ইতিহাসের সেরা – ৭০ এর বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল
পোস্টটি ৭৭৪৭ বার পঠিত হয়েছেফুটবল! এ এমন এক খেলা যার প্রতি মূহুর্তে উন্মাদনা। আর কিছু না হোক, প্রতি চার বছর পর পর বিশ্বকাপ আসলে ফুটবল জ্বরে মাতেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। একুশটি বিশ্বকাপ হয়ে গেল। কত টীমের খেলাই তো মানুষ দেখলো। শুধু তো বিশ্বকাপ নয়, বছরের পর বছর ধরে ক্লাব ফুটবল চলছে। তাতেও কত শত টীম। এত দলের ভীড়ে সেরা একটি খুঁজে বের করা চাট্টিখানি কথা? অথচ ফুটবলপ্রেমীদের জিজ্ঞেস করে দেখুন। বেশীরভাগ একটা দলের কথাই বলবে, ১৯৭০ এর বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দল। দু-একজন হয়তো অন্য কথা বলেন, কিন্তু কোনো টীম খুব ভালো করলেই দেখা যায় তুলনাটা হচ্ছে ওই দলটার সাথেই। কারণ কি? কারণ, ৭০ এর ব্রাজিল ছিল “জোগো বোনিতো” এর আদর্শ উদাহরণ। ওই দলের প্রতিটি ফুটবলার ছিলেন একেকজন ফুটবল শিল্পী যারা ফুটবল মাঠের ক্যানভাসে সৃষ্টি করেছিলেন বিউটিফুল ফুটবলের এক অনিন্দ্যসুন্দর ছবি। ১৯৭০ বিশ্বকাপের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই দলটির বিশ্বকাপ যাত্রা কেমন ছিল একটু ঘুরে আসা যাক।
অথচ এই টীমের অনেকেরই কিন্তু বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিলোনা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ার পর অনেক খেলোয়াড়ই অবসরে যান। নতুন খেলোয়াড় আসেন অনেকেই। এরপরেও বাছাইপর্বে ব্রাজিল ভালমতই উতরে যায়। গোলমালটা শুরু হয় এরপর। বাছাইপর্বে ব্রাজিলের মূল কোচ ছিলেন হোয়াও সালডানহা। বর্ণিল এক চরিত্র ছিলো তার। নিজের সমালোচকদের ছেড়ে কথা কইতেন না কখনো। দলে নিজের প্রভাব খাটাতে চাইতেন সবসময়। তৎকালীন সময়ের সেরা পেলে এবং টোস্টাও কে একইসাথে খেলানোর বিপক্ষে ছিলেন তিনি। তাঁর মতে দুজনেই একই ধরণের। এছাড়া পেলের দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা আছে এই অজুহাতে তাঁকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বলাই বাহুল্য এটি কোনো ফুটবলপ্রেমীর পছন্দ হয়নি। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ব্রাজিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এমিলিও মেদিচি। এছাড়া প্রেসিডেন্ট তার পছন্দের সেন্টার ফরোয়ার্ড দারিও কে দলে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কিনা সালডানহার প্ল্যানে ছিলো না। প্রেসিডেন্টকে জবাবে সালডানহা বলেছিলেন, “আমি উনার মন্ত্রীপরিষদের ব্যাপারে নাক গলাই না। তিনিও আমার দলের ব্যাপারে নাক না গলালেই ভাল হয়। ” এটি ফুটবলের অমর উক্তিগুলোর মধ্যে প্রথম দিকেই থাকবে।
বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে সালডানহাকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব দেয়া হয় ৫৮ ও ৬২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মারিও জাগালোকে। একে তো অনভিজ্ঞ কোচ তার উপরে বিশ্বকাপের বাকী কয়েক মাস। কাজেই ব্রাজিল ঠিক ফেভারিট হিসেবে যায়নি। তবে কোচ সকলের চাহিদা মাথায় রেখে সম্ভাব্য সেরা স্কোয়াড নিয়েই গিয়েছিলেন।
স্কোয়াডঃ
গোলকিপারঃ ফেলিক্স (১), আদো (১২), লিয়াও (২২)
ডিফেন্ডারঃ ব্রিটো (২), কার্লোস আলবার্তো (৪), মার্কো আন্তোনিও (৬), বেলদোচি (১৪), ফন্তানা (১৫), এভারালদো (১৬), জোয়েল কামারগো (১৭), জে মারিয়া (২১)
মিডফিল্ডারঃ উইলসন পিয়াজ্জা (৩), ক্লদোয়ালদো (৫), গারসন (৮), রিভেলিনো (১১), পাওলো সিজার (১৮)
ফরোয়ার্ডঃ জেয়ারজিনহো (৭), টোস্টাও (৯), পেলে (১০), রবার্তো (১৩), এডু (১৯), দারিও (২০)
{ব্র্যাকেটে জার্সি নাম্বার}
দলের কাণ্ডারির দায়িত্ব ছিল কার্লোস আলবার্তোর কাঁধে।
কোচ জাগালোর প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দলের সেরা সব খেলোয়াড়কেই একাদশে জায়গা দেওয়া। পেলে-টোস্টাও এর মত পিয়াজ্জা আর ক্লদোয়ালদো কে নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো। দুজনেই সেন্টার মিডফিল্ডার, দুজনেই সেরা। কাকে ছেড়ে কাকে খেলাবেন? চতুর জাগালো চাইলেন সেরা সব খেলোয়াড়দের একসাথে খেলাতে। এই জন্যে দলের সিনিয়র খেলোয়াড় পেলে, ব্রিটো, গারসন, কার্লোস আলবার্তো সহ কয়েক জনের পরামর্শ নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিখ্যাত ৪-২-৪ ফর্মেশনে দলকে খেলান তিনি। এ কারণে একই পজিশনের টোস্টাও ও পেলেকে একই ভূমিকা দিলেন। একজন উপরে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেললে আরেকজন খেলেন একটু পিছনে। দুজনেই ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে জায়গা পরিবর্তন করতে থাকেন। ফলে অ্যাটাকে আসে বৈচিত্র এবং ম্যান-টু-ম্যান মার্কিং এর উপর ভরসা করা দলগুলোকে ফেলে দেয় ধন্দে। তবে এই ফরমেশনে রিভেলিনো আর গারসনকে একসাথে তাদের পছন্দের পজিশনে খেলানো সম্ভব ছিলো না। জাগালো তখন ইলাস্টিক ড্রিবলিং এর উদ্ভাবক বলে খ্যাত রিভেলিনোকে সেন্টার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার থেকে সরিয়ে লেফট ফরোয়ার্ডে নিয়ে যান। আর জেয়ারজিনহোকে ব্যবহার করেন রাইট উইঙ্গার হিসেবে। এতে করে পেলে ও টোস্টাও একসাথে উপরে উঠতে না পারলে বক্সে যে শূণ্যতা তৈরী হত সেটা ঘুচিয়ে দিতেন তিনি। মূলত জেয়ারজিনহোর ইনসাইড কাট করে বক্সে ঢোকার প্রবণতার কারণেই পেলে এবং টোস্টাওকে একসাথে একই টিমে রাখতে পারেন জাগালো।
সেন্টার মিডে গারসন এর কাজ ছিলো পেলে কিংবা টোস্টাও এর উদ্দেশ্যে ডিফেন্সচেরা পাস ও লম্বা থ্রু বল দেওয়া। অনেকটা পিরলো কিংবা জাবি আলনসো এর মত। আর ক্লদোয়ালদো আর পিয়াজ্জাকে একসাথে খেলানোর জন্যে ক্লদোয়ালদোকে তার হোল্ডিং মিডফিল্ডার পজিশনেই রাখেন। দলের কোনো ডিফেন্ডার উপরে উঠে গেলে তার সেই জায়গা কভার দিতেন তিনি। তবে পিয়াজ্জাকে নিয়ে আসেন ডিফেন্সে। এছাড়া ডিফেন্সে পিয়াজ্জার সঙ্গী ছিলেন কার্লোস আলবার্তো, ব্রিটো এবং এভারালদো। সেন্টারব্যাকের প্রাণ ছিলেন ব্রিটো। পিয়াজ্জার পাসিং এবিলিটির জন্যে ডিফেন্স থেকেই আক্রমণ গড়ে উঠতো। এভারালদো ছিলেন মূলত ডিফেন্সিভ ফুলব্যাক। আর রাইটব্যাকে আলবার্তো প্রায় নিয়ম করেই উপরে উঠে জেয়ারজিনহোর সাথে আক্রমণে সহায়তা দিতেন। ফলে ডান পাশ থেকে ব্রাজিলের আক্রমণের অভাব হতোনা কখনোই। আর বামে পুরোটা একাই কভার দিতেন রিভেলিনো। আবার রিভেলিনো কখনো শিফট করে সেন্টার মিডে চলে আসলে টোস্টাও সরে যেতেন লেফট উইং এ। ফলে ৪-৪-২ থেকে ৪-৩-৩ এ চলে যেতো ব্রাজিল। এই ট্যাকটিকস এর ফলে মাঝমাঠের সাথে দুই উইং একই সাথে আক্রমণে সহায়তা দিতে পারতো। দলের মূল কীপার ছিলেন ফেলিক্স। সব মিলিয়ে অ্যাভারেজ লেভেলের একটা ডিফেন্স থাকলেও মিডফিল্ড, ফরোয়ার্ড ছিলো বিশ্বসেরা।
