মাসাই ক্রিকেটের 'অপরাজিতা'
পোস্টটি ৪৪৩৩ বার পঠিত হয়েছেকাজল কালো শরীরে ঢিলেঢালা লাল স্কার্ট। গলায় রঙীন পুঁতির মালা। কোমরে গোঁজা ক্ষুরধার ‘ম্যাচেটি’। ক্ষেত্র বিশেষে বর্শাও থাকে হাতে। কানে ইয়া বড় বড় সব পাথুরে দুল। কটা চোখে শিকারের চাহনি। আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকরতম যোদ্ধা জাতি। মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত ‘আউট অব আফ্রিকা’ ছবিতে মাসাই যোদ্ধাদের দৌড়ে মাঠ পার হওয়ার সেই দৃশ্যটি দেখলে যে কেউই বলবেন, এদের রক্তে আর যাই হোক ক্রিকেটের ঘ্রাণ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রকৃতি এবং প্রাণীর মিতালীতে পৃথিবীর সেই ‘রোমান্টিকতম’ জায়গাটির ঠিকানা উন্মুক্ত সাভানা। লোলডাইগা পাহাড়শ্রেণী। তার কোলে ছবির মতো গ্রাম ‘এল পোলেই।’ প্রকৃতি এখানে অকৃপণ হাতে ঢেলেছে তার অফুরন্ত সৌন্দর্য। হাজারে হাজারে ফ্লেমিঙ্গো, বুনো মোষের পাল, হরিদ্রা বর্ণের লম্বা গলার অ্যান্টিলোপ, হাতির পাল এবং বেবুন। অসংখ্য বুনো ফুল। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে পর্যটকদের চোখে পড়তে পারে একটি অবিশ্বাস্য দৃশ্য- কুড়ি থেকে পঁচিশজন মাসাই যোদ্ধা একসঙ্গে দল বেঁধে কাভার ড্রাইভ অনুশীলন করছে !
ক্রিকেটের পাঁড়ভক্ত বলতে যা বোঝায়, মেয়েটা ঠিক তাই। জোহানের্সবার্গের রোয়েডন স্কুল পড়ুয়া। ম্যাচের দিন ক্লাসে কানে গোঁজা থাকে হেডফোন। পকেটে রেডিও। ধারাভাষ্য শোনা ছাড়া খেলাটা নাকি ভালভাবে হজম করা যায় না। আর দশটা ক্রিকেট পাগল মেয়েদের যেমন একটা করে ক্রিকেট বেরসিক বন্ধু থেকে থাকে মেয়েটার ক্ষেত্রেও তার ব্যতয় ঘটেনি। তার বন্ধুটির মতে, ক্লাসের মধ্যে ধারাভাষ্য শোনা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার।
ম্যাচের দিন রোজ পকেটে রেডিও নিয়ে ক্লাসে ঢোকে যে মেয়েটি, গল্পটা তার নয়। এটা মেয়েটির সেই ক্রিকেটবিমুখ বন্ধুর গল্প। ১৯৯২ সালের সেই বসন্তে তার দুনিয়াটা একেবারে খোলনলচে পাল্টে যায়।
৮ মার্চ, ১৯৯২। ব্রিসবেনে বিশ্বকাপের ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে হাজার মাইল দুরের জোহানের্সবার্গে রেডিওতে কান পেতে বসে আছে মেয়েটি। এবার তার সঙ্গী সেই বন্ধু- আলিয়া বাউয়ের। ‘সঙ্গ দোষে লোহাও ভাসে’-প্রবাদটা তার ক্ষেত্রে ফলে গেছে। এখন সেও ক্রিকেটের মনোযোগী শ্রোতা। কিন্তু বোঝে খুব কমই। হঠাত্ করেই উত্তেজিত কণ্ঠ ধারাভাষ্যকারের। পাকিস্তানের ইনজামাম উ্ল হককে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় রান আউট করেছে প্রোটিয়াদের জন্টি রোডস নামে এক ছোকরা ! আলিয়া বাউয়ের বুঝে পায়না- সামান্য এক আউটে ধারাভাষ্যকার থেকে তার চারপাশের সবাই কেন একটা উত্তেজিত ! ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহের পারদটা আরেকটু চড়ে যায়। মাঠে বসে একটি ম্যাচ দেখার জন্য সে বন্ধুর প্রতি অনুরোধ জানায়।
