অনূর্ধ্ব ২১ ইউরোঃ নজর কাড়তে পারেন যারা
পোস্টটি ১৮১৮ বার পঠিত হয়েছেগত ২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ২০২১ সালের অনূর্ধ্ব ২১ উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। গেলো বছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া টুর্নামেন্টটি হবে দুই ধাপে। ২৪-৩১ মার্চ গ্রুপ পর্ব, ৩১ মে- ৬ জুন নক আউট। জাস্টিন ক্লাইভার্ট, সান্দ্রো টোনালি, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা কিংবা ম্যাসন গ্রীনউড এর মত অনেক খেলোয়াড়ই এই টুর্নামেন্টে থাকছেন যারা ইতোমধ্যেই ক্লাব পর্যায়ে নিজেদের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। তবে এর বাইরেও প্রতিবারই এই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে নতুন কয়েকজন চিত্তাকর্ষক ফুটবলার এর দেখা পাওয়া যায় যাদের খেলা হয়তো আপনি এর আগে ওভাবে দেখেননি বা নামও শোনেননি। এবারের টুর্নামেন্টে নজর কাড়তে পারেন এমন ১০ জন তরুণ তুর্কী নিয়েই এই লেখা।
১. পেদ্রো গনসালভেস (পর্তুগাল)
পজিশনঃ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার
১৪ মাস আগে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়া ব্রুনো ফার্নান্দেস এর শূন্যস্থান পূরণ করতেই পেদ্রো গনসালভেস নিয়মিত স্টার্টার হয়েছিলেন। এরপর থেকে দলে প্লে মেকারের জায়গাটা কেবল পাকাপোক্তই করেন নি, এই মুহুর্তে দলকে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে প্রিমেরা লিগার শীর্ষে রেখেছেন। চলতি মৌসুমে পেদ্রো ২২ ম্যাচে ১৫ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন। মিনিটের হিসাবে প্রতি ৯০ মিনিটে ০.৮৭ টি গোল এবং অ্যাসিস্ট যা পর্তুগিজ লিগের মিডফিল্ডারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পূর্বসুরী ব্রুনোর মতন পেদ্রোরও বড় গুণ টেকনিক্যাল কোয়ালিটি আর শর্ট পাসের মাধ্যমে খেলা বিল্ড আপ করার ক্ষমতা। তবে তার মধ্যে বল হোল্ড করার প্রবণতা কিছুটা কমই দেখা যায়। খেলার ধরণ বিবেচনা করলে মার্কো রয়েস, হেনরিক মাখিতারিয়ান কিংবা ম্যাসন মাউন্ট এর সাথেই মিলটা বেশী পেদ্রো গনসালভেস এর।
ইপিএল এ উলভস দের হয়ে ১৭-১৯ পর্যন্ত দুইটি অসফল মৌসুম কাটিয়ে গেছেন। সব মিলিয়ে উলভস এর ফার্স্ট টিমের হয়ে খেলেছেন মাত্র ২৮ মিনিট। তবে এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে অনেক বড় দলই তাকে নিতে চাইবে তা নিশ্চিত।
২. ওয়াহিদ ফাগির (ডেনমার্ক)
পজিশনঃ ফরোয়ার্ড
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ড্যানিশ সুপারলিগা তে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এই টিনএজার। লিগে ২০ ম্যাচ শুরু করে গোল পেয়েছেন ৫ টি। মিডিয়া ইতোমধ্যে "নেক্সট ইব্রা" উপাধি দিয়ে ফেলেছে। ইব্রাহিমোভিচ এর মত ফিজিক্যাল প্রেজেন্স এখনো মাঠে দেখা না গেলেও, ড্রিবলিং স্কিল ও ক্লোজ চ্যানেলেও বল বের করার ক্ষমতা উইথ দ্যা বল তার দক্ষতার প্রমাণ দেয়। যদিও কনভার্সন রেট কিংবা মাঠে গোলের সুযোগের সৃষ্টির ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা পিছিয়ে আছেন, তবে সেটা পরিণত হওয়ার সাথে ঠিক হয়ে যাবে আশা করা যায়।
উলভস, লেস্টার, এসি মিলান, আয়াক্স এর মত ক্লাবগুলোর রাডারে আছেন মৌসুমের শুরু থেকেই। টুর্নামেন্ট শেষ হতে হতে আরো কিছু ক্লাবের রাডারে পড়ে যেতে পারেন।
৩. সভেন বটম্যান (নেদারল্যান্ড)
পজিশনঃ ডিফেন্ডার
