ক্রিস্টিয়ানো, ক্রিস্টিয়ানো! (পর্ব- ২)
পোস্টটি ১৩৯৭৪ বার পঠিত হয়েছে'গোলমেশিন' রোনালদো!
ফুটবল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি অফিসিয়াল রেকর্ড গড়েছেন। একজন উইংগার হয়েও বছরের পর বছর ধরে রোনালদো যেভাবে স্ট্রাইকারদের মত গোল দিয়ে চলেছেন সেটা অবিশ্বাস্যই। তরুণ বয়সের চেয়ে গত কয়েক বছরে গতি এবং অন্যান্য স্কিলে কিছুতা ঘাটতি দেখা দিলেও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে রোনালদো সেটা যথসম্ভব কমিয়ে এনেছেন। শুধু কঠোর পরিশ্রমই নয়, রোনালদোর সাফল্যের পেছনে অন্যতম বড় অবদান তার ফিটনেসের প্রতি বিশেষ যত্ন। প্র্যাকটিস সেশনে মাঠে প্রবেশ করা প্রথম এবং শেষ খেলোয়াড় তিনি। দলীয় ফিজিও ছাড়াও রোনালদোর রয়েছে ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম যারা সর্বত্র কাজ করে যান রোনালদোর জন্য বিশেষ ট্রেনিং এবং ফিটনেস ধরে রাখার কৌশল বের করার জন্য। এ কারনেই যেখানে ৩০ এর পর একজন ফুটবলারের শেষের শুরু হয়ে যায় সেখানে রোনালদো ৩০ এর পরেই নিজেকে যেন নতুনভাবে মেলে ধরেছেন। ৩২ বছর বয়সে এসে তাই পার করলেন ক্যারিয়ারের সেরা বছর এবং জিতে নিলেন দলগত এবং ব্যক্তিগত সম্ভাব্য সব শিরোপা। ফ্রিকিক, পেনাল্টি কিংবা লং রেঞ্জ শটে গোল – সবকিছুতেই সমান পারদর্শী রোনালদো। অসাধারণ পজিশন সেন্সের কারনে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোনালদোর গোলসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ধ্রুপদী ড্রিবলিং করে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে দিয়েছেন অজস্র গোল। ফুটবল ইতিহাসে এক থেকে নব্বই মিনিটের প্রতিটিতেই গোল করা দুজন খেলোয়াড়ের একজন হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, অপরজন সুইডেনের জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। পেনাল্টি থেকে রোনালদোর গোল করার হার ৮৬ শতাংশ যা তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা একজন পেনাল্টি স্কোরারের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে।
মাঠের বাইরের রোনালদো
বড়মাপের একজন খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি রোনালদোর হৃদয়টাও অনেক বড়। দুঃখী, নিপীড়িত এবং অসহায়দের জন্য তার রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। কে কোন দেশের নাগরিক কিংবা কোন ধর্মের অনুসারী তা ভুলে রোনালদো সবসময় তাদের দুঃখ মোচনের যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এ কারনেই শুধু বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হিসেবেই নন, একজন মহৎ মনের মানুষ হিসেবেও রোনালদো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ২০০৫ সালে রোনালদো টিভিতে সুনামি থেকে বেঁচে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ান এক বালককে তার জার্সি পরিহিত অবস্থায় দেখেন। পরে মার্তুনিস নামক সেই বালক ও তার বাবাকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দেখার সুযোগ করে দেন রোনালদো। পরবর্তীতে দুটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার পর রোনালদো ইন্দোনেশিয়ায় যান এবং সেখানকার সুনামিদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। নিজস্ব খেলার সরঞ্জামাদি নিলাম করে ৬৬০০০ পাউন্ড সংগ্রহ করে অর্থ সাহায্য তুলতে অংশ নেন। ২০১০-১১ মৌসমে জেতা গোল্ডেন বুট বিক্রি করে সংগৃহীত অর্থ গাজায় ইসরাইলী হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের স্কুল বানানোর জন্য দান করে দেন। ইসরাইল