• ক্রিকেট

শুভ জন্মদিন কিং কোহলি

পোস্টটি ৩৪৩০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
ডিসেম্বর,২০০৬ ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে চলছে রঞ্জি ট্রফি। কর্ণাটকের ১ম ইনিংসের ৪৪৬ রান তারা করতে নেমে ১৪ রানে ৪ উইকেট নেই দিল্লির। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে আসল দিল্লির উদীয়মান নক্ষত্র,সেরা ব্যাটসম্যানের বাবা মারা গেছেন।সতীর্থরা ভাবলেন যার বাবা মারা গেল সে কীভাবে তার বাবার শেষকৃত্যের কাজ না করে আসবে না মানে সে খেলতে পারবে না। কিন্তু সবাই হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল ড্রেসিং রুমের দিকে । সেই ছেলেটি যার বাবা মারা গেছে সকালে সে প্যাড পরে মাঠে নামছে। শুধু নামেই নি ২৮১ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৩৮ বলে ৯০ রান করে দিল্লিকে ফলো-অন থেকে রক্ষা করে। বাবার শেষকৃত্যের কাজ করে এসেই মাঠে নামে দলের হাল ধরতে যা ক্রিকেটবিশ্বে বিরল। বাবার মৃত্যুর দিনটি আজও বহন করে বেড়াচ্ছে ছেলেটি। জার্সির পিছনে “১৮” লিখাটি নিয়ে বিশ্ব মাতাচ্ছে ছেলেটি । সেই ১৮ বছরের তগবগে যুবকটি আর কেউ ছিল না, সে “বিরাট কোহলি” বর্তমান ভারত দলের কাপ্তান, যাকে শচিন টেন্ডুল্কারের উত্তসরি বলা হয় । আজ ৫ই নভেম্বর এই ড্যাশিং , স্টাইলিশ , রান মেশিনের জন্মদিন । ১৯৮৮ সালের ৫ই নভেম্বর দিল্লিতে প্রেম কোহলি ও সরোজ কোহলির ঘরে জন্ম হয় বিরাট কোহলির। তার জন্ম পাঞ্জাবি পরিবারে । তার ক্রিকেটার হয়ে উঠার পিছনে তার বাবার ভূমিকা অনেক। মাত্র ৩ বছর বয়সে তার হাতে ব্যাট তুলে দেন বাবা প্রেম কোহলি। তাই বাবার মৃত্যুর পর ক্রিকেটার হওয়ার প্রনান্ত চেষ্টা করে যায় বিরাট। আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, বাবার প্রতি ভালবাসা, জিদ ইত্যাদি এর সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে আজকের এই বিরাট কোহলি। রঞ্জি ট্রফিতে থাকা অবস্তায় তার বাবার মৃত্যুই তার এই বিরাট হয়ে উঠার পিছনে মূল শক্তি। শোককে শক্তিতে পরিনত করে বাবার মৃত্যু দিবস “১৮” কে জার্সিতে জরিয়ে শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলা। ২০০৮ এর অনুর্ধ-১৯ তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই সুবাদে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয় বিরাট। ২০০৮ সালে ১৮ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয়। ২০১১ বিশ্বকাপে ছিলেন ভারতের বিশ্বকাপ দলে। সেই বছরের জুন মাসে টেস্ট অভিষেক হয় কোহলির। আজ পর্যন্ত ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে ছন্দ পতন হয়েছে অনেক কিন্তু থেমে থাকেনি তার রান। পরিবারের ছোট ছেলেরা একটু জেদি ও একটু ত্যাড়াই হয় । বিরাট কোহলিও তার ব্যাতিক্রম নয়। এ কারণে বিশ্বে তার সমালোচকের সংখ্যাও কম নয়। তবে ভালো দিক তিনি সমালচনার জবাব মুখে নয় মাঠে পারফর্মেন্সে দিতে ভালোবাসেন। তাই তো যতই গালি দেন না কেন তার ব্যাটিং এর প্রশংসা করতে কেউ ভুল করে না । এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেন “আগে আমার থেকে ভিরাট ব্যাটিং টিপস চাইতো আর এখন আমি চাই।” আজ এই রান মেশিনের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বিরাট কোহলি।