ইউরো '৯২ অ্যান্ড দা ড্যানিশ ফ্যারি টেইল
পোস্টটি ১১৮১ বার পঠিত হয়েছে"The course of life is unpredictable,no one can write his autobiography in advance"
ক্ষণিকের এই দুনিয়াতে আমাদের এই জীবনটা কতোটুকু অর্থ বহন করে? জীবনের এই মোড় কখন কাকে কোন পরিস্থিতে দাঁড় করিয়ে দেয় সেটা যে কারো পক্ষে অনুমান করা এক প্রকার দুরহঃ ব্যাপারই বলা চলে।
১৯৯২ সাল, ডেনমার্ক। আর দুই চারটা দিনের মতো বাসায় সময় কাটাচ্ছিলেন লাউড্রপ।একদিন খুব সকালে কল আসে তার মুঠোফনে।ঘুমকাতুরে লাউড্রপ কলটি ধরার পর অন্যপ্রান্ত থেকে কেউ একজন তাকে বলছে, ' তোমরা সবাই ডেনমার্কের হয়ে ইউরো খেলতে সুইডেন যাচ্ছ। হাতে আর এক সপ্তাহ সময় আছে, এর মধ্যে সব ঠিক করে ফেলো।" লাউড্রপ প্রাঙ্ক কল ভেবে সেটা কেটে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লো কারন ডেনমার্ক তো মূল পর্বে কোয়ালিফাই-ই করতে পারেনি! খেলবে কি করে?
কিন্তু না, সেটা কোন প্র্যাঙ্ক কল ছিল না। পরবর্তীতে দেখতে পেলেন টিভিতে ব্রেকিংনিউজ। অভ্যন্তরীণ গোলযোগের জন্যে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তৎকালীন যুগোস্লাভিয়াকে। এবং তাদের পরিবর্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বাছাইপর্বে রানার্সআপ হওয়া ডেনমার্ককে।
কে জানতো এই বাছাইপর্ব না পেরানো সেই ডেনমার্ক সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট!
নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে পৃথিবীতে তখন অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়। দুই জার্মানি একত্রীকরণ, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভঙ্গন, যুগোস্লাভিয়াতে শুরু হয়েছিলো গৃহযুদ্ধ। কোনো এক দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে অন্য দেশের রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে কিন্তু এক দেশের গৃহযুদ্ধে আরেক দেশের ফুটবলের উপকার হবার নজির সম্ভবত সেবারই প্রথম দেখা দিয়েছিল। তখন যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেড শহর সহ প্রায় সকল শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিক্ষোভ যার চূড়ান্ত ফল গৃহযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। বিক্ষোকারীরা যুগোস্লাভিয়াকে রিপাবলিক স্টেটে পরিবর্তন করার জন্য নাছোড়বান্দা বিদ্রোহীরা।ফলপ্রসূ তাদের ডিসকোয়ালিফাই করে ডেনমার্ক কে অন্তর্ভুক্ত করে উয়েফা। যুগোস্লাভিয়ার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সদৃশ ডেনমার্ক ফুটবল দলের মধ্যে কোচ নিয়ালসনের সাথে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় স্টার ফুটবলার লাউড্রপের। যার জের ধরে লাউড্রপের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে ডিফেন্ডার লারস ওলসেন কে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করা হয়। দলে তারকা খেলোয়াড় বলতে এক ছিলো কিপার পিটার স্মাইকেল যিনি সদ্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন আরেকজন ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখে খেলা তৎকালীন সেরাদের একজন ফরোয়ার্ড ব্রায়ান লাউড্রপ। ২০ জনের ইউরো স্কোয়াডে ১৩ জন খেলোয়াড় খেলতেন ড্যানিশ লিগে, ৪ জন জার্মান লিগে, ১জন করে খেলতেন ফ্রেঞ্চ,তুর্কি এবং ইংলিশ লিগে।
