ক্রিকেট গল্প : তাহাদের একদিন
পোস্টটি ২০৮৫ বার পঠিত হয়েছেইংল্যান্ডের সূর্য অন্ধকারের ঘোমটা ছাড়েনি। তবু বিছানায় পিঠ সেঁটে রাখার কোনো মানে খুঁজে পায় না জোনাথন উডকক। নামজাদা ইংলিশ অলরাউন্ডার সে। সারারাত আধো ঘুম-আধো চেতনে কেটেছে। ঘুমন্ত স্ত্রীর দিকে দেখল একপলক, নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে সে। তিনমাস বয়সী বাচ্চাটার কারণে রাতের বেলা প্রায়ই ভালো করে ঘুমুতে পারে না মেয়েটা, বোধহয় ঘুম এসেছে তার, ঘুমুক কিছুক্ষণ। প্রায় নিঃশব্দে বিছানা ছেড়ে বসার রুমে ঢুকল উডকক। একপাশে বিশাল দেয়াল জুড়ে আসন গেঁড়েছে ৭০ ইঞ্চি টেলিভিশন। ছেড়ে দিল তা। পাশেই আইফোন ও ট্যাব রয়েছে। সারা দিন নানান খোঁজখবর চালিয়ে যেতে হবে তার। আগামী পরশু ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ঘোষণা হবে, সামনেই টেস্ট সিরিজ। তবে তা নিয়ে ভাবছে না সে। তার ভাবনা জুড়ে প্রায় আটহাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত একটি অনুষ্ঠান। একটি আয়োজন। সে বহুল আগ্রহে জানতে চায় কী হচ্ছে সেখানে, তার কদর কেমন সেখানে। টিভি সেট অন করে অপেক্ষায় সে, ট্যাব ও আইফোনেও সে সংক্রান্ত সমস্ত খবরে ব্যস্ত রাখছে চোখ।
****
জনপ্রিয় একটি হিন্দি গান সকাল থেকে গুণগুণ করছেন নম্রতা আগরওয়াল। বয়স প্রায় ছেচল্লিশ, অথচ চেহারায় বিন্দুমাত্র বয়সের ছাপ নেই। শরীরজুড়ে সৌন্দর্যের চমৎকার বাঁধুনী। এখনো বহু তরুণ পাণিপ্রার্থী তার। বিয়ে থা করেননি। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েই আছেন আজকাল। একদা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। বহু বক্সঅফিস হিট দিয়েছেন। সে বহুকাল আগের কথা। গত এক দশকে বক্স অফিস তো দূরের, সেমি হিটও নেই তার ঝুলিতে। তবুও এখনো বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে তিনি ফিরে যান বক্সঅফিসের সোনালী সেই দিনগুলোয়। তার দেহ-মনে তারুণ্যের বান ডাকে, শিহরণ ও উত্তেজনায় কাঁপেন তিনি। পত্রিকাজুড়ে বিশাল বিশাল ছবি বেরোয় তার, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বারবার খুঁজে নেয় তাকে, অনেকেই মাইক্রোফোন বাড়িয়ে অনুভূতি জানতে চায় তার, নিজেকে আবার ‘ছাব্বিশের তরুণী’ ভাবতে শুরু করেন তিনি।
বছরের নির্দিষ্ট সময়টার জন্য তিনি ভীষণ আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন। এই অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নিজেকে কতভাবে গুছিয়ে রাখেন। বড় বড় পন্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসা, তাদের মতামত শোনা, একটা চ্যালেঞ্জ, নিজেকে সেরা করার একটা প্রতিযোগিতা, ঠিক যেন অনেকগুলো ছবির সঙ্গে লড়াই পেরিয়ে নিজের ছবিটার ‘বক্স অফিস’ হিট হওয়ার মতো অনুভূতি।
নম্রতা অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করেন। তার ঠোঁটে গান নেই এখন আর, বরং খানিকটা উদ্বেগ। ভালোই ভালোই যদি সব শেষ করা না যায়?