বেনসন অ্যান্ড হেজেস নাইট সিরিজ ট্রফিতে বার্বাডোজ এবং ট্রান্সভালের মধ্যকার ম্যাচ। গ্যালারীতে ক্রিকেটের খুঁটিনাটি নানান বিষয়ে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে বাউয়ের অস্থির করে তোলে তার বন্ধুকে। হঠাত্ তার পেছনের সিট থেকে এক দর্শক বাউয়েরের কাঁধে হাত রেখে পরামর্শ দেয়, খেলাটি সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হলে সে যেন আম্পায়ারিংয়ের কোর্সে ভর্তি হয়। বুদ্ধিটা বাউয়েরের মনে ধরে। পরবর্তী কয়েকদিন জোহানের্সবার্গের নানা জায়গায় খোঁজ নিয়ে সে হতাশ হয়ে পড়ে। আম্পায়ারিংয়ের কোনো কোর্স আপাতত খালি নেই। স্কোরার-এর প্রশিক্ষণ চলছে। পেটে ক্রিকেট ক্ষুধা থাকায় স্কোরিং-এর কোর্সে নাম লেখায় বাউয়ের।
মাঠে কোন তরুণ ক্রিকেটারের উত্থানকে ‘উল্কা’ তকমা দেয়া হয় হরহামেশাই। আলিয়া বাউয়েরকে বলা যায়, একের ভেতর তিন। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেটে হাত পাকানোর পর সে জায়গা করে নেয় কেনিয়ার জাতীয় দলে। ২০০৩ বিশ্বকাপের স্কোরার। এর পাশাপাশি কোচিংয়ে রয়েছে ‘লেভেল টু’ সার্টিফিকেট।
ক্রিকেটের প্রেমে পড়ার আগে আফ্রিকার বন্যজীবন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন বাউয়ের। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সুযোগটা তাই পেয়ে যান। কেনিয়ার গহীনে শ্বাপনসংকুল সাভানার লাইকিপিয়ায় বেবুনের ওপর গবেষণার ডাক আসে। এজন্য থাকার মোক্ষম জায়গা হিসেবে এল পোলেই গ্রামকে বেছে নেন বাউয়ের। কারণ, গোটা সাভানার মধ্যে ওই অঞ্চলেই বেবুনের প্রজনন হার সবচেয়ে বেশি। শুরুর দিকে খুব একঘেয়েমি জীবন কাটে বাউয়েরের। সাভানার সেই তৃণভূমি অঞ্চলে ক্রিকেট ছিল ভিনগ্রহের প্রাণীর মতোই অচেনা একটি শব্দ। কোনো টিভি না থাকায় আর্ন্তজাতিক ম্যাচ দেখারও সুযোগ ছিলনা। একেঘেয়েমি কাটাতে নিজেই মাঠে নেমে পড়বেন? কিন্তু কার সঙ্গে? ক্রিকেট তো একার খেলা নয়। তার প্রতিবেশিদের সবাই মাসাই। শিকার এবং পশুপালনই আফ্রিকার এই ভয়ংকরতম যোদ্ধাজাতির দুনিয়ায় শেষ সীমানা। অদৃশ্য সেই কাঁটাতার পেরিয়ে যাওয়া আলিয়া বাউয়েরই মাসাইদের ইতিহাসে প্রথম ‘ক্রিকেট ফেরিওয়ালা’।
ফুটবল, ভলিবল, অ্যাথলেটিকস। এ তিনটি খেলা সম্পর্কে জানতো মাসাইরা। কিন্তু 'ক্রিকেট' বলতে তারা শুধু বুঝতো-‘ঝিঁঝিপোকা।’ আলিয়া ভেঙ্গে পড়েননি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম যোগাড় করেন তিনি। এরপর এলপোলেই গ্রামে খুলে বসেন ক্রিকেটের স্কুল। শুরুর দিকে শুধু মাসাই শিশুরাই আগ্রহ দেখাতো খেলাটির প্রতি। একদিন, কিছু পূর্ণবয়ষ্ক যোদ্ধা সামান্য একখন্ড কাঠের দন্ড দ্বারা বল পেটানোর সেই ব্যাখ্যাতীত মহিমায় প্রলুব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারা খেলায় অংশ নিতে চায়। মনের আশা পূরণের সুযোগটা লুফে নিতে দেরি করেননি বাউয়ের। এরপরই এলপোলেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে খেলাটির সৌরভ। বাউয়েরের ঘর-চালবিহীন ক্রিকেট স্কুলে শিশুদের বদলে তাদের বাবা-মায়েদের যাতায়াত বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওদিকে বাউয়েরের গবেষণা শিঁকেয় ওঠে। কর্তৃপক্ষ শর্ত জুড়ে দেয়-হয় ক্রিকেট, নয় গবেষণা, যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে। জীবন নিয়ে বাউয়েরের এ দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় মাসাইরা!
