সুযোগের সর্বোচ্চ অপব্যবহার
পোস্টটি ৪০৮৩ বার পঠিত হয়েছেটেস্টের দুই দিনের খেলা দেখেই বলি যে ভারতের মাটিতে গত কয়েকটা সিরিজের মধ্যে সবচেয়ে ভালো খেলা দলের নাম বাংলাদেশ। (ইংল্যান্ড অবশ্য তাদের সিরিজের প্রথম টেস্টটা খুবী ভালো খেলেছিলো। ড্র করেছিলো!)
কিন্তু আমি নিউ জিল্যান্ড অথবা ইংল্যান্ডকে বাংলাদেশের মতো ভালো বোলিং করতে দেখিনি। চেতাশ্বর পূজারা ২০ রানের মধ্যে তিনবার এজ করেছে। মুশফিক একবার ডাইভ দেয়নি, ক্যাচ হয়নি। সাকিবের পাশ দিয়ে এক ওভারে দুইবার বল এজ হয়ে গেছে। একটাতে দ্বিতীয় স্লিপ থাকলে সোজা ক্যাচ হতো। আর পরেরটা একটু ভালো স্লিপে ক্যাচ ধরতে না পারার ব্যর্থতা। বিশ্বাস করুন, আমি পূজারাকে কখনো ২০ রানের তিনবার এজ করতে দেখিনি! এরপরেই মুরালি বিজয় রান আউটের সুযোগ বানিয়ে দিয়েছিলো। মিরাজ সেটা মিস করেছে। ৮৩ রান করা পূজারা ২০ রানের মধ্যেই ৩বার আউট হয়। সেঞ্চুরি করা বিজয় আউট হয় ২০ এর মধ্যে। কোহলি ১৯০ এ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়েছিলো। সাহার বিপক্ষে মুশফিকের স্টাম্পিং মিস তো লিজেন্ডারি। তামিম ছেড়েছে জাদেজার ক্যাচ। সাব্বিরের মতো ফিল্ডারও হাফ চান্স মিস করেছে।
ভারতের মাটিতে যেখানে সবগুলো হাফ চান্সগুলোকে পুরো চান্স বানানোর কথা সেখানে বাংলাদেশের এমন জঘন্য ফিল্ডিং-ক্যাচিং বোলারদের ভালো বোলিংকে স্রেফ নষ্ট করেছে। অথচ মিরাজ-তাইজুল, ভারতে গত দুই সিরিজ খেলা মিচেল স্যান্টনার, মঈন আলী, আদিল রশীদদের চেয়ে তো বটেই, কিছুক্ষেত্রে আশ্বিন-জাদেজার মতোই ভালো বোলিং করেছিলো। ফিল্ডিং-ক্যাচিং ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে ভারতের ৩৫০ অথবা বড়জোর ৪০০ রান করার কথা! তখন খেলাটাই অন্যরকম হয়ে যায়! -_-
আজকে ব্যাটিংয়েও সকালে তামিম যেভাবে আত্মহত্যা করে রান আউট হলো, তার কোন ব্যাখ্যা নেই! কীসের এতো তাড়াহুড়া? কোনভাবেই যেখানে দুই রান হয় না, তবু এই পাগলুটে দৌড় কেন?
এতো বছর পরে ভারতে টেস্ট খেলার সুযোগ পেলো। কথা ছিল, নিজেদের সর্বোচ্চ নিংড়ে দিয়ে এতদিনের অবজ্ঞার সর্বোচ্চ জবাব দেয়া। অথচ স্বেচ্ছায়, বোকা সব ভুলে সুযোগগুলো হেলায় হারাচ্ছি! দেখা যাক, বাকি ব্যাটসম্যানেরা কী করেন!
- 0 মন্তব্য