দ্যা গ্রেটেস্ট নাম্বার নাইন এভারঃ এল ফেনোমেনোন
পোস্টটি ৪৯৪৩ বার পঠিত হয়েছেএকজন ফুটবলারের ক্যারিয়ার অবসর নেওয়ার পরেই শেষ হয়ে যায় তা নয়। অবসরের পরেও একজন ফুটবলারের এর ব্যাপারে মানুষের ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে। নতুন কোনো খেলোয়াড়ের খেলার সাথে তুলনা চলে আসাটা খুবই স্বাভাবিক। কিছু খেলোয়াড়ের অর্জন সময়ের সাথে ভুলে যায় সবাই। আবার কারোটা ওয়াইনের মতন, সময়ের সাথে স্বাদ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ডার্ক নাইট রাইজেস রিলিজ হওয়ার পরে ডার্ক নাইট মুভির জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিলো আরো। তেমনি নতুন কারো খেলা দেখে আগের জেনারেশনের কারো খেলা কতটা ভালো ছিলো তা নতুন করে উপলব্ধি হয়। রোনালদো লুইস নাজারিও দ্যা লিমা এমনি একজন। তার বিদায়ের পর অনেক গ্রেট ফুটবলার এসেছেন, অর্জনের দিক থেকে কেউ কেউ তাঁকে ছাড়িয়েও গেছেন। কিন্তু এখনো ইব্রাহিমোভিচ থেকে লিওনেল মেসি পর্যন্ত অনেকেই রোনালদো কে তাদের দেখা সেরা স্ট্রাইকার বলে মেনে নিয়েছেন। রোনালদো, যার গতি, ক্ষিপ্রতা আর দুর্দান্ত ফিনিশিং এর জন্যে নাম হয়ে গিয়েছিলো ‘এল ফেনোমেনোন’।
রোনালদোর ক্যারিয়ার বিশ্লেষণ করতে হলে আপনাকে দুই ভাগে সময়কাল ভাগ করতে হবে; তার হাটুঁর ইনজুরি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী। ৯০ দশকের রোনালদো ভার্সন তার বিস্ফোরক গতি ও স্কিলের অনন্য প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন যা তাকে পরিণত করেছিলো সর্বকালের সেরা তরুন ফুটবলারে। ইনজুরি পরবর্তী রোনালদো ২০০২ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন, ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছেন, কিন্তু ৯০ দশকে রোনালদো বল পায়ে যে ক্যারিশমা দেখিয়েছিলেন তার স্মৃতি এখনো ওই সময়ের যেকোনো মানুষের চোখ ভিজিয়ে দিতে বাধ্য।
১৯৯৯ সালে ২৩ বছর বয়সে ইন্টার মিলানে খেলা অবস্থায় প্রথম ক্যারিয়ার থ্রেটেনিং ইনজুরিতে পড়েন রোনালদো। ততদিনে পেশাদার ক্যারিয়ারে ২০০+ গোল করা হয়ে গেছে তার। বার্সেলোনায় তার একমাত্র মৌসুমটি তো হয়ে গেছে রূপকথার অংশ। ৪৯ ম্যাচে করেছিলেন ৪৭ গোল যার অনেকগুলোই ছিলো সলো গোল। মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এসে মৌসুমে ৫০ গোল করা ডালভাত বানিয়ে ফেলার আগে এটা অনন্যসাধারণ অর্জনই ছিল। তবে গুণগত বিচার করতে চাইলে আপনাকে রোনালদোর মানদন্ড হিসাব করতে হবে ১৯৯৬ এর হিসাবে, ২০২০ নয়। সেই সময়ের ফুটবল এখনকার তুলনায় অনেক ধীরগতির ছিল বলা যায়, কিন্তু রোনালদোর গতি এমনকি আধুনিক ফুটবলের চোখেও দুর্দান্ত। শুধু বার্সায় তার সেরা ২০ গোল দেখলেই তাকে কেন ‘গ্রেটেস্ট ইয়াং ফুটবলার ’ বলা হতো তার নজির দেখতে পাবেন।
শুধুমাত্র কিছু গোলের হাইলাইটস আপনাকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে ৯৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদোর পারফরম্যান্স দেখে আসতে পারেন। রোনালদোর পায়ে বল যাওয়া মাত্র ITV ভাষ্যকার ব্রায়ান মুর এর কণ্ঠস্বর, দর্শকের কোলাহল, ডিফেন্ডারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ লক্ষ্য করুন। রোনালদোর মাহাত্ব্য এমনিতেই বুঝে যাবেন। বার্সায় থাকাকালীন তার কোচ ব্রায়ান রবসন বলেছিলেন, “রোনালদো হাফওয়ে লাইন থেকে বল পেলেও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার স্রোত বইয়ে দিবে। দর্শক গোলের সম্ভাবনায় উদ্বেলিত হয়ে উঠবে।”