গ্রুপ পর্বঃ
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল মুখোমুখি হয় চেকোস্লোভাকিয়ার। খেলার ১১ মিনিটেই পেত্রাসের গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। তবে ২৪ মিনিটেই অসাধারণ এক ফ্রি-কিক থেকে রিভেলিনো সমতায় ফেরান।
প্রথমার্ধেই চেক কীপারকে এগিয়ে থাকতে দেখে পেলে প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে অসাধারণ একটি শট নেন যেটি সামান্যর জন্যে মিস হয়।
৬০ মিটার দূর থেকে পেলের গোলমুখী শট
তবে সেকেন্ড হাফের শুরুতেই গারসনের লম্বা পাস থেকে পেলে গোল করে নিজের গোলের খাতা খোলেন। এরপর জেয়ারজিনহো দুই গোল করে দলকে ৪-১ গোলে জেতাতে সহায়তা করেন।
পরের ম্যাচ ছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এর সাথে। টুর্নামেন্ট এর অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিলো এটি। গোলশূণ্য প্রথমার্ধের হাইলাইট ছিলো গর্ডন ব্যাঙ্কস এর করা “সেভ অব দ্যা সেঞ্চুরী”। কার্লোস আলবার্তো এর থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে জেয়ারজিনহোর করা ক্রস হেড করেন পেলে। জালে ঢুকার ঠিক আগ মূহুর্তে কোনো মতে ঝাঁপিয়ে বারের উপর দিয়ে বল তুলে দেন ব্যাঙ্কস। ইংলিশ মিডিয়ার কল্যাণে এটিই পরে “সেভ অব দ্যা সেঞ্চুরী” খ্যাতি পেয়ে যায়।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে নিখুঁত সাম্বার ছন্দে গোলমূখ খোলে সেলেসাওরা। টোস্টাও ড্রিবল করে তিন ইংলিশ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পেলেকে পাস দেন। পেলে দেন ডান প্রান্তে জেয়ারজিনহোকে। তাঁর শট জালে।
এই একমাত্র গোলেই ম্যাচ জেতে ব্রাজিল।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেলের দুই আর জেয়ারজিনহোর এক গোলের কল্যাণে ৩-২ গোলে রুমানিয়াকে হারায় ব্রাজিল।
নক-আউট পর্বঃ
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল সামনে পায় পেরুকে। ৭০ এর পেরু দলটাকে তাদের ইতিহাসের সেরা বলে মেনে নেন অনেকেই। দলটার কোচ ছিলেন দিদি, ৫৮ ও ৬২ বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলিয়ান। তবে টোস্টাও এর দুই, আর রিভেলিনো ও জেয়ারজিনহো এর একটি করে গোলের সুবাদে ৪-২ এ ম্যাচ জিতে সেমিতে চলে যায় ব্রাজিল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ব্রাজিল বুঝিয়ে দেয় কাপটা এবার তাদের।
সেমিতে আরেক লাতিন দেশ উরুগুয়ের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। শুরু থেকেই মারমুখো হয়ে খেলতে শুরু করে তারা। ১৯ মিনিটে এর মধ্যে গোল ও পেয়ে যায় তারা। সবার মনে ৫০ এর “ট্র্যাজেডি অব মারাকানা” এর কথা ভেসে উঠে। তবে ৪৪ মিনিটে ক্লদোয়ালদো এবং ৭৬ মিনিটে জেয়ারজিনহোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এর মধ্যে জেয়ারজিনহো এর গোল ছিলো পেলে-টোস্টাও-জেয়ারজিনহো ট্রায়োর নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার এক অনন্য নিদর্শন। ২-১ এ এগিয়ে থাকা অবস্থায় পেলে তার স্কিলের এক অসাধারণ নমুনা দেন। টোস্টাও এর বাড়ানো থ্রু গোলকীপারকে এগিয়ে আসতে দেখে রিসিভ না করে ডামি করে বেড়িয়ে যান। পরে হকচকিয়ে যাওয়া কীপারের পিছন দিক থেকে ঘুরে এসে শট নেন যেটি অল্পের জন্যে মিস করে। গোলটি হলে নিঃসন্দেহে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম গোল বলে বিবেচিত হত এটি।