ফিলিস্তিনের শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করায় রোনালদো ইসরাইলি খেলোয়াড়দের সাথে জার্সি বিনিময় করতে রাজি হননি। মুসলিমদের প্রতি রোনালদোর এমন সহানুভূতি দেখে সৌদি সরকার থেকে তাকে পবিত্র আল-কোরআন উপহার দেয়া হলে রোনালদো তা সাদরে গ্রহণ করেন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত পোলিশ এক শিশুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় ভারও বহন করেছিল রোনালদো। ২০১৩ সালে স্পেনে এক রেল দুর্ঘটনায় রক্ত সংকটের সময় সাধারন মানুষকে রক্ত দানে উৎসাহিত করার জন্য নিজে হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দান করার মাধ্যমে উদাহরন সৃষ্টি করেছিলেন রোনালদো। বেশ কয়েকটি চ্যারিটি সংস্থার সাথেও জড়িত আছেন তিনি। প্রতি তিন মাস পর পর রক্তদান করেন রোনালদো। এ কারণেই তার শরীরে কখনো ট্যাটু দেখা যায়না।
পরিবার
এত বড় তারকা হওয়ার পরও রোনালদো পুরোপুরিভাবে পরিবারকেন্দ্রিক। অল্প বয়সেই তার বাবার প্রস্থানে পরিবারে নেমে এসেছিল সংশয়ের ঘনঘটা। কারন চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রোনালদো ছাড়া ছাড়া পরিবারের হাল ধরার আর কেউই যে ছিলোনা। রোনালদোর বড় ভাই হুগো একটা বড় সময় ধরেই ছিলেন মাদকাসক্ত। ফলে ফুটবল পাগল রোনালদোই ছিলেন তার মা'র আশা ভরসার প্রতীক। নিরাশ হননি তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে সাফল্যের পাশাপাশি পরিবারের হালও ধরেছেন রোনালদো এবং পুরো সান্তোস পরিবারটিকেই বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছেন আলাদা পরিচিতি। ভাইকে মাদকের ছোবল থেকে মুক্ত করে পর্তুগালে অবস্থিত রোনালদোর নিজস্ব যাদুঘর সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়া রোনালদোর বিভিন্ন ব্যবসায়িক দিকও সামলান তিনি। রোনালদোর দুই বোনও স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল। কাটিয়া এভেইরো পর্তুগালের জনপ্রিয় পপ তারকা এবং ইলমা এভেইরো একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। মা ভক্ত রোনালদো এখনো অবসর সময় কিংবা পারিবারিক ভ্রমণে বের হলে মাকে সাথে নিয়ে যান। পরিবারের প্রতি রোনালদোর ভালোবাসা এবং নিবেদন সবার জন্যই অনুসরণীয়।
বাবা রোনালদো
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বেরিয়ে এসে একদিন হটাৎ করে রোনালদো ঘোষণা তিনি বাবা হতে চলেছেন। তবে সন্তানের মা’র পরিচয় শুরু থেকেই গোপনে রেখেছেন। নানান সময়ে রোনালদোর সন্তানের মা হিসেবে অনেক নাম আসলেও তার সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তবে শোনা যায় যে রোনালদোর সন্তানের মা একজন যুক্তরাট্রের নাগরিক এবং তিনি একটি বড় অংকের অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে রোনালদোর সাথে তার পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে চুক্তি সাক্ষর করেছেন। রোনালদো জানিয়েছেন ছেলের বয়স ১৮ হলেই তাকে তার মা’র পরিচয় জানানো হবে। সন্তানের নামকরণ করেন নিজের নামেই। সাথে যোগ করে দেন জুনিয়র। জন্মের পর থেকেই তার দেখাশোনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন রোনালদোর মা এবং দুই বোন। খেলা, বিজ্ঞাপন, ব্যবসা ইত্যাদি মিলিয়ে মাঠে এবং মাঠের বাইরে রোনালদো পুরো ফুটবলবিশ্বেই অন্যতম ব্যস্ততম তারকা। তবুও একমাত্র ছেলের জন্য ঠিকই সময়ে বের করে নেন। সময় পেলেই ছেলেকে নিজে স্কুলে দিয়ে আসেন এবং পড়াতেও বসে যান। নিজের বাবার মদ্যপানের অভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন রোনালদোকে একজন আদর্শ বাবা হওয়ার জন্য বাড়তি অনুপ্রেণা যোগায়। তিনি চান তার তার ছেলে যেন তার কাছ থেকে অনুকরণীয় আদর্শ নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। নিজে সেভাবে পড়ালেখার সুযোগ না পেলেও চান সন্তানকে সুশিক্ষত করতে। পাশাপাশি ছেলের ওপর কোন কিছুই চাপিয়ে দিতে চাননা। এত বড় ফুটবলারের সন্তান বলে স্বাভাবিকভাবেই রোনালদো জুনিয়র ভবিষ্যতে কি হবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তবে রোনালদো সবসময়েই বলে আসছেন তিনি জোর করে ছেলেকে ফুটবলার বানাতে চাননা। তার ছেলে যদি সত্যিই ফুটবলকে ভালোবেসে ফুটবলার হতে চায় তাতে রোনালদোর কোন আপত্তি নেই। যদি অন্য কোন পেশায়ও যেতে চায়, তাতেও বাবা রোনালদো বাধা দিবেন না। তবে রোনালদোর একটাই চাওয়া, তার ছেলে যেন একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে এবং তার বাবার পরিচয়ের বাইরে নিজের আলাদা একটি পরিচয় তৈরী করে নেয়।
জানা-অজানার রোনালদো
পর্তুগাল ফুটবলে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পর্তুগালের একটি বিমানবনরের নামকরণ করে হয়েছে রোনালদোর নামে। ২০১০ বিশ্বকাপের আগে মাদাম তুসোর জাদুঘরে রোনালদোর মোমের প্রতিকৃতি উন্মোচিত হয়। পর্তুগালে রয়েছে CR7 নামে রোনালদোর একটি বুটিক হাউস আছে। এছারাও বিশ্বব্যাপী চালু করেছেন CR7 ব্র্যান্ডের জুতা, শার্ট, প্যান্ট, কম্বল সহ নানা রকমের পণ্যের ব্যবসা। সাম্প্রতিক সময়ে হোটেল ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করেছেন। রোনালদো হরর ফিল্ম দেখতে বেশি পছন্দ করেন। স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল রোনালদোর অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং প্রিয় গায়িকা জেনিফার লোপেজ। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভক্তের তালিকায় রয়েছেন অনেক বড় বড় সেলেব্রেটিরাও। পপ গায়ক এনরিক ইগলেসিয়াস, গায়িকা রিহানা, জেনিফার লোপেজ, ক্রিকেটার বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে বলিউড তারকা জন আব্রাহাম, দীপিকা পাড়ুকোন, কারিনা কাপুররাও রোনালদোর একনিষ্ঠ ভক্ত। ফুটবলের পাশাপাশি টেবিল টেনিসও ভালোই খেলতে পারেন রোনালদো। অবসর সময়ে বন্ধুদের নিয়ে পোকার খেলতে পছন্দ করেন তিনি। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ মেসুত ওজিল যখন কোরআন তেলাওয়াত করতেন তখন রোনালদো তা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে অর্জিত ব্যক্তিগত সব পুরুষ্কার এবং দলগত শিরোপা নিয়ে রোনালদো পর্তুগালে “CR7 Musesu” নামে একটি যাদুঘর খুলেছেন। ২০১৬ সালে বের হয় রোনালদোর জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টারি মুভি যার নাম ‘রোনালদো’। ২০১৪ সালে ফোবর্স ম্যাগাজিনের করা খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে আসে রোনালদোর নাম। রিয়াল মাদ্রিদ এবং নাইকির সাথে চুক্তি ছাড়াও রোনালদোর আয়ের বড় একটি উৎস বিজ্ঞাপন। বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে বিশ্বজুড়ে নামকরা সব ব্র্যান্ড তাদের এম্বোসেডর হিসেবে নিযুক্ত করেছে রোনালদোকে। খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র রোনালদোরই রয়েছে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ফেসবুক ফলোয়ার। এছাড়া টুইটার, ইন্সট্রাগ্রামেও রয়েছে কোটি কোটি ফলোয়ার। ফলে যেকোন ব্র্যান্ডের জন্য করা প্রতিটি টুইট এবং অন্যান্ট পোস্ট থেকেও আয় করে থাকেন রোনালদো। বাবা মদ্যপান করে মারা গেছে বলে মদ্যপান থেকে বিরত থাকেন রোনালদো।
এবং মেসি দ্বৈরথ!
