বাংলার ফুটবল মুক্তির ৬-দফা (৫ম পর্ব); বাংলার কিশোরেরা তৈরি হবে, ইউরোপের আঁতুড় ঘরে!
পোস্টটি ১০৪৫ বার পঠিত হয়েছে
অবকাঠামো উন্নয়ন, দেশের সর্বোত্র ফুটবলের বিস্তার ঘটানো, স্কুল ভিত্তিক প্রতিযোগীতা, ট্যালেন্ট হান্ট করে পরিচর্যা, পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি- এসবের মধ্য দিয়ে দুর্বল ফুটবল সংস্কৃতির পরিবর্তন এনে সমৃদ্ধ ফুটবল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার স্বপ্ন দেখার চেয়ে না দেখা ভাল, এটা আমরা এতদিনে বুঝে গেছি। এগুলো হাইপথেটিকাল চিন্তা ভাবনা, ফুটবল টক শোগুলোর আলোচনার খোরাক হতে পারে, বাফুফে নির্বাচন পূর্ববর্তী ম্যানিফেস্টো হতে পারে। তবে এসব ঘিয়ে ভাঁজা তত্ত্বকথা দিয়ে আমাদের ফুটবল বদল হবেনা।
জামাল ভুঁইয়া বা তারিক কাজীরা বাঙ্গালি রক্ত শরীরে বহন করেও বুদ্ধিদীপ্ত পাসিং, ডেড বলে নেয়া শট, খেলার গতিকে না কমানো ওয়ান টাচে গ্যাপ তৈরি করা বলের যোগান দেয়ার মত সাধারণ স্কিল দিয়েই চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দেন দেশের জল হাওয়ায় বেড়ে ওঠা জাতীয় দলের সতীর্থদের চেয়ে তারা একটু ভিন্ন ফুটবল খেলেন। এটাকেই হয়তো বলে পরিবেশ। যত পরিচর্যাই করা হোক না কেন, উত্তরবঙ্গের বউ সুন্দরীর স্বাদ মিলবেনা ঢাকার আমে। শুধুমাত্র ইউরোপের ফুটবল সংস্কৃতির পরশ পাথর ছোঁয়ায় জামাল-তারিকদের বেড়ে ওঠার সুফল চোখের সামনে। কবে কখন তাদের মত করে আবার ইউরোপ প্রবাসীর বেড়ে ওঠা সন্তান সেখানকার পেশাদার ফুটবলের অপূর্ব সুযোগের সাথে সমঝোতা করে স্বেচ্ছায় দেশের টানে খেলতে আসবে, সেই আশায় বাফুফে তীর্থের কাক হয়ে তাকিয়ে আছে। বাফুফে ও দেশের কোন অবদান ছাড়া নিজেদের তৈরি করা দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রবাসী ফুটবলারের কাছে তাদের পূর্বপুরুষের রক্তের দাম মেটাতে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বলার অধিকার কি বাফুফের আছে?
জামাল ভুঁইয়া বা তারেক কাজীর ফুটবল স্কিল ও দেশপ্রেমের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেও মনে প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয় যে তারা যদি আরেকটু উন্নত পর্যায়ের ফুটবল খেলতেন, তবে কি লাল-সবুজের জার্সীটা গায়ে চাপাতেন? ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে অংশগ্রহণ করা এফ সি কোপেন হেগেনের বয়সভিত্তিক দলে খেলা জামাল মূল দলে খেলার সুযোগ গেলে কি সাইমন কিয়ের, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনদের সতীর্থ হয়ে বিশ্বকাপ বা ইউরোর মত প্রতিযোগীতায় ডেনমার্কের হয়ে মাঠ মাতানোর স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশে আসতেন? ফিনল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা তারিক যদি ফিনিশ মানটা ধরে রাখতে পারতেন, তাহলে নিশ্চিত করেই তাকে এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্বে বাংলাদেশর বদলে টিভি পর্দায় ইউরো ২০২০ এ ফিনল্যান্ডের হয়ে ডিফেন্স সামলাতেই দেখতে হত। ইংলিশ প্রিমিয়ারের ক্লাব লেস্টার সিটির হামজা চৌধুরী তো উদাহরণ হয়ে আছেন চোখের সামনেই। তিন সিংহের চিহ্নখচিত ইংরেজদের শুভ্র জার্সিটি গায়ে চাপানোর সুযোগ তার এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাই বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য সোস্যাল মিডিয়াতে পাওয়া অসংখ্য বাংলাদেশীর অনুরোধে নিশ্চুপ হয়ে থাকেন। যদি কখনো ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আশা ফিকে হয়ে যায়, তবে কে জানে, কেরিয়ার সায়াহ্নে হয়ত লাল সবুজের ডাকে সাড়া দেবেন। এভাবে সৌভাগ্যবশত দুয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার পেলে বোনাস, তবে না পেলে কি বাফুফের কি কিছুই করার নেই?
