• ফুটবল

বিদায় প্রিন্স পোলডি...

পোস্টটি ৪৪০৩ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ তিন মুখোমুখিতেই হার জার্মানদের। বিদায় মুহূর্তে বৃত্ত ভাঙ্গার এমন শক্ত চ্যালেঞ্জটাই বেছে নিলেন পোডোলস্কি। ডর্টমুন্ডের সিগনাল-ইদুনা-পার্কে তার অবদানকে সম্মান জানাতে নেতৃত্বভারও কাঁধে তুলে দেন কোচ জোয়াকিম লো। ২৫ গজের দুরন্ত দুরপাল্লার শটে লড়াইটা জিতে আর দলকে জিতিয়েই বিদায় বললেন প্রিন্স পোলডি।

 

দুই বছর বয়সে বাবা মায়ের হাত ধরে জন্মভূমি পোল্যান্ড ছেড়ে চলে আসেন জার্মানি। তবে খেলতে চেয়েছিলেন মাতৃভূমির হয়েই। কিন্তু ২০০৩ সালে তৎকালীন কোচ পাপন ইয়ামাস নাকচ করে দেন সে সম্ভাবনা। এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার জানিয়ে দেন পোডোলস্কির চেয়ে ঢের প্রতিভাবান ফরোয়ার্ড পোল্যান্ডে আছে।  

 

রত্ন চিনতে ভুল করেনি জার্মানরা। ২০০৪ এ তার ক্লাব ‘কোলন’ দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেলেও তাকে উপেক্ষা করা যায়নি। ১৯ বছর বয়সে সাদা কালো জার্সিতে অভিষেক। ১৯৭৫ সালের পর আর কোন দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবলারের সৌভাগ্য হয়নি জার্মান জার্সি গায়ে চাপানোর।

 

আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করেন নি এই স্ট্রাইকার। ম্যাথিউস আর মিরোস্লাভ ক্লোসার পর সবচেয়ে বেশি ১৩০ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন জার্মানির । ৪৯ গোল করে ক্লোসা আর মুলারের পর তৃতীয় স্থান তারই।

 

 

২০০৬ বিশ্বকাপে ৩ গোল করে মেসি, রোনালদোদের পিছনে ফেলে হন সেরা তরুণ খেলোয়াড়। ২০০৮ ইউরোতে ৩ গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন জার্মান নাম্বার টেন। ২০১৩-তে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৯ সেকেন্ডে গোল করে গড়েন জার্মান ফুটবল ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ড। পরম কাঙ্খিত বিশ্বকাপ জেতেন ২০১৪ সালে।

 

চোট আর অফ ফর্মে শেষদিকে বাঁ পায়ের জাদু নিয়মিত দেখা না গেলেও ভক্তরা মনে রাখবে জার্মান যান্ত্রিকতায়  শিল্পিত সৌন্দর্যের পোডোলস্কিকেই।