কোনো পিছুটান না থাকায় এরপর মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে মাসাইদের ক্রিকেট দল গঠন করেন আলিয়া। খেলাটির তিনটি মৌলিক বিষয়-ফিল্ডিং, ব্যাটিং, বোলিংয়ের মধ্যে শেষেরটি মাসাইরা সহজাত প্রবৃত্তির বশেই খুব দ্রুত শিখে ফেলে। বোলিং করাকে অনেকটা বর্শা ছোঁড়ার মতোই সহজ ব্যাপার বলে মনে করে মাসাইরা। দলটির অধিনায়ক সোনাইয়াঙ্গা ওবলেন ওলে ন্যাগিসের কথাতেই তা স্পষ্ট,‘শুরুর দিকে আমরা খেলাটি বুঝতাম না। কেনিয়াতে ক্রিকেট অতটা পরিচিতি পায়নি। আমরা শুরুতে শুধু মজা পাওয়ার জন্যই খেলতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারি যে সবাই খেলাটির প্রেমে পড়ে গেছে। বোলিং করাই সবচেয়ে সহজ। আমরা পশু চরে খাই। অনেক সময় বন্যজন্তুুর আক্রমণের শিকার হতে হয়। এজন্য প্রত্যেক মাসাইকে ছোটবেলা হতেই যুদ্ধবিদ্যা শেখানো হয়। বর্শা ছুঁড়ে বন্যজন্তুু শিকার করার অভ্যাসটা তাই সবার মধ্যেই আছে। বোলিং করা তো বর্শা ছোঁড়ার মতোই। তবে, ব্যাটিংয়ে নেমে আউট হওয়ার মতো হতাশাকর আর কিছুই নেই। মাত্র একবার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু বোলিংয়ের সুযোগ অনেক বেশি। প্রতিবারই নিজের ভুল শুধরে নেয়া যায়।’
‘মাসাই ক্রিকেট ওয়ারিওরর্স-নামে দল গঠনের পর প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে যায় বাউয়েরের শিষ্যরা। ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং তার দলকে ডুবিয়ে দেয়। বাউয়ের ভাষায়, ‘তিনটি ম্যাচেই আমরা জয়ের পথে ছিলাম। কিন্তু প্রথম ম্যাচে আমরা ছয়টি ক্যাচ মিস করি। এরপর ম্যাচের আর কি থাকে? মাসাইরা বোলিংয়ে দুর্দান্ত। কিন্তু তাদের ব্যাটিং দেখলে আপনার মনে হবে, ক্রিকেট খেলাটার সঙ্গে ধৈর্য্যের কোনো সম্পর্ক নেই। ওরা প্রতিটা বলই সীমানার বাইরে পাঠাতে চায়। এজন্য ম্যাচের প্রথম বল থেকেই মরিয়া হয়ে ব্যাট চালায়’।
কেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মোম্বাসা। দেশটির সেরা ক্রিকেট একাডেমি এখানেই অবস্থিত। কোচিং দেন স্টিভ টিকোলো, টমাস ওদোয়ার মতো কেনিয়ান ক্রিকেটের পথপ্রদর্শকেরা। বাউয়েরের দল থেকে উঠে আসা নিশান জোনাথন ওলে মেশামি দুই বছর আগে থেকেই টিকোলো-কামান্ডেদের শিষ্য। তার সম্পর্কে কেনিয়ার সাবেক অধিনায়ক জিমি কামান্ডের উক্তি, ‘মাসাইরা তাদের স্বভাবগত দিক থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সবসময় একে অপরকে হারাতে মরিয়া। এ কারণে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে তারা দারুণ উন্নতি করছে। নিশান তাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ব্যাটিংয়ে টেকনিক্যালি তারা এখনো বেশ দুর্বল। আমরা এটা নিয়েই কাজ করছি। তবে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে এটা বলা যায় যে, কেনিয়ান ক্রিকেটে আগামি দিনের সেরা বোলার হিসেবে কোনো মাসাই যোদ্ধার উত্থান ঘটলে, মোটেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’