সম্প্রতি সভেন বটম্যান কে নিয়ে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, তাতে আপনি ভুলে যেতেই পারেন সে মাত্র ২১ বছর বয়সী। ফ্রেঞ্চ লিগে পিএসজির সাথে লিল যে এবার সমানে সমানে শিরোপার জন্যে টক্কর দিচ্ছে, তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই ডিফেন্ডারের। এমনিতেই বাম পায়ের সেন্টারব্যাক দের চাহিদা বেড়ে গেছে এখন, তার সাথে ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা, শক্তিশালী শারীরিক গড়ন, এরিয়াল বল ও সেটপিসে দক্ষতা, ডিফেন্ডার হিসেবে আদর্শ প্যাকেজ। ডিফেন্সের দক্ষতার পাশাপাশি বল প্লেয়ার হিসেবেও সভেন চমৎকার। এই মৌসুমেই প্রতি ৯০ মিনিটে প্রোগ্রেসিভ পাস দিয়েছেন ৪.৭ টি।
লিভারপুল, স্পার্স, ইন্টার মিলান তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে এর মধ্যেই। তবে এই টুর্নামেটে সভেন বটম্যান কেমন করেন তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। সব ঠিক থাকলে মাত্র এই মৌসুমের শুরুতে আয়াক্স থেকে লিলে আসা সভেনকে খুব সম্ভবত আবার দল পাল্টাতে দেখবো আমরা।
৪. ননি মাদুয়েকেই (ইংল্যান্ড)
পজিশনঃ ফরোয়ার্ড
পিএসভি আইন্দহোভেন এর হয়ে খেলার কারণেই কিনা ব্রিটিশ মিডিয়া এখনো ননিকে নিয়ে মাতামাতি শুরু করে নি। ক্রিস্টাল প্যালেস ও স্পার্স দের ঘর ঘুরে আপাতত ডাচ লিগেই ঘাঁটি গেড়েছেন। ফরোয়ার্ড হলেও মূলত মাঠের ডান পাশ থেকে ইনসাইড কাট করে লেফট ফুটে শট নিতে পছন্দ করেন। পিএসভি তে বদলী হিসেবেই বেশী নামা হয়েছে (মোট ১৯ ম্যাচে অ্যাপিয়ারেন্স এর ৬ টি স্টার্ট) তবে কমপক্ষে ৫০০ মিনিট খেলেছেন, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতি ৯০ মিনিটে গোল+অ্যাসিস্ট (১.৩টি) মিলিয়ে ডাচ লিগে দ্বিতীয় স্থানে আছেন।
মাদুয়েকেই কেবল ফিনিশার নন, স্ট্যাট বলছে দলের অ্যাটাকিং বিল্ড আপেও রাখছেন কার্যকর ভূমিকা। জাডেন সানচো কিংবা জুড বেলিংহাম এর মত অল্প বয়সে ইংল্যান্ড এর বাইরের লিগে খেলতে আসাটা তার ক্যারিয়ার বিল্ড আপে কতটা কাজে দিচ্ছে তা হয়তো এই টুর্নামেন্ট থেকেই কিছুটা আঁচ করা যাবে।
৫. অঁরেলিয়ে শুয়ামেনি (ফ্রান্স)
পজিশনঃ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার
এই মুহুর্তে ফুটবল বিশ্বে তরুণ প্রতিভা তৈরীর দিকে ফ্রান্স এমনিতে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। অঁরেলিয়ে শুয়ামেনি তেমনি একজন তরুণ। মোনাকোর মিডফিল্ডের সঞ্চালক হিসাবে তার মূল শক্তির জায়গাটা হলো প্রতিপক্ষের আক্রমণ নষ্ট করা। প্রতি ৯০ মিনিটে ৪.২ টা ট্যাকলও সেই সাক্ষ্যই দেয়।
পাশাপাশি সেস ফ্যাব্রেগাস এর সুযোগ্য সাহচর্যে এসে প্রোগ্রেসিভ পাসিং ও নিজ ফরোয়ার্ডদের বল পাসেও লক্ষণীয় উন্নতি করেছেন। সাথে বল পজেশন নিজ দলের কাছে থাকলে আক্রমণেও নিচ্ছেন ভূমিকা। আদর্শ হোল্ডিং মিড হওয়ার সব গুণাবলিই দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে। রিয়াল মাদ্রিদ আর চেলসিও আগ্রহ প্রকাশ করেছে এর মধ্যে। জিনেদিন জিদানের ফ্রেঞ্চ খেলোয়াড় প্রীতি এমনিতেই কারো অজানা নয়। একটা ভালো টুর্নামেন্ট কাটালেই অঁরেলিয়ে কে ক্যাসিমেরোর ভবিষ্যৎ হিসেবে পেরেজ কিনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
৬. ইউসুফা মৌকোকো (জার্মানি)
পজিশনঃ ফরোয়ার্ড
