ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও আইসিসি
পোস্টটি ১০৯১৭ বার পঠিত হয়েছে২৫শে মার্চ শেষ হল জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ১০ দলের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর বাছাইপর্ব।চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দুই দল পেল ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার টিকেট। চ্যাম্পিয়ন দলের নাম আফগানিস্তান। রানার্সআপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্লেয়ার অফ দা টুর্নামেন্ট হলেন সিকান্দার রাজা। ৩৬ বছর পর প্রথম বারের মত বিশ্বকাপে জায়গা হল না জিম্বাবুয়ের। থাকছে না বিশ্ব মঞ্চে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দেওয়া আয়ারল্যান্ড। নেপাল, হংকং, আরব আমিরাতের কথা তো বাদই দিলাম।
ছোট কয়েকটি দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে হওয়া এই টুর্নামেন্টের প্রতি বলতে গেল মিডিয়ার তেমন কোন আকর্ষণ নেই। থাকবেই বা কেন? এসব পুচকে দলের খেলার খবর কয়জন রাখে? তার উপর খেলার মান ও ভাল না (!)।২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের প্রতিযোগিতা। ক্রমেই ক্রিকেট বিশ্বকােপের দলের সংখ্যা কমছে যা মোটেও ভাল লক্ষণ না। এদিকে যখন বিভিন্ন খেলার ফেডারেশন ও কর্মকর্তারা খেলাকে বিশ্বায়নের জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে অন্যদিকে আইসিসির বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্ট বেশি দল অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে এত অনিহা কেন? তারা কি শুধু বড় দলের জন্য সব সুযোগ সুবিধা বরাদ্দ রাখবে? উত্তর হয়ত আইসিসিই ভাল দিতে পারবে।
কিন্তু আয়ারল্যান্ডের অধিয়ানক উইলিয়াম পোর্টফিল্ড ছাড়বার পাত্র নন। আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচ হারার পর হতাশার সুর আইরিশ অধিনায়কের কণ্ঠে। কিছুটা সরাসরিই দোষারোপ করলেন আইসিসিকে। তার কথা হল আইসিসি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ও টুর্নামেন্টের ফরম্যাট পরিবর্তন করেছে এমন ভাবে যেন বড় দলগুলো বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। কারন যত বেশি ম্যাচ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মত দল খেলবে ততই আইসিসির লাভ। কারন এসব দলের ম্যাচের প্রচুর লোক সমাগম হয় এবং টিকেট বিক্রি থাকে তুঙ্গে। অন্য দিকে বাছাইপর্ব না উতরানো দলগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। খেলাও তেমন একটা নেই।
উইলিয়াম পোর্টফিল্ডের কথা ফেলবার মত নয়। বেশ কয়েক বছর যাবত ছোট দলের প্রতি আইসিসির আচরণ বিমাতাসুলভ। বিশ্বকাপের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের তেমন আগ্রহ নেই। অতিতে অনেকবার তারা বড় দলের পৃষ্ঠপোষকতা করে সমালোচনার শিকার হয়েছে।
- 0 মন্তব্য