৯৩ রানে, ফজলে মাহমুদ ৭৭ বলে ৯১ রানে। তবে এরপরই বাগড়া বাধালো বৃষ্টি। নতুন লক্ষ্য দাঁড়ালো ৩০ বলে ৬১ রান, তবে বিরতিতে ছেদ পড়লো মার্শাল-ফজলের ব্যাটে।
দুইজনই সেঞ্চুরি করলেন, তবে শেষ ওভারে প্রয়োজনটা হয়ে দাঁড়ালো ৩৫ রানের, এক বল পরই আবার নামলো বৃষ্টি, শেষ পর্যন্ত ডি-এল মেথডে ২০ রানে হেরে গেল দোলেশ্বর। ৩৯৪ রান তাড়ায় ৩৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছিল দোলেশ্বর, এরপর ফজলে ও মার্শাল মিলে গড়েছেন এ মৌসুমে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড ২০৭ রানের জুটি। তবে সেটাও শেষ পর্যন্ত পারেনি আবাহনীকে আটকাতে।
শেখ জামাল-গাজী গ্রুপ, মিরপুর
শেখ জামাল ২৪৮ অল-আউট, ৪৭.৪ ওভার (জিয়াউর ৮৬, সৈকত ৫১, তানভীর ৫০, আবু হায়দার ৪/৫৭, মুমিনুল ২/৩৭, রাজা ২/৪৭)
গাজী গ্রুপ ২১৭/৭, ৪৭.১ ওভার (লক্ষ্য ২২৬) (জাকের ৬১, আসিফ ৫২*, রবিউল ৩/২৭, সোহাগ ১/৩১)
ফল- শেখ জামাল ডি-এল মেথডে ৮ রানে জয়ী
গাজী গ্রুপের রান-তাড়ায়ও বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ৪ উইকেট নিয়ে ২৪ বলে ৩৫ রান দরকার ছিল গাজীর, তবে ৪৭তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হলেন মেহেদি। সে ওভার শেষেই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেল খেলা, সেই উইকেটটা ভোগাল গাজীকে। ডি-এল মেথডে শেষ পর্যন্ত ৮ রান দূরেই থামতে হলো তাদের।
এর আগে ব্যাটিংয়ে জিয়াউর রহমানের ৮৬, সৈকত আলির ৫১ ও তানভীর হায়দারের ৫০- তিন ফিফটিতে ২৪৮ রান পর্যন্ত গিয়েছিল শেখ জামাল। ১ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭.৪ ওভারেই অল-আউট হয়ে গিয়েছিলেন তারা।
রুপগঞ্জ-খেলাঘর, ফতুল্লা
রুপগঞ্জ ২১৬/৮, ৫০ ওভার (মিলন ৬৩, নাঈম ৩৩, সাদ্দাম ৪/৩৯, তানভীর ৩/৪৪)
খেলাঘর ২০৪ অল-আউট, ৪৮.৫ ওভার (অংকন ৭৭, নাজিমউদ্দিন ৪৫, রসুল ২/৩৯, আসিফ ২/৩৬)
ফল- রুপগঞ্জ ১২ রানে জয়ী
অন্য দুই ম্যাচের মতো বৃষ্টি এখানে বাগড়া দিতে পারেনি। তার আগেই লো-স্কোরিং ম্যাচটা হেরে গেছে খেলাঘর। ২১৭ রান তাড়ায় ওপেনার মাহিদুল ইসলাম অংকনের ৭৭ ও ছয়ে নামা অধিনায়ক নাজিমউদ্দিনের ৪৫ রানের ইনিংস ছাড়া অবদান রাখতে পারেননি তেমন কেউ। ৪৮তম ওভারে ১৩ রান নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন মাসুম খান, পরের ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে সে আশার গুড়ে বালি ছিটিয়েছেন তিনি নিজেই।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল গাজী গ্রুপ, ৮৬ রানেই তারা হারিয়েছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে উদ্ধার করেছেন নয় নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন মিলন, অপরাজিত ছিলেন ৬৬ বলে ৬৩ রানে। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন দশ নম্বর ব্যাটসম্যান আসিফ (২০) ও শেষ ব্যাটসম্যান শহীদ। পরেরজন তো খেলেছেন ক্যামিও, ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।