৯০ এর দশকে উইংগারদের মত এত নিচে নেমে বল রিসিভ করাটা খুব কম স্ট্রাইকারই করতো। অথচ এই ব্যাপারটাই তাকে আরো বিপদজনক স্ট্রাইকারে পরিণত করেছিলো। রোনালদো প্রতিবার বল পাওয়ার পর এমনভাবে খেলতেন যেন অ্যাটাকের জন্যে দশ সেকেন্ড ডেডলাইন দেওয়া আছে। ডিফেন্ডাররা কোনোকিছু ভেবে ওঠার আগেই বিস্ফোরক দৌড় শুরু করতেন। ফ্রাংক ডি বোর ও ইয়াপ স্ট্যামকে কাটিয়ে ও পেছনে ফেলে ৫০ গজি যে দৌড় দিয়েছিলেন ৯৮ বিশ্বকাপ এর সেমির অতিরিক্ত সময়ে, ফ্রাংক ডি বোর শেষ মূহুর্তে অমন পারফেক্ট ট্যাকল না করলে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা গোলগুলোর একটা হয়তো দেখতে পেতো দর্শক।
স্ট্রাইকার খেলার বিল্ডআপে অংশ না নিয়ে কেবল পেনাল্টি বক্সের কাছেই ঘুরঘুর করবেন, প্রথাগত এই ধারণা ৯০ এর দশকে রোনালদো আর জর্জ উইয়াহ মিলে পরিবর্তন করেছিলেন। যদিও তারও আগে ডিক্সি ডিন, ইউসেবিও কিংবা প্রেবেন এলকায়ের কিছুটা একই ধাঁচের খেলে গেছেন। কিন্তু তাদের কেউই রোনালদোর মতন এত বিধ্বংসী ছিলেন না। উইথ দ্যা বল কিংবা উইদাউট বল, দুইভাবেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের সূক্ষতম চিড় খুঁজে বের করে বেরিয়ে যেতে সিদ্ধহস্ত (নাকি সিদ্ধপদ?) ছিলেন। ১৯৯৬ সালে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে করা বিখ্যাত হ্যাটট্রিকের মধ্যে দুটি গোলই হলো এরকম প্রতিপক্ষ রক্ষণের সামান্যতম ফাঁকা জায়গার সুবিধা নিয়ে বলসহ ডিফেন্সিভ লাইন ভেদ করার অনুপম দৃষ্টান্ত।
বার্সায় রোনালদোর সতীর্থদের মধ্য থেকে পরে পেপ গার্দিওলা কোচ হয়ে ফুটবল বিশ্বকে টিকি-টাকার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, টিকি-টাকা খেলে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ফুটবল বিশ্বে। রোনালদো ছিলেন টিকি-টাকার ঠিক বিপরীত। বল পায়ে থাকলে তার কানে একটাই মন্ত্র যেন বাজতো, দৌড়াও এবং গোল কর। বল পায়ে রোনালদোর গতি বল ছাড়া অন্য বেশীরভাগ প্লেয়ারের চেয়ে বেশী ছিল। জিনেদিন জিদান একবার বলেছিলেন, “রোনালদোর পায়ে বল থাকলে সে ২০০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে দৌড়াতে পারে”। ওয়ান-টু-ওয়ান পজিশনে তার মত ভয়ংকর স্ট্রাইকার আর কেউ দেখেনি। গোলকীপারদের আর দশটা ডিফেন্ডারের মতই ড্রিবলিং করে কাটাতেন তিনি।
রোনালদো সেই সময় এতই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন যে, বলা হতো প্রতিপক্ষের ১১ জন মিলে যদি হাত দিয়েও তাকে আটকানোর চেষ্টা করে, রোনালদো ঠিকই বেরিয়ে যাবেন বল নিয়ে। বার্সায় তার কোচ ব্রায়ান রবসন বলেছিলেন “রোনালদোর বাইসেপ আর কাঁধের গঠন ছিলো বক্সারদের মত”। তার স্পিড এবং স্ট্রেংথ কে তুলনা করা হতো সেই সময়ের বিখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় জোনাহ লোমু কিংবা ডেভিড ক্যাম্পিস এর সাথে। “আমি আর কোনো খেলোয়াড়কে এত দ্রুত গতির সাথে বলের এরকম নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ করতে দেখিনি”, মার্সেল দেসাঁইর বক্তব্য, “তাকে দেখতে মনে হতো ভিডিও গেইমের কোনো চরিত্র”। রোনালদোই ছিলেন প্রথম প্লেস্টেশন ফুটবলার। তার স্টেপওভার প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে সম্মোহিত করে তুলতো, সিগনেচার ট্রিক ইলাস্টিকো যেন ছিলো কম্পিউটারের পর্দা থেকে উঠে আসা কোনো মুভ।