****
শামস খানের ব্যাকব্রাশ করা চুল—হাতের আলতো ছোঁয়ায় আরেকটু ঠিকঠাক করে নেন তিনি। টাই হাতে নিয়েও কি মনে করে রেখে দেন। শার্টের সঙ্গে কোটটা টাই ছাড়াই ভালো মানিয়েছে; মনে হয় তার। এপাশ-ওপাশ করে আয়নায় আরো কিছুক্ষণ নিজেকে পরখ করে নেন। সব ঠিকঠাক। নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখেন স্ত্রী সব সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে। ভদ্রলোক একসময় ভারতীয় ক্রিকেটের নামকরা ফাস্ট বোলার ছিলেন। অবসরের পর বোলিং পরামর্শকের ভূমিকা নিয়েছেন। নাস্তা খেতে খেতে রুপবতী স্ত্রী-কে দেখেন একপলক, হালকা কথাবার্তা হয় দু’জনের। তিনি জানেন আজ বহু সুন্দরী ও রুপসী দর্শনের সৌভাগ্য হবে তার, তবু কেন যেন মনে হয় তার স্ত্রী’র চেয়ে সুন্দর আর কোনো নারীর পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়।
আয়েশ করে নাস্তা সারেন তিনি। সারাদিন অনেক ধকলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ‘সকালের মুঠি’ যদি ঠিকঠাক না হয়, তাহলে ‘সারাদিনের খুঁটি’ ঠিক থাকবে না। বছর জুড়ে নানান ক্রিকেটারের উপর চোখ রাখতে হয় তার, স্কাউটদের তথ্যনুসারে অনেক সময় ছুটে যেতে হয় দেশের নানা প্রান্তে, আজ সেইসব অভিজ্ঞতার পরীক্ষা। সত্যিকার ‘জহর’ চিনে ‘জহুরী’ হওয়ার দিন। কোটটা ঠিক করে, স্ত্রী-কে একটি কৃতজ্ঞতা সুলভ মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। অনুষ্ঠান শুরুর আগে কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের কিছু শলাপরামর্শ বাকি আছে তার।
****
বাবাকে তার সুপারম্যান মনে হতো ছেলেবেলায়। এখনো এই তরুণ বয়সেও বাবাকে সুপারম্যানই ভাবে—আদিত্য রাইয়ান। বাবা প্রতিদিন ভোর সাড়ে চারটায় জেগে উঠেন, অথচ বিছানা ছাড়া তো পরের কথা, সে ন’টার আগে টেরই পায় না যে সকাল হয়েছে! আদিত্য রাইয়ানের বাবা বিখ্যাত অভিনেতা। আবার ব্যবসায়ীও। বহু ধরণের ব্যবসায় জড়িয়েছেন বাবা, এবং প্রায় সবক্ষেত্রেই সাফল্যও পেয়েছেন। তেমন কোনো বাঁধা-নিষেধ কখনো পায়নি আদিত্য, তার পছন্দ-অপছন্দকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়েছেন বাবা। তার ইচ্ছাকেও কবুল করেছেন প্রায় সময়। আজকের এই অনুষ্ঠানে আসার ইচ্ছের কথা জানাতেই বাবা বলেছেন, যেতে চাও যেয়ো। তবে মনে রেখো দুপুর বারোটায় বিছানা ছেড়ে দুইটায় আসরে উপস্থিত যদি হও, তবে কাল থেকে আমার নতুন পরিচয় হবে একজন হাবা’র বাবা।
আদিত্য নিজেকে অমন গবেটের পর্যায়ে দেখতে চায় না। ঘুম থেকে উঠেছে সূর্য উঠার আগেই। গুগল করে জেনে নিয়েছে যতটা জানা যায়। ন’টার মধ্যে পৌঁছে যাবে অন্য টিমমেটদের কাছে। এক্সপার্টদের কাছ থেকে জেনে নিতে চায় আরো। সে বাবার মতো উদ্যোমী ও জ্ঞানপিপাসু হতে চায়। ‘হাবা’ পরিচয়ে পরিচিত হতে চায় না মোটেও।
****
ভদ্রলোক গত দু’সপ্তাহ ধরে গাধার খাটুনি খাটছেন। একসময় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন, ট্যাকটিকসের জন্য দারুণ বিখ্যাত ছিলেন। তার কাজের একটি ধরণ হচ্ছে—প্রচুর হোমওয়ার্ক। গত চৌদ্দ দিন যাবৎ তা-ই করছেন। ভিডিউ দেখেছেন, নাম লিখেছেন, কেটেছেন, বিস্তর ঘাঁটাঘাটি করেছেন গুগল ও নেট দুনিয়ায়। ফোনালাপ, অনলাইন মিটিং, ইমেইল… শুধু পাগল হতে বাকি আছে। ক্রেইগ হ্যারিস — ক্রিকেট তার কাছে শুধু খেলা নয়, পেশা নয়, পুরোটাই নেশা। তিনি আপাদমস্তক বুঁদ হয়ে থাকেন এতে।
