• ক্রিকেট

তামিম বন্দনা

পোস্টটি ৬৯৮৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

তামিম ইকবাল যে দিন ফর্মে  থাকেন সেদিন কোন বোলারের সাধ্য নেই তাকে ঢেকায়। তামিমে সীমানার বাইরে বল আছড়ে ফেলার দৃশ্য ক্রিকেট প্রেমিদের প্রিয় একটি দৃশ্য। তামিম যে কটা ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশ দল বেশির ভাগ ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশ দলের উন্নতিতে তার অনেক অবদান। দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্বও বেশি।

19105985_1579842725360899_2484758598712662593_n

 

চ্যাম্পিয়ানস ট্রফি তামিমের দারুন কেটেছে।  প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডর বিপক্ষে ওভালে সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু। তামিম ক্রিজে থাকা অবস্থায় ইংলিশ বোলাররা বিশেষ সুবিধা করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে বল ও প্লাংকেট।সেঞ্চুরি পর হাত খুলে পিটানো শুরু করেন। ১২৮ রান করে প্লাংকেটের বলে আউট হন।

পরবর্তী  ম্যাচেও দুর্দান্ত  তামিম। করেন ৯৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ রানের জন্য  সেঞ্চুরি মিস। একপ্রান্তে ব্যাটসম্যান নিয়মিত আসা যাওয়া। অপর প্রান্ত তামিম।দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হ্যাজেলউজের শর্ট বলে আউট হন। বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেকের বেশি রান তামিম একাই  করেন।

18740101_1569123733099465_7074427650086542893_n

 

নিউজিল্যান্ডর বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাতিক্রম ঘটে।শুন্য রানে সাজঘরে ফিরেন তামিম। সেমিফাইনালে আবার চেনা ফর্মে  ফিরেন। সৌম্য ও সাব্বিরের উইকেট হারানোর পর মুশফিকে নিয়ে গড়লেন ১২৩ রানের জুটি।

ইংল্যান্ড এমনিও তামিমের পছন্দের জায়গা।  আইসিসির সাক্ষাৎকারে বলেছেন লন্ডনে এত বাঙালি যে মনে হয় ঢাকাতেই আছেন।২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস ও ওলড ট্র্যাডফর্ডে দুটি শত রান করে নিজেকে চেনান। ২০১০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্মেনসের পুরষ্কার হিসেবে পান উইজডেন বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের খেতাব।

এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন তিনি নিজের পারফর্মেনস নিয়ে সন্তষ্ট কিন্তু সাফল্য আরো বেশি উপভোগ করতেন যদি ভারতের বিপক্ষে দল জয় লাভ করত। তিনি মনে করেন উন্নতির অনেক জায়গা আছে। 

৪ ম্যাচে ২৯৩ রান । গড় ৭৩.২৫। ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ানস ট্রফির তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক। তামিম জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসির বাছাইকৃত চ্যাম্পিয়ানস ট্রফির সেরা একাদশে। ওয়ানডেতে উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে। তিন ধাপ এগিয়ে তিনি এখন ১৬ নম্বরে।