অবশ্যই আছে। কথায় আছে where there is a will, there is a way! ভবিষ্যতের হামজা চৌধুরীদের নিজেদের অধিকারের বলয়ে রেখে ফুটবলের আঁতুড় ঘর ইউরোপ থেকে তৈরি করে ফিরিয়ে আনা খুব সম্ভব। প্রয়োজন শুধু বাক্সের বাইরে চিন্তা করার মত পর্যাপ্ত মেধা আর সদিচ্ছার। সেই লক্ষ্যে একটি রেসিপি লেখা যাক। এই রেসিপির একমাত্র প্রয়োজনীয় উপকরণ জনা ১৫ অনুর্ধ্ব ১৪ মেধাবী কিশোর যারা স্বয়নে শপনে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এ আর কঠিন কি? অত্যন্ত সহজলভ্য উপকরণ। সহজলভ্য উপকরণ হলেও সব রেসিপি সহজ হয়না। এটিও নয়। বিশেষ করে আমাদের মত জাতির জন্য, যারা জীবন যাত্রার প্রত্যেকটি সুযোগে স্বজনপ্রীতি অথবা উৎকোচ লেনদেনকে একটি অতি সস্তা ও স্বাভাবিক বিষয় মনে করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। এমন একটি জাতির জন্য স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে মেধাবী বাছাই অত্যন্ত দুরূহের। এমন হওয়া মোটেই বিচিত্র নয়, যোগ্য মেধাবী কিশোরের স্বপ্ন জবাই করে তার জায়গা দখল করে ইউরোপে গেল কোন এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাতি যেকিনা দুই পায়ে ভাল করে কিক দেয়া শিখেনি। আমাদের এই রেসিপির প্রথম চ্যালেঞ্জটা সেখানেই। রেসিপি অনুযায়ী বাফুফেকে প্রতি বছর ১৫ জন ক্ষুধে ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণ করতে হবে ফুটবল বিজ্ঞানের সর্বোচ্চটা প্রয়োগ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে ফুটবলীয় মেধাভিত্তিক নির্বাচন করা কয়েকশ ১২-১৩ বছরের ক্ষুধে ফুটবলারের মধ্য থেকে শারীরিক গঠন ও উচ্চতা, বিজ্ঞানসম্মত বয়স ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বাবা-মার শারীরিক গঠন ও উচ্চতা, সহজাত বুদ্ধিমত্তা, আই কিউ টেস্ট, পরিশ্রম করার মানসিকতা ইত্যাদি নানাবিধ পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও যাচাই শেষে ১০০% স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ১৫ জন কিশোরকে বেছে নিতে হবে।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগে (ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, স্প্যানিশ লা লীগা, ইটালিয়ান সিরি এ, জার্মান বুন্দেস লীগ ও ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ান) অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি ক্লাবের ফুটবল একাডেমির পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব অনুর্ধ্ব ১২, ১৪, ১৬ ও ১৮ দল। এসব ক্লাবে মেধাবী কিশোরদের জন্য ফ্রি স্কলারশীপের পাশাপাশি আছে টিউশন ফি প্রদান করে কোচিং নেয়ার অপূর্ব সুযোগ। ইউরোপের শীর্ষ দেশগুলোর জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করা ৯৫ শতাংশাধিক ফুটবলার কৈশোরে এসব কোন না কোন ক্লাবের বয়সভিত্তিক কাঠামো থেকে উঠে এসেছে। বাফুফেকে যা করতে হবে তা হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা, রিয়েল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এসি মিলান, বায়ার্ন মিউনিখ ইত্যাদি ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সফল কিছু ইউরোপীয়ান