• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    বিধ্বংসী শহীদে বেঁচে থাকল রূপগঞ্জের শিরোপার আশা

    বিধ্বংসী শহীদে বেঁচে থাকল রূপগঞ্জের শিরোপার আশা    

    লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ-গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ফতুল্লা

    গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৫.৪ ওভারে ১৫২ ( জহুরুল ৩১, জাকেশর ৩০, শহীদ ৪/২৬)

    লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ (টস) ২২.৫ ওভারে ১৫৩/২ ( অভিষেক ৫৭*, নাইম ৪৫, মুশফিক ৩০*, টিপু ১/২২)

    লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী।


    আগের ম্যাচে অল্প পুঁজি নিয়ে দারুণ লড়াই করেই জয় এসেছিল। আজ অবশ্য জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। মোহাম্মদ শহীদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে থাকা আবাহনীকে চাপেই রাখল রূপগঞ্জ। 

    ফতুল্লায় টসে জিতে গাজীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপগঞ্জ। দ্বিতীয় ওভারেই শহীদের আঘাত, শূন্য রানেই ফেরেন ইমরুল কায়েস। মেহেদি হাসান কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের আভাস দিয়েছিলেন। ২৮ বলে ২১ করার পর তাকেও ফেরান শহীদ। ৪ ওভার পর শরিফের বলে আউট হন মুমিনুল হক। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে গাজী।

    প্রাথমিক বিপর্যয় কিছুটা সামাল দিয়েছেন অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ও জাকের আলি। দুইজনের ৫১ রানের জুটি কিছুটা আশা যোগাচ্ছিল দলকে। পারভেজ রসুলের জোড়া আঘাতে সেই আশা নিমিষেই ভেঙে যায়। দুই ওভারের ব্যবধানে ৩০ রান করা জহুরুল ও  ৩১ রান করা জাকের ফিরলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি গাজী। ৫৯ রানেই পড়ে শেষ ৫ উইকেট। নাইম হাসানের ২৩ রানের ইনিংস না থাকলে হয়ত ১৫০ রানও পেরুতে পারত না তারা। ১০ ওভার বল করে শহীদ দিয়ছেন মাত্র ২৬ রান, নিয়েছেন ৪ উইকেট।

    ১৫৩ রানের লক্ষ্যটা অনায়াসেই পেরিয়েছে রূপগঞ্জ। মোহাম্মদ নাইম, অভিষেক মিত্র ও মুশফিকুর রহিম; তিনজনই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ৪ রানে আব্দুল মজিদ ফেরার পর জুটি গড়েছেন নাইম-অভিষেক। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৪ বলে ৪৫ রান করে টিপু সুলতানের বলে আউট হয়েছেন নাইম।

    নাইম ফিফটি না পেলেও পেয়েছেন অভিষেক। নাইমের পর নামা মুশফিকও চড়াও হয়েছেন গাজীর বোলারদের ওপর। ৫৭ রান করে অভিষেক ও ৩০ রানে অপরাজিত ঞ্ছিলেন মুশফিক। ২৭ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে রূপগঞ্জের। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়েই রইল রূপগঞ্জ। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগে বাকি এখন এক রাউন্ড।