তার বিখ্যাত দ্বৈরথ ছিল ১৯৯৮ উয়েফা কাপ ফাইনালে আলেসান্দ্রো নেস্তার বিপক্ষে। এই ম্যাচ নিয়ে বলা হচ্ছিলো এটা হবে সিরি এ এর সেরা ফরোয়ার্ড বনাম সেরা ডিফেন্ডার এর লড়াই। কিন্তু লড়াইটা এত একপেশে হবে কেউই ভাবতে পারেননি। রোনালদো এক কথায় নেস্তাকে তুর্কি নাচন নাচিয়েছিলেন সেদিন। “এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা। আমি পরে অনেকবার ভিডিও দেখে বুঝার চেষ্টা করেছি আমার ভুল কোথায় ছিলো।” নেস্তা পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “অবশেষে বুঝতে পারলাম আমার আসলে কিছুই করার ছিলো না। রোনালদো এই ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য ছিলো”। এই ম্যাচের পরেই মূলত রোনালদোর গায়ে ফেনোমেনোন তকমা লাগে।
সিরি এ তে অনেক ডিফেন্ডারই সেই সময় রোনালদোকে আটকানোর একটাই উপায় বের করেছিলেন। তাকে ক্রমাগত ফাউল করে যাওয়া। এরপরেও রোনালদোকে আটকানো বেশীরভাগ সময়েই তাদের সাধ্যের বাইরে চলে যেতো। কারণ ৯০ মিনিটের মধ্যে কোনো না কোনো সময় রোনালদো আপনাকে বোকা বানিয়েই ছাড়বেন। ১৯৯৭ সালে লে টুর্নোই এর এক ম্যাচে ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ডের খেলা হচ্ছিলো। গ্যারি নেভিলে সেদিন ছিলেন সেন্টারব্যাকের দায়িত্বে। “আমরা ডিফেন্ডাররা যখন ব্রাজিল ফরোয়ার্ডদের সাথে তাল মেলাতে খাবি খাচ্ছিলাম, তখন রোমারিও আর রোনালদো খেলার মাঝখানেই নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিলো”, স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন নেভিল।
রোনালদো মাঠে থাকা মানে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তা সে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধের ২২ সেকেন্ডের মাথায়ই হোক, কিংবা বার্সার হয়ে তার শেষ ম্যাচের ৮৯তম মিনিটেই হোক। শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ধরে রাখতে বার্সার সেই ম্যাচ জিততেই হতো। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল ছিলো 0-0। গোলবারের ৩৫ গজ দূরে থাকতে একটা বল চার্জ করতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। মাঠে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময় পড়ে ছিলেন, এর মধ্যে যেই একজন দেপোর্তিভোর প্লেয়ার সামান্য ভুল করলেন বল কন্ট্রোল করতে, রোনালদো বিদ্যুতবেগে উঠে দাঁড়ালেন, বলের দখল নিয়ে ডিফেন্স ভেদ করলেন এবং গোল করলেন। মুহুর্ত আগেও রোনালদো গোলবার থেকে ৩৫ গজ দূরে মাটিতে পড়ে ছিলেন, তিনটি টাচ এবং চার সেকেন্ড পরেই তিনি গোল উদযাপন করছেন। রোনালদোর কাতালুনিয়া ক্যারিয়ারের আদর্শ সামারি বলা চলে এই মুহুর্তটা। “সে আমার দেখা সবচেয়ে দর্শনীয় খেলোয়াড়”, লুইস এনরিকের মতে, “আজকাল আমরা মেসিকে ছয়জন কে ড্রিবল করে কাটিয়ে যেতে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু রোনালদো তখন যা করতো তা এর আগে কেউ দেখেনি।”