ক্লাবের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে দেশের মেধাবী কিশোরদের ট্রেনিং এর সুযোগ সৃষ্টি। শীর্ষ পাঁচ লীগের প্রথম স্তরের অন্তত ৯০ টি ক্লাব থেকে এরকম ট্রেনিং এর সুযোগ আছে। তবে বিষয়টা যতটা সহজ শোনাচ্ছে, আদতে তা নয়। টাকা অথবা মন্ত্রীর সুপারিস থাকলে এ দেশে বাঘের দুধও পাওয়া যায়। তবে ইউরোপের শীর্ষ লীগে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দীর্ঘমেয়াদী কোচিং নেয়ার সুযোগ মিলবেই, তা জোর দিয়ে বলা যায়না। সুযোগ পাওয়ার জন্য ক্ষুধে ফুটবলারদের বিভিন্ন দেশের কিশোর ফুটবলারদের সাথে প্রতিযোগীতা করে মেধার প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলেই অর্জন করে নিতে হবে একাডেমীতে ট্রেনিং নেয়ার সুযোগ। এজন্য অনুর্ধ্ব ১৪ কিশোরদের বাছাই করা, তাদের দীর্ঘমেয়াদি টেনিং এর জন্য অর্থের সংকুলানের পাশাপাশি প্রতিযোগীতা করে ট্রেনিং এর জন্য নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য দেশসেরা কিশোর ফুটবলারদের প্রস্তুতও করতে হবে বাফুফেকেই।
ব্যাস, বাদ বাকি দায়িত্ব ক্লাবগুলোর। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে তৈরি করার পাশাপাশি পড়াশোনাসহ বেড়ে ওঠার যাবতীয় ব্যবস্থা করবে ক্লাবের ফুটবল একাডেমীগুলো। পরবর্তী ৬-৭ বছর তারা বেড়ে উঠবে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ফুটবল পরিমন্ডলে। টেনিং মৌসুম শেষে বোর্ডিং স্কুলের নিয়ম মেনে বছরে একবার মাস দুয়েকের জন্য তারা ছুটি কাটাতে দেশে ফিরবে পরিবারের কাছে। প্রত্যেক কিশোরের বাবা-মা বা আইনি অভিভাবকের সাথে চুক্তিতে অবধারিতভাবেই থাকবে প্রশিক্ষণ শেষে অথবা চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল অথবা বাফুফে অনুমোদিত যে কোন বয়সভিত্তিক দলে তাদের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণের শর্ত। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়ার অথবা তার বাবা-মা’কে তার পেছনে ব্যয়কৃত যাবতীয় অর্থ জরিমানাসহ ফেরত দেয়ার বিধানতো থাকবেই। তাছাড়া একাডেমি থেকে প্রদত্ত ক্ষুধে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাচাই করে সন্তুষ্ট না হলে ব্যবস্থা নেয়ার কিংবা নিয়ম শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত হলে যেকোন সময়ে অভিযুক্ত খেলোয়ারকে দেশে ফেরানোর সুযোগ থাকবে বাফুফের।
চিত্রঃ আরমেনিয়ার একটি ফুটবল একাডেমীর নিজস্ব স্টেডিয়ামে অনুশীলনরত ক্ষুদে ফুটবলাররা। Image Source: Wikimedia Commons
এধরনের একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা চালু করা গেলে ৫ বছরের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক জামাল ভুঁইয়া আর তারিক কাজীরা তৈরি হবে। আনসু ফাতিহ, ভিনিসিয়াস জুনিয়র বা অর্লিং হাল্যান্ড এর মত দুএকজন তৈরি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ আনসু ফাতিহরাও একই ধরনের সুযোগ সুবিধার মধ্যে দিয়ে কৈশোর কাটিয়ে আজ এই পর্যায়ে এসেছে।