খুব ভোরে জেগে গেছেন। গত রাতে তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়েছিলেন। ছাত্রাবস্থায় পরীক্ষার আগের রাতে নিশ্চিন্তের ঘুম দিতেন, তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিচ্ছন্ন ও সতেজ মস্তিষ্ক নিয়ে উপস্থিত হওয়া যায়। সেই ধারা এখনো মেনে চলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডে বোধহয় ভর দুপুর, একমাত্র মেয়ের সঙ্গে খুব কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে তার। তবে মাথায় নানান চিন্তা ও পরিকল্পনা গিজগিজ করছে, কথা বলে আরাম পাওয়া যাবে না। তাই সেই চিন্তা বাদ। মালিকপক্ষের সঙ্গে জরুরী আলোচনা আছে। সাধ্য এবং পছন্দের একটা মেলবন্ধন ঘটিয়ে ইতিমধ্যে একটা খসড়া করেছেন। পছন্দের ক্ষেত্রে সাধ্য বাড়ানো এবং সাধ্যনুযায়ী পছন্দ ঠিক করা নিয়ে ছোট্ট একটা আলাপ সারতে চান তিনি। প্রথমে সকালের নাস্তা সারতে হবে, অনুষ্ঠান স্থলেই ঠাঁই গেঁড়েছেন তিনি। সুতরাং তাড়াহুড়ো নেই।
****
পুরো মাঠে তিনি একা। সূর্য সবে উঠি উঠি করছে। আরো হয়তো আধঘন্টা মতো লাগবে, আস্তে-ধীরে আসতে শুরু করবে সবাই। রাধাণাথ সাধক ব্যাট নিয়ে মধ্যমাঠে শ্যাডো করছেন। নাম যেমন সাধক, ক্রিকেটটাকে তেমনই সাধনার চোখে দেখেন তিনি। তার কাছে ক্রিকেট ধর্মের চেয়ে কম কিছু নয়। ভোরবেলা সবার আগে প্রতিদিন মাঠে উপস্থিত হয়ে তিনি ক্রিকেট-ধর্মের প্রাথমিক আচারগুলো সম্পন্ন করেন। লোকে তাকে নানান বিদ্রুপ করে, অবহেলা করে, ঠাট্টা করে; কানেই তুলেন না সেসব। তার কাছে হুটহাট দু-চারটে গুন্ডা-ঠেঙানো বা ধুমধাম কয়েকটা কিল-ঘুষির নাম বাহাদুরি নয়, বীরত্ব নয়। তার কাছে বীরত্বের সংজ্ঞা ভিন্ন। দিনের পর দিন লড়ে যাওয়া, দাঁতে দাঁত চেপে সব প্রতিকূলতা জয় করা, সমস্ত গুন্ডা-মাস্তানের নমস্য অর্জন করার নামই বীরত্ব। এক গুন্ডা ঠেঙিয়ে আরেক গুন্ডা হওয়া যায় হয়তো, তবে এক গুন্ডা ঠেকিয়ে আরো অনেক গুন্ডার গুন্ডামিতে ফুটো ধরিয়ে দেয়া সহজ নয়। তিনি কঠিনেরে ভালোবেসেছেন। ক্রিকেট বিপণনের এই যুগে, ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটের রমরমা সময়ে, টি টুয়েন্টির মহামারীতে তিনি আশ্চর্য ব্যতিক্রম। শুদ্ধ ও টেস্ট ক্রিকেটের অনন্য বিজ্ঞাপন।
তিনি জানেন, আজকের আসরে তাকে নিয়ে ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলো কাড়াকাড়ি করবে না মোটেও। তবুও সেখানে নাম আছে তার। সর্বশেষ কোনো ফ্র্যাঞ্জাইজিতে ছিলেন বহুবছর আগে, এবার তার মন বলছে—তিনি বিবেচিত হবেন আবার। জনমনে হঠাৎ তাকে ঘিরে কিঞ্চিৎ আগ্রহ আছে, ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটের মূল সুরটাই হলো জনগণের চাহিদা। সুতরাং তাকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
****
উদিত মোহান্তির চোখে-মুখে অস্থিরতা। সকালের নাস্তাও ভালোভাবে গিলতে পারেননি। ভারতের প্রত্যান্ত এক অঞ্চলে বসবাস তার। তার মা এক সেলাইয়ের দোকানে কাজ করে, বাবা নেই। ছোট এক ভাই চিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। দুই কামরার ছোট্ট এক ঘরে থাকে সে। বাড়ি গড়ার কাজে হাত দেবে ভেবেছিল, কিন্তু যা সঞ্চয় ছিল সমস্ত গেছে ভাইয়ের চিকিৎসায়। সে ভাইটাকে আগে সুস্থ করতে চায়। গত মাসেই রাজ্য টি-টুয়েন্টি লীগে নজর কেড়েছে সবার। উপার্জনও কম ছিল না, কিন্তু সবই গেছে। তাতেও হয়নি, লাগবে আরো।
সে কাঁপা কাঁপা হাতে হিসেব কষেছে কোনোমতে কুড়ি লাখ যদি জুটে যায়, ভাইয়ের চিকিৎসায় দশ দেবে, আট দিয়ে বাড়িটা তুলে নেবে। আর বাকি দুই লাখ মায়ের হাতে তুলে দিয়ে বলবে, যেন সে আর মানুষের চাকরি না করে। মায়ের উদয়াস্ত পরিশ্রমে প্রায়ই তার চোখে জল এসে পড়ে। কোনো ফ্র্যাঞ্জাইজি যদি একবার কিনে, তাহলে মায়ের সব কষ্ট দূর করে দিতে পারে সে। মাত্র তো কুড়ি লাখ টাকা, অত বড় বড় লোকেরা কি পারে না তা দিতে? তাছাড়া একবার নিয়েই দেখুক না, সে নিজের সর্বস্ব উজার করে দেবে! কেনা গোলাম হয়ে যাবে একদম।
উদিতের চোখে জল খেলে, তাকে সত্যিই কেউ নেবে তো?
