• লা লিগা
  • " />

     

    কিক অফের আগেঃ মাদ্রিদের দুই ক্লাবের দুই হওয়ার লড়াই

    কিক অফের আগেঃ মাদ্রিদের দুই ক্লাবের দুই হওয়ার লড়াই    

    চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই রিয়াল, লা লিগা মানেই অ্যাটলেটিকো

    রিয়াল মাদ্রিদ বনাম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ; সান্তিয়াগো বার্নাব্যু; ৮ এপ্রিল, রাত ৮ঃ১৫, টেন ২

    ২০১১ সালের আগে বলতে গেলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পরিচয় ছিল কেবলই রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। কিন্তু ঐ বছর ডিয়েগো সিমিওনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অ্যাটলেটিকো নিজেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে পেরে না উঠলেও লা লিগায় রিয়ালকে টেক্কা দিচ্ছে সমান সমান, জয়ও ছিনিয়ে আনছে প্রায়ই। এমনকি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লিগের শেষ ৪ মাদ্রিদ ডার্বিতে হারেনি অ্যাটলেটিকো (৩ জয়, ১ ড্র), যা লা লিগায় যেকোনো দলের বিপক্ষে রিয়ালের জয়হীন থাকার সবচেয়ে বড় রেকর্ড। মৌসুমের শুরুতে রিয়ালের থেকে পিছিয়ে থাকলেও একটা সময় ১০ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল সিমিওনের দল। তবে শেষ ৪ ম্যাচে ২ হারে ব্যবধানটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ পয়েন্টে। ২ নম্বরে উঠে আসতে আগামীকাল জেতাটা রিয়ালের জন্য অপরিহার্যই। মৌসুমের প্রথমভাগে রীতিমত গড়পড়তা রিয়াল জ্বলে উঠেছে নতুন বছরে। শেষ ৯ ম্যাচে অপরাজিত আছে জিদানের দল। ফর্ম, তারকাঠাসা দল- সব দিক দিয়েই এগিয়ে আছে রিয়ালই। কিন্তু লা লিগার ম্যাচ, তাও আবার বার্নাব্যুতে- সব মিলিয়ে তাই খুব একটা নির্ভার থাকতে পারছে না 'লস ব্লাঙ্কোস'রা। অ্যাটলেটিকোর দুশ্চিন্তার মূল কারণ সাম্প্রতিক ফর্ম।

     

     

    ইনজুরির কারণে রিয়ালের মৌসুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি মিস করবেন ডিফেন্ডার নাচো ফার্নান্দেজ। একই কারণে অ্যাটলেটিকো পাচ্ছে না দুই ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইজ এবং সিমে ভার্সালকোকে। বুধবার জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচের কথা মাথায় রেখে মার্সেলোর বদলে রক্ষণের বাঁ-প্রান্তে হয়ত নামতে পারেন থিও হার্নান্দেজ, গত গ্রীষ্মেই যিনি অ্যাটলেটিকো ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন রিয়ালে। সেক্ষেত্রে রিয়াল-অ্যাটলেটিকোর লড়াইয়ের উত্তাপটা ছড়াতে পারে হার্নান্দেজ ভ্রাতৃদ্বয়ের মাঝেও। কারণ অ্যাটলেটিকোর লেফটব্যাক হিসেবে নামবেন থিও-র সহোদর লুকাস হার্নান্দেজ। বহিষ্কারাদেশের কারণে জুভেন্টাসের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের খেলতে না পারা এবং মাদ্রিদ ডার্বির আগে রাফায়েল ভারানের মাত্র একদিন অনুশীলন করা- সব মিলিয়ে রিয়ালের রক্ষণভাগে দেখা যেতে পারে তরুণ ডিফেন্ডার হেসুস ভায়েহোকে। 

    সম্ভাব্য মূল একাদশঃ

    রিয়াল মাদ্রিদ (৪-৪-২): নাভাস; কারভাহাল, ভারান, রামোস, মার্সেলো; কাসেমিরো, মদ্রিচ, ক্রুস, ভাজকেজ; বেনজেমা, রোনালদো

    অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (৪-২-৩-১): ওবলাক; হুয়ানফ্রান, গোডিন, হিমেনেজ, লুকাস; গাবি, থমাস; কোকে, গ্রিয়েজম্যান, সাউল; কস্তা

    রিয়ালের জন্য কাজটা আরও কঠিন করে তুলবে অ্যাটলেটিকোর ইস্পাতদৃঢ় রক্ষণ। এই মৌসুমে লা লিগায় সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে সিমিওনের দল (১৪)। গোডিন, হিমেনেজকে ফাঁকি দেওয়াটাই হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং করিম বেনজেমার মূল লক্ষ্য। মাঝমাঠে রিয়ালের আক্রমণ রুখে দিতে 'ডেস্ট্রোয়ার' ভূমিকায় থাকবেন ঘানাইয়ান থমাস পার্টি। রিয়ালের আক্রমণভাগকে নিষ্ক্রিয় করতে মাঝামঠের দুই প্রাণভোমরা টনি ক্রুস এবং লুকা মদ্রিচকে থামানোর ছক কাটতে হবে সিমিওনেকে। ওদিকে রামোস-ভায়েহোর মূল কাজ হবে কোকে, গ্রিয়েজম্যানদের আটকানো, যাতে মূল স্ট্রাইকার ডিয়েগো কস্তা বলের যথার্থ যোগান না পান। রিয়ালের দুই ফুলব্যাক দানি কারভাহাল এবং মার্সেলোর ওপরও নির্ভর করছে অনেক কিছু। আক্রমণভাগেই বেশি সময় কাটানো এই দুই ফুলব্যাককে প্রতি আক্রমণে বেশ ঝামেলায়ই ফেলতে পারে অ্যাটলেটিকো। গোডিন বনাম রোনালদো, রামোস বনাম কস্তা, কোকে বনাম মদ্রিচ, সাউল বনাম ক্রুস- ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে এই একক লড়াইগুলোই। প্রতি আক্রমণে অ্যাটলেটিকোকে আটকাতে বা নিজেদের আক্রমণভাগে রিয়ালের তুরুপের তাস হতে পারেন লুকাস ভাজকেজ। এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভাজকেজ প্রতি ম্যাচেই রোনালদোদের যেভাবে বলের যোগান দেন, ঠিক তেমনি প্রতিপক্ষের আক্রমণের সময় নিচে নেমে সাহায্য করেন কাসেমিরো-রামোসদের। আর বদলি হিসেবে রিয়ালের আশা ভরসার প্রতীক নিঃসন্দেহে মার্কো আসেন্সিও। তরুণ এই উইঙ্গারকে আটকাতে সিমিওনে কী টোটকা সাজান, তা-ই এখন দেখার বিষয়।

    বার্নাব্যুতে শেষ চার ম্যাচ ধরে অপরাজিত অ্যাটলেটিকো। ওদিকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে জয়ের বিকল্প নেই রিয়ালের। জিদানের দল কি পারবে লিগে নিজেদের মাঠে 'অ্যাটলেটিকো জুজু' কাটাতে? নাকি আবারও বার্নাব্যুতে শেষ হাসিটা হাসবেন সিমিওনে?



    মরিনহোর সামনেই গার্দিওলার 'প্রথম'?

    ম্যানচেস্টার সিটি বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড; ইতিহাদ স্টেডিয়াম; ৭ এপ্রিল, রাত ১০ঃ৩০; স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি

    ম্যানচেস্টার সিটির উত্থানের গল্পটা কিছুটা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতই। প্রায় এক শতাব্দী নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ছায়ায় থাকার পর অবশেষে ২০০৮ সালে দুবাইয়ের রাজবংশের পেট্রোডলারের ঝনঝনানিতে পুষ্ট হয়ে ভাগ্য খোলে সিটির। এরই মাঝে দু'বার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছে 'সিটিজেন'রা। আজকের ম্যাচটা খুব সম্ভবত সিটির ইতিহাসের সবচেয়ে অর্থবহুল। কারণ নিজেদের মাঠে ইউনাইটেডকে হারিয়ে দিলেই ২০১৭-১৮ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে সিটি। আজ জিতলে একমাত্র দল হিসেবে ৬ ম্যাচ হাতে রেখেই ইপিএল শিরোপা জেতার গৌরব অর্জন করবে সিটি। মৌসুমের শুরুতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে হোসে মরিনহোর ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। লড়াইটা তাই আজ গার্দিওলার নিজের জন্যও। মাঠের ফুটবলে যেমন লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ঠিক তেমনি ডাগআউটেও মরিনহো-গার্দিওলা যেন ফুটবলবিশ্বের কাছে সেরা দুই কোচের 'অঘোষিত' লড়াই। 'চিরশত্রু'কে রীতিমত নিজেদের মাঠে আতিথেয়তা দিয়ে তারই সামনে ইংল্যান্ডে নিজের প্রথম লিগশিরোপা জয়ের আনন্দে মাতার মত দারুণ সুযোগটা নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবেন না পেপ।

     

     

    মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে পূর্ণশক্তির স্কোয়াডই পাচ্ছেন মরিনহো। তবে 'দ্যা স্পেশাল ওয়ান'-এর মত এতটা নির্ভার থাকতে পারছেন না গার্দিওলা। কারণ স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরোর খেলা নিয়ে আছে সংশয়। গত সপ্তাহে অনুশীলনে ফিরলেও এখনও পুরোপুরি ফিট নন তিনি। গত সপ্তাহে লিভারপুলের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগে রীতিমত অপদস্থ হওয়া সিটি দ্বিতীয় লেগে শতভাগ ফিট আগুয়েরোকেই চাইবে। সেক্ষেত্রে সিটির মূল একাদশে দেখা যেতে পারে গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে। ইউনাইটেডে পাড়ি জমানোর সপ্তাহখানেক আগেও অ্যালেক্সিস সানচেজের সিটিতে যোগ দেওয়া মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সামনে সিটির সম্ভাব্য শিরোপা উদযাপনটা নিশ্চয়ই ভেস্তে দিতে চাইবেন এই চিলিয়ান উইঙ্গার।

     

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশঃ

    ম্যানচেস্টার সিটি (৪-২-৩-১): এডারসন; ওয়াকার, ওটামেন্ডি, কম্পানি, ডেলফ; ফার্নান্দিনহো, সিলভা ; বার্নার্দো, ডি ব্রুইন, স্টার্লিং; হেসুস

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৪-২-৩-১): ডি গেয়া; ভ্যালেন্সিয়া, জোন্স, বাই, ইয়ং; মাতিচ, পগবা; রাশফোর্ড, লিনগার্ড, সানচেজ; লুকাকু

    গতবারের মত এবারের ম্যানচেস্টার ডার্বির মূল লড়াইটা হবে মাঝমাঠেই। সিটিকে আটকাতে হলে কেভিন ডি ব্রুইন এবং ডেভিড সিলভাকে পুরোটা ম্যাচই রীতিমত পকেটবন্দী করে রাখতে হবে ইউনাইটেডকে। সেক্ষেত্রে হয়ত জেসি লিনগার্ডের বদলে মারুয়ান ফেলাইনিকে নামিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গির দলও নামাতে পারেন মরিনহো। তখন আক্রমণভাগে সানচেজ-লুকাকুদের বল যোগানের মূল দায়িত্বটা পড়বে পল পগবার কাঁধে। এই মৌসুমে সিটি প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ২১ গোল হজম করলেও এর ৮টিই এসেছে 'সেটপিস' থেকে। সে হিসেবে কর্ণার, ফ্রিকিকগুলোতে নিকোলাস ওটামেন্ডি, ভিনসেন্ট কম্পানিদের বেশ ঝামেলায়ই ফেলতে পারেন রোমেলু লুকাকু, এরিক বাইরা। সিটির আক্রমণভাগে দুই উইঙ্গার লিরয় সানে এবং বার্নার্দো সিলভাও আছেন দারুণ ফর্মে। দুই ফুলব্যাক আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া এবং অ্যাশলি ইয়ংকে সতর্ক থাকতে হবে পুরো ম্যাচজুড়েই। দুই দলের দুই 'ডেস্ট্রোয়ার' মাতিচ এবং ফার্নান্দিনহোর প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দেওয়ার সাফল্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য। মৌসুমের শেষভাগে ফর্মে ফিরেছেন লুকাকু। গত ম্যানচেস্টার ডার্বির একেবারে শেষদিকে গোলের সামনে থেকে সুযোগ হাতছাড়া করায় কড়া সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল দীর্ঘদেহী এই বেলজিয়ানকে। সিটির বিপক্ষে ইউনাইটেডের জার্সিতে নিজের দ্বিতীয় প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকবেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাকে সামলাতে পুরোটা ম্যাচই সতর্ক থাকতে হবে ওটামেন্ডি এবং জাতীয় দলে লুকাকুর সতীর্থ কম্পানিকে।