১৯৯২ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত ইউরোর ৯ম আসরে অনেকগুলো নিয়মের শেষ প্রয়োগ করা হয়।তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো:
১. টুর্নামেন্টে ৮ টি করে দল থাকবে।
২. ব্যাক পাস রুল।
৩. প্রতি ম্যাচ জয় বাবদ ২ পয়েন্ট অর্জন।
নিয়ম অনুযায়ী সেবার ৮ টি দলের মধ্যে সুইডেন অটো কোয়ালিফাই করে স্বাগতিক হিসেবে। বাকি ৭টি দেশ হল - জার্মানি, ইংল্যান্ড,ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, যুগোস্লাভিয়ার এবং CIS ( সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গনের পর Commonwealth of Independent states নামকরণ করা হয়)। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্যে বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যুগোস্লাভিয়া কে বাদ দিয়ে রানারআপ ডেনমার্ক কে যুক্ত করা হয়। ৮টি দলকে ২ গ্রুপে ভাগ করা হয় যেখানে ডেনমার্কের গ্রুপে ছিল হোস্ট সুইডেন, শক্তিশালী ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড
এর মাধ্যমে শুরু হয় কোয়ালিফাই রাউন্ডে বাদ পড়েও ডেনমার্কের ইউরো যাত্রা। কাগজে কলমে সেবার সবচেয়ে দুর্বল দল ছিলো ডেনমার্ক এবং সুইডেন।
১১ জুন, ১৯৯২। ডেনমার্কের প্রথম প্রতিপক্ষ গ্যারি লিনেকার, অ্যালান স্মিথ, শিয়েরারদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী ইংল্যান্ডের সাথে মালমো স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরুর আগে ইংলিশ মিডিয়া কাগজে কলমে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছিল ড্যানিশদের। কিন্তু মাঠে দেখা যায় উল্টো চিত্র। লিনকাররা স্মাইকেল বাঁধা পেরোতে তো পারেনি বরং ডেনমার্কের অনেক আক্রমণ গোলবারের কারণে গোল বঞ্চিত হয়।ম্যাচ শেষ হয় গোল শূন্য ড্র তে।
১৪ জুন ১৯৯২; রাসুন্দা স্টেডিয়াম। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক সুইডেন। গত ম্যাচের ধারাবাহিকতায় এবারো ডমিনেট করে খেলতে থাকে ড্যানিশরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বল জলের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলো না। উল্টো ম্যাচের ৫৯ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাকে গোল খেয়ে বসে ডেনমার্ক। ম্যাচে ১-০ গোলে জয় লাভ করে সুইডেন। ড্যানিশ কিপার পিটার স্মাইকেল এই ম্যাচকে তার জীবনের সবচেয়ে বাজে ম্যাচ বলে অভিহিত করেন। তিন ম্যাচের মধ্যে একটি তে হার এবং একটিতে ড্র করে টুর্নামেন্ট থেকে তখন ডেনমার্কের বিদায় ছিল কেবল সময়ের দাবি।
১৭ জুন ১৯৯২; মালমো স্টেডিয়াম। বাঁচা মরার লড়াইয়ে আরেক পরাশক্তি ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে ডেনমার্ক। সেবার দেশম, লরা ব্লা, প্যাপিন, ক্যান্টোনাদের নিয়ে গড়া ফ্রান্স ইউরো জয়ের অন্যতম দাবিদার। শেষ সুযোগ হিসেবে ড্যানিশ কোচ নিয়েলসন দলে অন্তর্ভুক্ত করেন ফরওয়ার্ড লার্স এলস্ট্রাপ এবং মিডফিল্ডার হেনরিক লারসেনকে। লারসেন কে মেইন ইলেভেনে রেখে বেঞ্চ করা হয় এলস্ট্রাপ কে। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় কাজে লেগে যায় নিয়েলসনের প্রথম ট্রাম্পকার্ড। স্কোর শিটে নাম তুলেন লারসেন। এরপর প্রায় রক্ষণাত্মক হয়ে যায় ডেনমার্ক।অনেক চেষ্টার পর ৬০ মিনিটের মাথায় ড্যানিশ রক্ষণ ভেদ করতে সক্ষম হোন পাপি়ন। এবার নিজের শেষ ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মাঠে নামেন এলস্ট্রাপ কে। কাকতালীয় ভাবে এটিও কাজে লেগে যায়। ৭৮ মিনিটে দলকে ২-১ গোলে লিড এনে দেন এই স্ট্রাইকার এবং ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে নেয় ড্যানিশরা।
শেষ ম্যাচ ডেনমার্ক জেতায় এবং গ্রুপের অন্য ম্যাচে সুইডেন ইংল্যান্ড কে হারানোয় গ্রুপ ১ থেকে ডেনমার্ক এবং সুইডেন সেমি ফাইনালে কোয়ালিফাই করে। অন্য গ্রুপ থেকে সেমিতে নাম লেখায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডস এবং আরেক পরাশক্তি জার্মানি। সেমি ফাইনালে ডেনমার্কের প্রতিপক্ষ কোম্যান,রাইকার্ড, ভ্যান বাস্তেন, বার্গক্যাম্প দের নেদাল্যান্ডসের সাথে।সেবারের আসরে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল ছিলো নেদারল্যান্ডস। প্রথম সেমিফাইনালে সুইডেন কে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌছায় আরেক ফেভারিট জার্মানি।
২২ জুন ১৯৯২; উল্লাভি, Gothenburg।শুরু হলো দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল। এবার দল কে ৪-৪-২ সাজালেন নিয়েলসন যেখানে এটাকিং মিডে রাখেন লারসেন কে এবং দুইজন ফরওয়ার্ড হিসেবে রাখেন লাউড্রপ এবং পোভেলসন কে। ফ্রান্স ম্যাচের ট্রাম্পকার্ড এলষ্ট্রাপ এবারো বেঞ্চে। ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় লাউড্রপের ডান দিক থেকে করা ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বল জালে পাঠান লারসেন।কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ড্যানিশরা।ম্যাচের ২৩তম মিনিটে রাইকার্ডের অ্যাসিস্টে ডি বক্সের বাহিরের থেকে গোল করেন বার্গক্যাম্প। তবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সব দলের উপর চড়াই হয়ে খেলতে থাকা ডেনমার্ক এই ম্যাচেও ব্যাতিক্রম ছিলো না। ৩৩ মিনিটের মাথায় ডাচ ডিফেন্সের ভুলে এবারো গোল করে বসেন সেই লারসেন। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা এখনো বাকি ছিলো। ৮৬ মিনিটের মাথায় ডাচদের ত্রাতা হয়ে আসেন ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে শেষ হবার পর অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয় পেনাল্টি শুটআউটে। তারকাবহুল ডাচদের বিপক্ষে একটাই বাঁধা এখন সেটা হচ্ছে ড্যানিশ ভাইকিং স্মাইকেল। ডাচদের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নেন রোনাল্ড কোম্যান এবং ড্যানিশ দের হয়ে নেন লারসেন। দুইজনেরই শট জলের ঠিকানা খুঁজে পায়। ডাচদের হয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টি নিতে আসেন ভ্যান বাস্তেন। কিন্তু সেই শট রিড করে পেনাল্টি সেভ দিয়ে দেন স্মাইকেল! দুদলের বাকি সব পেনাল্টি গোল হওয়ায় সেই সেভের কল্যাণে ৪-৫ গোলে জয় তুলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো কোনো টুনামেন্টের ফাইনালে উঠে ডেনমার্ক!
ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ক্লিনসম্যান, কোহলার, ইফেনবার্গ দের জার্মানি।
২৬ জুন ১৯৯২; উল্লেভি - The Ultimate Final of Euro 92
নিয়েলসনের আন্ডারে ড্যানিশ রূপকথার জন্ম দিতে মাত্র একধাপ বাকি। প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও নিজেদের মধ্যে এক অন্যরকম বিশ্বাস ছিল ডেনমার্ক দলের সবার ভেতর। শেষ মহারণে নিয়েলসন দলকে সাজান ৩ ম্যান ডিফেন্সে যেখানে সামনে ২ জন ফুলব্যাক, মধ্য মাঠে সেবারের ইউরোর নায়ক লারসেন সাথে ভিলফর্ট, জানসেন এবং স্ট্রাইকিং লাইনে যথাযথ ভাবে আছে লাউড্রপ এবং পোভলসেন। ফাইনালে শুরু থেকেই আক্রমনাত্বক ফুটবল খেলতে থাকে জার্মানরা। ডেনমার্কও তাদের রিদম বজায় রেখে তাদের চিরচেনা স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ মিনিটের মাথায় বুলেট গতির শটে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন জন ইয়েনসেন। ১-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর ড্যানিশ দের উপর চড়াই হয়ে খেলতে থাকে জার্মানরা।কিন্তু তাদের সামনে বার্লিনের দেয়াল হয়ে দাঁড়ান পিটার স্মাইকেল। ম্যাথিয়াস সামারের করা ডি বক্সের সামনে করা শট আটকিয়ে দেন এই ড্যানিশ ভাইকিং। দ্বিতীয় হাফে ক্লিনসম্যানের বুলেট গতির হেড এক হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্মাইকেল। ক্লিনসম্যান নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না গোল বঞ্চিত হবার পর। খুব সম্ভবত তখনই ইউরোর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। স্মাইকেলের সেই সেভ দেবার পর ধারাভাষ্যকার বলেছিলেন- " schmeichel does his job again,And klinsmann wonders what Germany have to do"।ম্যাচের ৭৮ মিনিটের মাথায় বদলি হিসেবে নামা ক্রিস্টেনসেনের বাড়ানো বলে প্রতিপক্ষ দুইজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠান কিম ভিলফোর্ট!
ডেনমার্ক ২-০ জার্মানি!! অবিশ্বাস্য হলেও সেটি সত্য হয়েছিলো উল্লেভির গোথেনবার্গে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে ডেনমার্ক দলের সবাই ছুটে যান পিটার স্মাইকেলের দিকে। দলের কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলো না তারা তাদের ইতিহাসের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ট্রফি জিতে ফেলেছে যেখানে তাদের অংশগ্রহণ করাই ছিলো এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার।পরেরদিন প্রায় সকল পত্রিকায় হেডিং এসেছিলো ড্যানিশ রূপকথাকে ঘিরে!
ফাইনাল শুরুর আগে জার্মানরা এতোটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলো যে শেষ মহারণ শুরুর আগেই চ্যাম্পিয়ন দের বরণ করার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় জার্মান সরকার।যার অংশ হিসেবে ট্রফি নিয়ে উদযাপনের জন্যে বার্লিন থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট পর্যন্ত স্ট্যান্ডস তৈরি করেছিল কর্তৃপক্ষ। তাদের সকল সমর্থকদের মন এবং স্ট্যান্ড যেনো নিমিষের মধ্যেই ধুমরে ফেলে কয়জন অখ্যাত ড্যানিশ ফুটবলাররা।
এমনকি টুর্নামেন্টের এক সপ্তাহ আগে অন্তর্ভুক্ত হবার পর প্রথম টিম সেশনে খোদ ড্যানিশ কোচ রিচার্ড নিয়েলসন মজা করে বলেছিলেন তারা ইউরো জিততে যাচ্ছে! কে জানতো এই ঠাট্টা,মজা করে বলা কথা এক মাস পর বাস্তবে রূপ নিবে? সেবার স্মাইকেলের অতি মানবীয় পারফর্ম ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল ড্যানিশদের যেটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা থাকবে।
- 0 মন্তব্য