****
চেন্নাইয়ের আইসিটি গ্র্যান্ড হোটেল — এটা চেন্নাইয়ের সাত তারকা হোটেল হলেও, আজকের আয়োজনের আবেদন ভিন্ন। আয়োজক ও হোটেল কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান ত্রুটিমুক্ত রাখতে যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে। সারাবিশ্বের কোটি কোটি চোখ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে এখানে, এই মঞ্চে। সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট পন্ডিত, বিশেষজ্ঞ, ধনকুবের, বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রী ও ভারতের দামী দামী মানুষের পদচারণায় মুখরিত এই আয়োজন। এখানে বসেছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও জাঁকালো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড অকশন। ভালো বাংলায় — এখানে বসেছে ক্রিকেটার কেনা-বেঁচার (বেঁচা নয়, শুধু কেনা হবে?) বিশাল হাট।
পরিশিষ্ট
নম্রতা আগরওয়াল মুচকি হাসি ও রাজকীয় উপস্থিতির মাধ্যমে আসন গ্রহন করেছেন। জোনাথন উডকক নিঃশ্বাস বন্ধ করে চোখ রাখছেন আট হাজার কিলোমিটার দূর হতে, ইংল্যান্ড থেকে। উদিত মোহান্তি একরাশ স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায়। আদিত্য রাইয়ান ছলবলে চোখে দেখছেন চারপাশ। শামস খানের মুখে কৃত্রিম হাসি, জানেন সামনে কঠিন সময়। ক্রেইগ হ্যারিস আশ্চর্য শান্ত ভঙ্গিমায় হোমওয়ার্কটাকে মস্তিষ্কে আরেকবার সাজিয়ে নিচ্ছেন। রাধাণাথ সাধক তার শ্বেত পোষাকের পুজো সেরে নিচ্ছেন, সামনেই লাল বলের টেস্ট সিরিজ। গুন্ডা ঠেকাতে নিজেকে আরো শাণিত করবেন তিনি। এই আসরে তার মনযোগ নেই তেমন।
সারা বিশ্বের আরো শত শত স্বপ্নালু চোখ, উদ্বিগ্ন হৃদয়ে নানান জল্পনা-কল্পনায় মগ্ন। কোটি দর্শক নিরেট উত্তেজনায় দেখছে সব। দর কষাকষি, দর হাঁকাহাঁকি, সুপ্রসন্ন ভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের নানান রকম — বরাবরই উত্তেজনাকর কিছু। আনন্দদায়ক কিছু। বেশ উপভোগ্য। শূণ্য থেকে হঠাৎ কারো কোটিপতি বনে যাওয়া, আর কারো শূণ্য হাতে ফিরে চলা… রেললাইনের দুটি সমান্তরাল রেখার মতো পাশাপাশি দেখা যায় এখানে।
ক্রিকেটের সঙ্গে জীবনের মিল খুঁজে কেউ, কেউ জুয়ার আসরের গন্ধ পায়, কেউ আগাগোড়া বাণিজ্যের, আর কেউ ক্রিকেটাইনমেন্ট। আর এক হতভাগা এসবের গ্যাঁড়াকলে ছোট ছোট গল্প খুঁজে। গল্প লেখার বড় সাধ তার, গল্প বলারও…।
- 0 মন্তব্য