মাত্র ১৬ বছর বয়সে গোল করে বুন্দেসলিগার সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হওয়ার সাথে সাথেই সবার নজর কেড়েছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এর ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ডর্টমুন্ড এর হয়ে অনূর্ধ্ব ১৭ ও অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ে ৮৮ ম্যাচেই করেছেন ১৪১ গোল। নভেম্বরে সিনিয়র টিমের হয়ে ডেব্যু হওয়ার পরে ১৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩ গোল। যদিও এর ১৩টি তেই নেমেছেন বদলি হিসাবে। এমনিতেই ডর্টমুন্ড এর দলে সম্ভাবনাময় তরুণ তারকার ছড়াছড়ি। হাল্যান্ড, সানচো, জিওভান্নি রেইনা, বেলিংহাম, রেইনিয়েরদের ভীড়েও আলাদা করে চোখে পড়েছেন মৌকোকো। যদিও শীর্ষ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা কম, সেই হিসাবে জার্মানী অনূর্ধ্ব ২১ কোচ স্টেফান কুন্টজ হয়তো তাকে বদলি হিসাবেই নামাবেন। সেক্ষেত্রে সুপার সাব কোনো চমক দেখাতে পারেন কিনা তা দেখার বিষয়।
৭. মার্ক কুকুরেয়া (স্পেন)
পজিশনঃ লেফট মিডফিল্ডার/লেফট ব্যাক
গত গ্রীষ্মে গেটাফে তে পার্মানেন্ট মুভ করার পর থেকেই তুখোড় ফর্মে আছেন ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড। বার্সা ট্রায়ো রিকি পুই, অস্কার মিনগুয়েজা, পেদ্রি এর সাথে তাকেও ধরা হচ্ছে স্পেন এর ভবিষ্যৎ কান্ডারী হিসেবে। তিনি নিজেও বার্সার ইউথ প্রোডাক্ট। লেফট মিড কিংবা লেফট ব্যাক দুই পজিশনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন খেলতে। শর্ট পাসে দক্ষতা লক্ষণীয়, তবে ওভারল্যাপ এর দিক দিয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে। এই মৌসুমে লা লিগায় ২৭ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল।
তবে কুকুরেয়া ঠিক কনভেনশনাল স্প্যানিশ মিডফিল্ডারদের মত না। এই জন্যেই হয়তো বার্সা তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে নি। এইবার কিংবা গেটাফের মত হাই ইন্টেনসিটি, ডিরেক্ট অ্যাপ্রোচে খেলা দলগুলোর সাথেই তার স্টাইল বেশী স্যুট করে। মিডফিল্ডার হিসেবে প্রতি ৯০ মিনিটে ৩.৭ ট্যাকল করেছেন এবার লীগে। তাছাড়া কুকুরেয়ার সবচেয়ে শক্তির দিক বোধহয় তার গেম রিড করার ক্ষমতা, চোয়ালবদ্ধ লড়াই করে যাওয়া আর একই এনার্জিতে পুরো ম্যাচ খেলে যাওয়া। চেলসি গত ট্রান্সফার উইন্ডোতে তার প্রতি আগ্রহী বলে কানাঘুষা শোনা গিয়েছিলো কিছুটা। তার যে ভার্সেটালিটি, একটা সফল টুর্নামেন্ট আরো অনেক বিগ টিমকেই আগ্রহী করবে নিশ্চিত।
৮. জিয়ানলুকা স্কামাক্কা (ইতালি)
পজিশনঃ ফরোয়ার্ড
জিয়ানলুকা স্কামাক্কা কে অনেকদিন ধরেই সিরি এ এর নেক্সট বিগ থিং বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সাসুলোর এই ফরোয়ার্ড এই সিজনে লোনে খেলছেন জেনোয়াতে। ১৯ লিগ ম্যাচে ৪ গোল, আহামরি কোনো পারফরম্যান্স বলা যাবে না। তবে বল পায়ে হাফ চান্সেও শট নেওয়ার প্রবণতা আছে। সিজনে প্রতি ৯০ মিনিটে ৩.৩ টি শট নিয়েছেন গোলমুখে। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা ও শারীরিক গড়নের জন্যে বিশেষ করে এরিয়াল ডুয়েলে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই দিক থেকে এভারটন ফরোয়ার্ড ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইন এর সাথে মিল পাওয়া যায়।