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবেই তাতে চলে আসবেন আরেক ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এই দুজনের মধ্যে কে সেরা তা নিয়ে বিতর্ক আজো বিদ্যমান। পেলে-ম্যারাডোনার মত মেসি-রোনালদোর সেরা বিতর্কও হয়ত অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে। যদিও প্রতিভার বিচারে মেসির থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকবেন রোনালদো। তবে কঠোর পরিশ্রম এবং নিরলস অধ্যাবসায়ে সেই ব্যবধান দূর করেছেন তিনি। তাইতো ২০১২ সালে মেসির ৪ টি ব্যলন ডি অরের বিপরীতে রোনালদোর ১ টি থাকলেও ২০১৮ তে এসে মেসির ৫ টি ব্যলন ডি অরের বিপরীতে রোনালদোর ঝুলিতে রয়েছে সমান ৫ টি ব্যলন ডি অর। একমাত্র রোনালদো বলেই মেসির মত বিরল প্রতিভাধর একজন খেলোয়াড়ের সাথে প্রতিনিয়ত পাল্লা দিয়ে নিজেকে একই সারিতে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন এবং বারবার শ্রেষ্ঠতের লড়াইয়ে জয়ীও হয়েছেন। মাঠে দুজনের মাঝে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও মাঠের বাইরে তাদের মধ্যে রয়েছে ভাল সম্পর্ক। তাদের মধ্যে কে সেরা তা নিয়ে ভক্তরা প্রতিনিয়ত যুদ্ধে লিপ্ত হন। অথচ তাদের মধ্যে রয়েছে চমৎকার পেশাদার সম্পর্ক যেখানে একে অপরের অর্জনকে যথেষ্ট সম্মান করেন। রোনালদোর খারাপ ফর্মে থাকলে একই সময়ে মেসি ফর্মে থাকলে সেটা রোনালদোকে তাতিয়ে দেয় নিজেকে প্রমানের জন্য। একই কথা প্রযোজ্য মেসির ক্ষেত্রেও। খেলা চলাকালীন সময়ে এবং বিভিন্ন এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে একাধিকবার দুজনকে হাস্যজ্বল অবস্থায় দেখা গেছে যা তাদের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিচয় দেয়। রোনালদোর ছেলেও মেসির একজন ভক্ত এবং এটা নিয়ে রোনালদো খুশি কারণ তিনি মনে করেন তার ছেলের ফুটবল ইতিহাসের অন্যান্য গ্রেটদের মত মেসির খেলাও দেখা উচিত।
***
কিশোর বয়স থেকেই রোনালদোর স্বপ্ন দেখতেন একদিন তাদের অনেক বড় একটি বাড়ি থাকবে। যেখানে থাকবেনা কোন অভাব অনটন। বাবাকে একদিন তার সেই স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন। প্রয়াত পপস্টার মাইকেল জ্যাকসনের বাড়ি দেখিয়ে বাবাকে বলেছিলেন তাদেরও একদিন এমন একটি বাড়ি হবে। তবে রোনালদোর বাবা হেসে সে কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন আকাশকুসুম স্বপ্ন না দেখতে।
আজ এতটা বছর পর শুধু একটি বড় বাড়ি কেন, রোনালদোর সামর্থ্যই রয়েছে পুরো একটি দেশই কিনে ফেলার। নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে দূর করে দেন লাখো মানুষের দুঃখ দুর্দশা। কিন্তু আফসোস একটাই। বাবা যে এসবের কিছু দেখে যেতে পারলেননা। এই দুঃখটা কখনোই লুকিয়ে রাখতে পারেননা তিনি। তাইতো জীবনের সব বড় বড় অর্জনের পর আকাশের দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে কি যেন বলেন রোনালদো। হয়ত বাবাকেই স্মরণ করেন আর জানিয়ে দেন স্বপ্নজয়ের আরেকটি কাব্য।
- 0 মন্তব্য