• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    সংঘর্ষের সময় স্টোকস ছিলেন "প্রধান আক্রমণকারী"

    সংঘর্ষের সময় স্টোকস ছিলেন "প্রধান আক্রমণকারী"    

    বেন স্টোকসকে সংঘর্ষের ঘটনায় ‘প্রধান আক্রমণকারী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে আদালতে। ব্রিস্টলে ‘হাঙ্গামা’র মামলার শুনানির তৃতীয় দিনে বলা হয়েছে এমন। সেই সংঘর্ষের পর চোখের কোটরে চিড় ধরেছিল একজনের। 

    দায়িত্বের বাইরে থাকা পুলিশ সদস্য মার্ক স্পিউর তার সাক্ষ্যে বলেছেন, সেই ঘটনায় “একজন আরেকজনের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছিল”। 

    স্পিউর অ্যাভন অ্যান্ড সমারসেটের পুলিশ বিভাগে চাকরি করেন, রাতে বাড়ি ফেরার পথে একদল লোককে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখেছিলেন তিনি। 

    স্টোকস ও রায়ান আলির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন, স্টোকস যেখানে ছিলেন ‘প্রধান আক্রমণকারী”। স্পিউরের থামানোর চেষ্টার পরও আলিকে সজোরে ঘুষি মেরেছিলেন স্টোকস। সেই ঘুষির আগেই আলি সরে যেতে চাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্পিউর। 

    এদিন আলির চোটের ব্যাপারে বিস্তারিতও শুনেছে আদালত। ব্রিস্টলে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে, যেখানে তার সেই চিড় ধরা পড়ে চোখের কোটরে। এছাড়া কালশিটেও ছিল তার। 

    ঘটনার আরেকজন রায়ান হেলের ব্যাপারেও বলা হয়েছে আদালতকে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও দেখানো হয়েছে আদালতে, যে ভিডিও সবার আগে প্রকাশ করেছিল দ্য সান। ভিডিও ধারণকারী সেই ছাত্র এর আগের দিন শুনানিতে নিজের সাক্ষ্যতে বলেছেন, “লোকগুলো ফুটবলের হুলিগানদের মতো মারামারি করছিল।” 

    এই মামলার আরেকজন সাক্ষী জেস থমাস নামে এক ছাত্রীর বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়েছে আদালতে। রাস্তার ওপরের এক ফ্ল্যাটে থাকা থমাস বলেছেন, “পাঁচ-ছয়জন পুরুষ রাস্তায় গড়াগড়ি করছিল। তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছিল, একজন আরেকজনের ওপর চড়াও হচ্ছিল।” 

    “এটাকে বেশ বিভ্রান্তিকর একটা অবস্থা মনে হচ্ছিল। আলাদা করে কাউকে সাংঘর্ষিক মনে হয়নি। আমি ভয় পেয়ে জানালা বন্ধ করে বিছানায় চলে যাই।” 

    সেই ঘটনার দিন স্টোকসের সঙ্গে ছিলেন আরেক ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলস। তবে স্টোকস গ্রেফতার হলেও হেলসকে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। শুনানির দ্বিতীয় দিনে হেলসের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তিনি স্টোকসকে থামাতে চাইছিলেন। 

    স্টোকসের শুনানি চলবে।