১৯৯৬ সালে যে গোলটি করে রোনালদো ফুটবল বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন আগত দিনগুলোর জন্যে নতুন এক ফুটবলরাজের আগমনী বার্তা, সেই গোল কি চাইলেই ভুলে যাওয়া যাবে? ভুলা যাবে না গোলের পর ব্রায়ান রবসনের রি-অ্যাকশন। বিষ্ময়ে মুখ ঘুরিয়ে মাথায় হাত দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সদ্য ২০ পেরুনো কারো কাছ থেকে এরকম গোল দেখতে পাবেন কল্পনাতেও কখনো ভাবেননি বোধহয়।
রোনালদোর মত এত অল্প বয়সে ফুটবল জগতে এরকম উত্থান আর কেউ মনে হয় না দেখাতে পেরেছেন। অন্তত গত ৩০ বছরে যে কেউ দেখাননি তা বোধহয় নিশ্চিন্তে বলা যায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা লিওনেল মেসি টিনএজ বয়সেই অমিত সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ওই বয়সে রোনালদো যে প্রভাব দেখিয়েছেন সেটা তারা দেখাতে পারেন নি। এ ব্যাপারে পেলে, ম্যারাডোনা কিংবা জর্জ বেস্টের সাথেই বোধহয় কিছুটা তুলনা করা যায়। ১৯৯৭ সালে ২১ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে ব্যালন ডি’অর জেতেন রোনালদো। ওই বছর ৩৮ ভোট পান তিনি। দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী পেয়েছিলো ২ ভোট। এমনই বিমোহিত হয়েছিলো সবাই রোনালদোর খেলায়। ২১ বছর হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফী এর রেকর্ড দুইবার ভেঙেছেন তিনি। যেখানে সব বয়স মিলে এক ম্যারাডোনাই দুইবার ভেঙেছেন এই রেকর্ড। “ইনজুরি হানা না দিলে পেলে ও ম্যারাডোনার সাথে সেরা ফুটবলার হিসাবে তার নাম উচ্চারিত হতো”, জুভেন্টাস ও ইতালি কিপার বুফনের মতে, “সর্বকালের সেরা হওয়ার মত সব গুণই তার ছিল। মাঠে সে যেন ছিল ভিনগ্রহের কোনো আগন্তুক।” এই মতামত কেবল বুফনের না, আরো অনেকেই একই কথা বলেছেন। ব্রায়ান রবসনও বলেছিলেন, “ইনজুরি মুক্ত থাকতে পারলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হওয়ার সব সম্ভাবনাই তার ছিল।”
ক্যারিয়ার এর সেরা সময়ে থাকা অবস্থায় হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ে তিন বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। পুরোনো রূপে আর কখনোই ফিরতে পারেননি। অনেকেই আবার দোষ দেন তার লাইফস্টাইলকে। কখনোই খুব বেশী পরিশ্রমী নাকি ছিলেন না ট্রেনিং এ। বেশীরভাগ লাতিন আমেরিকান প্লেয়ারের মতন মাঠের বাইরের জীবনেই আগ্রহ ছিলো বেশী। হয়তো ভাবতেন, প্রতিভা দিয়েই পরিশ্রমের ঘাটতি পুষিয়ে দেবেন। যেভাবেই হোক, এই “কি হতে পারতেন” ব্যাপারটাই তাকে আরো কিংবদন্তি করে তুলেছে।
তার চেয়ে অনেক বেশী অর্জন খেলোয়াড়ি জীবনে, এমন ফুটবলারের অভাব নেই। কিন্তু তাদের কেউই তার দুর্দান্ত স্কিল, অবিশ্বাস্য গতি, নিখুঁত বল কন্ট্রোল, চোখ ধাঁধাঁনো ড্রিবলিং এবং আইস কুল ফিনিশিং এর এমন সমন্বয় দেখাতে পারেন নি। ফুটবল মাঠকে তিনি যেন পরিণত করেছিলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এর ট্র্যাকে। প্রতিবার অ্যাটাকে যার মূলমন্ত্র ছিলো একটাই, অন ইয়োর মার্ক, স্টার্ট, গেট সেট, গোল!!!!
Disclaimer: রোনালদোর ৪০তম জন্মদিনে দ্যা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত রব স্মিথ এর আর্টিকেল থেকে অনূদিত।
- 0 মন্তব্য