তবে স্কামাক্কাকে শুধু পোচার ভাবলে ভুল হবে। নিচে নেমে খেলার বিল্ড আপে অংশ নেওয়া, প্রোগ্রেসিভ পাসিং, স্কামাক্কার এসব গুণও চোখে পড়ার মতন। ইতালির অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের হয়ে নিয়মিতই পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। এই টুর্নামেন্ট এরই কোয়ালিফায়ারে ৯ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। তবে ক্লাবে এখনো বলার মত পারফরম্যান্স না হওয়াতে এখনো জাতীয় দলে ডাক পাননি। ইন্টার মিলান, পারমা, এসি মিলান, জুভেন্টাস এর নজর তার দিকে রয়েছে বলে শোনা যায়। এইবারের অনূর্ধ্ব ১৯ ইউরোই তাই হয়ে যেতে পারে তার জন্যে বিগ ব্রেক।
৯. আইস্যাক ইয়োহানেসন (আইসল্যান্ড)
পজিশনঃ মিডফিল্ডার
সদ্যই ১৮ তে পা দেওয়া এই আইসল্যান্ডিক তরুণকে এর মধ্যেই স্কাউটিং করেছে ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সুইডিশ লিগে নরকোপিং এর হয়ে খেলা এই লেফট ফুটার তার ভার্সেটিলিটি দিয়ে নজর কেড়েছেন। খেলতে পারেন দুই উইং এ, সাথে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও। বয়স অল্প হলেও বল পায়ে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। শর্ট পাসে সিদ্ধহস্ত, মাথা ঠান্ডা হওয়ার কারণে ভিশনটাও চমৎকার। ফলে সতীর্থদের সাথে বোঝাপড়াটাও দ্রুত গড়তে পারেন। ২০২০ মৌসুমে অ্যাসিস্ট করেছেন ৯ টি।
ডিফেন্স ও অ্যাটাকের মধ্যে লিংক করতে পারেন ভালো। খেলার ধরণে লুকা মদরিচের সাথে মিল পাওয়া যায়। অ্যাস্টন ভিলার সাবেক ফুটবলার জোয়ি গুডইয়নসন এর ছেলে আইস্যাক বড় হয়েছেন ফুটবলের আবহেই। এখনি বড় কোনো ক্লাবে যাওয়ার মত হয়েছেন বলা যাবে না, তবে এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে সেটা তার কনফিডেন্স লেভেল বাড়াবে তাতে সন্দেহ নেই।
১০. ফেদোর শালোভ (রাশিয়া)
পজিশনঃ ফরোয়ার্ড
ফেদোর শালোভ গত পাঁচ বছর ধরেই সিএসকেএ মস্কোর ফার্স্ট টিম প্লেয়ার। ইতোমধ্যেই একশোরও বেশী লিগ ম্যাচে খেলে ফেলেছেন। রাশিয়ার মূল দলের হয়ে খেলেছেন তিন ম্যাচ। কাজেই এবারের অনূর্ধ্ব ২১ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে যে সবার বাড়তি নজর থাকবে তার দিকে তা বলাই বাহূল্য। এমনিতেই চেলসি, ব্রাইটন, ক্রিস্টাল প্যালেসের মত ক্লাব সম্প্রতি ইন্টারেস্ট দেখিয়েছে তার প্রতি। ক্রিস্টাল প্যালেস তো গত সামার ট্রান্সফারে ১৪ মিলিয়ন পাউন্ড অফার করেছিলো যা সিএসকেএ মস্কো ফিরিয়ে দিয়েছে।
প্রতিপক্ষের বিপদজনক জায়গায় বলের মুভমেন্ট, সতীর্থদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া, লিংক আপ প্লে তার মূল শক্তি। যদিও তিনি যে ডিপে নেমে খুব বেশী প্রোগ্রেসিভ পাসিং এ ভূমিকা রাখেন তা বলা যাবে না। ফাইনাল থার্ডেই মূলত তাকে ভূমিকা রাখতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে আবার বল রিটেনশন এর দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছেন। প্রতি ৯০ মিনিটে ০.৭৬ টি গোল+অ্যাসিস্ট করেছেন এই মৌসুমে। রাশিয়ার ভবিষ্যৎ নাম্বার নাইন এর দায়িত্ব যে তার কাঁধেই চাপবে এই বিষয়ে কারো খুব একটা সন্দেহ নেই।
এবারের ইউরোতে ফেভারিট ফ্রান্স এর সাথে দেখা হবে রাশিয়ার। ফ্রান্স এর দুই সেন্টারব্যাক ইব্রাহিম কোনাটে আর জুলস কুন্ডেকে ধরা হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট এর সবচেয়ে শক্তিশালী সেন্টারব্যাক পেয়ার। তাদের বিরুদ্ধে যদি শালোভ ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে আরো অনেকদূর যাবেন তার পক্ষে বাজি ধরার লোকের সংখ্যাও রাতারাতি বেড়ে যাবে অনেক।
কৃতজ্ঞতাঃ দ্যা অ্যাথলেটিক, স্মার্টারস্কাউট, ট্রান্সফারমার্কেট, হুস্কোরড
- 0 মন্তব্য