এসব তরুণদের হাতেই থাকবে লাল সবুজের ঝান্ডা। আর থাকবে ফুটবল মাঠে বুক চিতিয়ে লড়াই করার সাহস। বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা আকাশ কুসুম কল্পনা থেকে বেরিয়ে বাসা বাঁধবে বাস্তবের সীমানা ঘেঁষে। জাতীয় দলে তৈরি হবে অসাধারণ গঠনমূলক প্রতিযোগিতা। এশিয়ান মানে উন্নীত হওয়া হতে পারে সময়ের ব্যাপার। দেশের ফুটবল লীগের মান এক ধাক্কাতে অনেক উঁচুতে উঠে যাবে।
তীব্রভাবে আশাজাগানিয়া হলেও এ পদ্ধতিতে খেলোয়াড় তৈরির পথটা মসৃণ নয়। সবচেয়ে বড় বাঁধা নিঃসন্দেহে বিপুল পরিমাণ অর্থের নিরবিচ্ছিন্ন যোগান। বড় প্রকল্পের নামে অতীতে বিপুল অর্থ খরচ করেও অপরিণামদর্শী বাফুফে সুফল ঘরে তুলতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রেই অর্থের নিরবিচ্ছিন্ন যোগানে ব্যর্থ হওয়া ছিল প্রধান কারণ। তাই হয়ত এধরনের পরিকল্পনাতে ঘরপোড়া গরুর মত বাফুফেও সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পাবে। তাই শুরুতেই প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক কিশোরকে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে না যেয়ে ২-৩ জন কিশোরকে নিয়ে পাইলট প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে। পাইলট প্রকল্পের ফলাফল আশা জাগালেই বাফুফে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পে খেলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে পারবে। তবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা না নিয়ে স্বল্পমেয়াদী চিন্তা করলে বরাবরের মত এসব পরিকল্পনাও নিস্ফলাই থেকে যাবে। অতীতে স্পন্সরদের অর্থায়নে ও আগ্রহে জনাকয়েক কিশোরকে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাঠিয়েছিল বাফুফে। তবে কয়েক মাসে খেলোয়ার তৈরি হয়না। আদতে হয়নিও। আধুনিক ফুটবলের বিষ্ময়কর প্রশিক্ষণের স্পর্শধন্য কিশোররা ফিরে এসে যথারীতি অবতীর্ণ হয়েছিল বল বয়ের ভূমিকায়।
তাই পরিকল্পনাটি হতে হবে দীর্ঘমেয়াদি। পূর্নাংগ একটি প্রকল্পে প্রয়োজন হতে পারে পঞ্চাশ কোটি টাকার বাৎসরিক ফান্ড। নয় অংকের সংখ্যাটাকে শুনলে যত বড় মনে হচ্ছে, পরের তথ্যটি শুনলে আর তত বড় মনে হবেনা। বর্তমানের র্যাংকিং এর তলানীতে পড়ে থাকলেও দেশের পেশাদার লীগে অংশ নেয়া ক্লাবগুলো কেবল স্থানীয় ফুটবলারদের এক মৌসুমের জন্যই ঐ পরিমাণ অর্থের বরাদ্দ রাখে। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি কর্পোরেট হাউজের বিনিয়োগ ইচ্ছাই যথেষ্ট। ফুটবলে গণজোয়ার ফিরে এলে কর্পোরেট হাউসগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদের স্পন্সরশিপ বিনিয়োগের লাভজনক প্রতিদান ফেরত পাবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ফুটবলারদের পরবর্তী কয়েক বছর দেশ বিদেশের ক্লাব ফুটবল খেলে উপার্জিত পারিশ্রমিকের একটি অংশ তার প্রশিক্ষণের ব্যয় বাবদ পরিশোধের সুযোগ প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অর্থায়নে এবং আর্থিক বিনিয়োগের সম্ভাব্য চক্র তৈরিতে সহায়ক হতে পারে। প্রতিবন্ধকতা অর্থের নয়, বাফুফের মেধায়, আন্তরিক ইচ্ছায়। ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হবেই।
Special thanks to Freeflagicons.com for allowing me to use the wonderful thumbnail in this blog article
- 0 মন্তব্য