অবশ্য ৮৯ মিনিটে রিভেলিনোর গোলে ৩-১ এ জিতে ফাইনালে পৌঁছায় ব্রাজিল।
ফাইনালে অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে ইতালীর সামনে ব্রাজিল। যারা সেমিতে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলে পশ্চিম জার্মানীকে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে। খেলার ১৮ মিনিটে রিভেলিনোর ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে পেলে গোলের খাতা খোলেন। এই গোল নিয়ে পেলেকে মার্কিং এর দায়িত্বে থাকা ইতালিয়ান ডিফেন্ডার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি এখনো ভেবে পান না ৫’৭’’ উচ্চতার পেলে কিভাবে এতো উঁচুতে লাফিয়ে আর এতক্ষণ হাওয়ায় ভেসে হেডটি করেছিলেন।
তবে ৩৭ মিনিটেই ক্লদোয়ালদো অযথা ড্রিবল করতে গিয়ে বল হারান এবং তা থেকে সমতা নিয়ে আসেন বনিনসেগনা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলের অনুপম প্রদর্শনী দেখিয়ে গারসন, জেয়ারজিনহো আর কার্লোস আলবার্তো আরো তিন গোল দেন। জেয়ারজিনহো এই গোলের মাধ্যমে উরুগুয়ের ঘিগিয়ার পর এক বিশ্বকাপে সব ম্যাচে গোল করার নজির গড়েন। তবে ঘিগিয়া ৫০ বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেন আর জেয়ারজিনহো খেলেন ছয় ম্যাচ। এর পরে আর কেউ এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেন নি।
ফাইনালে কার্লোস আলবার্তোর করা শেষ গোলটির কথা আলাদা করে না বললেই নয়। ফুটবলে টিম-প্লে এর অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হয় এটিকে। নিখুঁত সব পাসিং এর মাঝে ছিলো আবার ক্লদোয়ালদো আর জেয়ারজিনহো এর ইন্ডিভিজুয়াল স্কিলের প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে বিশ্ব ইতিহাসের সেরা দলটা তাদের বিশ্বকাপ জয়ের পথে শেষটাও নিজেদের চোঁখ ধাঁধাঁনো নৈপূণ্যের ছাপ রাখলো।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা দলীয় গোল
বিশ্ব ইতিহাসে এর আগে পরে বহু দল এসেছে। ৫৪ তে হাঙ্গেরীর “ম্যাজিকেল ম্যাগিয়ার্স”, ৮২ এর টেলে সান্তানার ব্রাজিল কিংবা ২০১০ এর চ্যাম্পিয়ন স্পেন দল, সবার সাথেই এই দলটার তুলনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বেশীরভাগ ফুটবল বিশেষজ্ঞের রায় গেছে এই দলটার পক্ষেই। অসাধারণ ফুটবল শৈলী, ব্যক্তিগত দক্ষতা আর দলীয় প্রচেষ্টার এক অনন্য প্রদর্শনী দেখিয়ে তৃতীয় বারের মত বিশ্বকাপ জিতে জুলে-রিমে ট্রফিটা আক্ষরিক অর্থেই নিজেদের করে নিয়েছিলো। এমন একটা ট্রফি এমন একটা দলের কাছেই যে সবচেয়ে বেশী মানায়।
[Disclaimer: লেখাটি প্রথম ২০১৪ সালে লেখা। বর্তমানে ১৯৭০ বিশ্বকাপের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঈষৎ পরিমার্জিত।]
- 0 মন্তব্য