আলিয়া বাউয়ের
শুরুতে আলিয়ার ক্রিকেটস্কুলে শুধু পুরুষেরাই আসতো। মাসাই মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় বেশ লাজুক। বেশিরভাগই কিশোরী মা। কিছু স্কুলপড়ুয়া মেয়ে বাউয়েরের সান্নিধ্যে আসার পর ধীরে ধীরে বাকি মেয়েরাও আসতে শুরু করে। পুরুষদের বিপক্ষে তারা খুবই মরিয়া হয়ে খেলে। কোনোভাবে হারা যাবে না! বাউয়েরের এ প্রচেষ্টা ক্রিকেটের সীমানা পেরিয়ে এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক সমস্যা নিরসনের পথে। এইডস! মাসাইরা বহুবিবাহে বিশ্বাসি। নিরোধ ব্যবহারের বালাই নেই। আলিয়া তাই একটি বুদ্ধি বের করেন। নিশান জোনাথনের ভাষায়, ‘এইডসকে নির্মূল করতে শিক্ষক (কোচ) আমাদের ‘এবিসি’ পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবিসি অর্থ-Abstinence (সংযম), Be faithful (সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস), Condom (গর্ভনিরোধক)। সংযম হলো বাতাসে বল উড়িয়ে মারার থেকে ব্যাটসম্যানের বিরত থাকার মতে, যেন আউট না হয়ে যান। উইকেটে অপরপ্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে বোঝাপড়াই হলো সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস। কনডম ব্যবহার অনেকটাই ব্যাটসম্যানের নিজ উইকেট রক্ষার মতো ব্যাপার।’
‘মাসাই ক্রিকেট ওয়ারিওরর্স’ দ্রুতই সবার মন জিতে নিয়েছে। এখন তাদের সাহায্য করছে আইসিসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক চ্যারিটি ফাউন্ডেশন। গত বছর অপেশাদার ক্রিকেটারদের টুর্ণামেন্ট 'লাষ্ট ম্যান ষ্ট্যান্ডিং' সিরিজের শেষচারে নাম লেখায় তারা। ইংলিশ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের এ টুর্ণামেন্টটিতে অংশ নেয় মোট ৪৮টি দল। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসেও তারা একটি ম্যাচ খেলে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ডকুমেন্টরি। লর্ডসে তাদের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচও খেলেন জেমস অ্যান্ডারসন-স্টুয়ার্টব্রডরা। আলিয়া বাউয়েরের দৃষ্টি আরো বহুদূরে, ‘আমি ওদের পথটা দেখিয়ে দিয়েছি। এখন ওরা কতদুর যাবে সেটা ওদের ওপরই নির্ভর করছে। এটা সত্য যে, ক্রিকেটকে মাসাইরা যে পরিমাণ ভালবাসে, তা বোধহয় কোমরে গোঁজা ম্যাচেটির থেকেও বেশি।’
কেনিয়ান ক্রিকেটে এখন নিদারুণ প্রতিভা সংকট। টিকোলো-ওদুম্বেদের রেখে যাওয়া স্থান ধরে রাখতে পারেনি উত্তরপ্রজন্ম। বাউয়েরের এ কথার সঙ্গে জিমি কামান্ডের মন্তব্যটি জুড়ে দিলে পাঠকেরা হয়তো কেনিয়ান ক্রিকেটের আগামী প্রতিনিধিদের ব্যাপাওে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন- ‘জঙ্গল কিংবা শহর, যেখানেই খেলেন না কেন লাল বলটা কিন্তু লালই থাকে এবং ক্রিকেটকে ক্রিকেটের মতো করেই খেলতে হয়।’
- 0 মন্তব্য