    নিজেদের ইতিহাসের প্রায় পুরোটা সময়ই ইউনাইটেডের ছায়ায় থাকা সিটি কি পারবে তাদেরই সামনে লিগজয়ের উল্লাসে মাততে? গার্দিওলা কি পারবেন মরিনহোর বিপক্ষে নিজের সবচেয়ে অর্থবহুল জয় উদযাপন করতে? নাকি নিজের রক্ষণাত্মক কৌশলবলে সিটির শিরোপাজয় পিছিয়ে দেবেন মরিনহো?


     

    এভারটনের সামনে সালাহ-বিহীন লিভারপুল

    এভারটন বনাম লিভারপুল; গুডিসন পার্ক; ৭ এপ্রিল, বিকেল ৫ঃ৩০; স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি

    ২০১০-১১ মৌসুমের পর লিগে আর লিভারপুলকে হারাতে পারেনি এভারটন। ওদিকে গত সপ্তাহে সিটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে রীতিমত আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর লিভারপুল। সিটির বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের কথা চিন্তা করে হয়ত মূল একাদশের অনেককেই বিশ্রাম দিতে পারেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে ২৩১তম 'মার্সিসাইড ডার্বি'র আগে খুব একটা নির্ভার থাকতে পারছেন না এই জার্মান কোচ। এখনও ইনজুরি কাটিয়ে ফিরতে পারেননি জো গোমেজ, জোয়েল মাতিপ, রাগনার ক্লাভান, এমরে চান এবং অ্যাডাম লালানা। ওদিকে সিটির বিপক্ষে কুঁচকিতে টান পড়ায় ৫২ মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই মৌসুমে লিভারপুলের ত্রাণকর্তা মোহাম্মদ সালাহ। ইনজুরি তেমন সিরিয়াস না হলেও সিটির ম্যাচের কথা চিন্তা করেই এভারটনের বিপক্ষে খেলছেন না তিনি। এভারটন কোচ স্যাম অ্যালারডাইসও আছেন দল বাছাইয়ে দুশ্চিন্তায়। মেসন হোলগেট, এলিয়াকুইম মাঙ্গালা, জেমস ম্যাকার্থি এবং গিলফি সিগুর্ডসনের কেউই ফিট নন পুরোপুরি।

     

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশঃ

    এভারটন (৪-২-৩-১): পিকফোর্ড; কোলম্যান, জাগিয়েলকা, কীন, বেইন্স; গায়, ডেভিস; ওয়ালকট, রুনি, বোলাসি; তোসুন

    লিভারপুল (৪-৩-৩): কারিওস; অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড, লভ্রেন, ভ্যান ডাইক, মরেনো; ওয়াইনাল্ডাম, মিলনার, হেন্ডারসন; অক্সলেড-চেম্বারলেইন, মানে, ফিরমিনো

    এভারটনের বিপক্ষে শেষ ৫ ম্যাচে অপরাজিত লিভারপুল (২ জয়, ৩ ড্র)। ২০১৬ সালের মার্চে শেষবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়েছিল এভারটন। ওয়েন রুনির দল কি পারবে দুই বছর এগের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে? নাকি আরও এক জয় দিয়ে আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সুযোগের আরও কাছাকাছি চলে আসবে লিভারপুল?