পিতর চেক - "The fighter wearing Rugby headguard"
পোস্টটি ৭১১ বার পঠিত হয়েছে২০১২ সাল, মিউনিখের সেই রাত।২০০৮ সালে স্বপ্নভঙ্গের পর দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি, প্রতিপক্ষ কম্পিটিশনের অন্যতম সফল দল তারকা ঠাসা বায়ার্ন মিউনিখ।
২০০৮ এর ফাইনালে হারতে হয়েছিলো পেনাল্টি শুটআউটে, বৃষ্টিস্নাত বিকালে ক্যাপ্টেন জন টেরির স্লিপের পর নিকোলাই আনেলকার মিসের জন্য।সেটা ছিলো চেলসির ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্কোয়াড।
সেবারের ম্যাকেলেলে, বালাকরা এবার নেই।দলের সেরা ৫ খেলোয়াড় চেক, টেরি, ল্যাম্পার্ড, এসিয়েন, দ্রগবাদের সবার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা শেষ, তবুও ধরে দেখা হয়নি ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানের সেই ট্রফি।দলের প্রতি ভালোবাসার জন্য ক্লাবও ছাড়েননি তারা।তাই,২০১২ তে শত বিপত্তি পেরিয়ে একদল বুড়ো যখন ফাইনালে পৌঁছালেন আবার,এবার যেনো মনস্থির করে নিলেন যে কিছুতেই হার মানবেন না।
ক্যাপ্টেন জন টেরি সেমির দ্বিতীয় লেগে রেড কার্ড হজম করলেন অহেতুক ট্যাকল করে, ফাইনালে নামলো তরুণ ডেভিড লুইজ।এদিকে তারুণ্যে ভরপুর বায়ার্নের একের পর এক অ্যাটাককে প্রতিহত করতে ডিফেন্সকে খুব বেগ পেতে হচ্ছিলো। সেদিন পিতর চেক যেন দেয়াল হয়ে উঠলেন বায়ার্নের জন্য,একের পর এক সেভ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবুও শেষ রক্ষা হলো না,৮২ মিনিটে গোল হজম করে বসলেন।
আবার তীরে এসে তরী ডুববে না তো?
সিংহহৃদয় দ্রগবাও হয়তো এই ভেবে কেঁদে ফেললেন,মাতার সান্তনা লাগলো তাকে আবার মাটি থেকে দাড় করাতে। যাই হোক,৮৯ মিনিটে মাতার কর্ণারে হেড দিয়ে দ্রগবাই ইকুয়ালাইজ করলেন,ম্যাচ গেল অতিরিক্ত সময়ে। চেলসি শিবিরে প্রাণ ফিরে এলো,তবে সেই খুশি বেশিক্ষনের না। কিছুক্ষন আগে হিরো হয়ে যাওয়া দ্রগবাই এবার ভিলেন হয়ে গেলেন অপজিশনকে আবার পেনাল্টি গিফট করে।
পেনাল্টি নিতে আসলেন সাবেক চেলসি ম্যান আর্জেন রোবেন।শুনেছি, চেক ফাইনালের আগে ৮ ঘণ্টা ধরে শুধু বায়ার্ন টিমের পেনাল্টি নেওয়ার টেকনিক পর্যবেক্ষণ করেছেন।এবার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পালা,থামিয়ে দিলেন রোবেনকে।ম্যাচ গেল ২০০৮ এর মতই শুটআউটে।
এবার চেক নিজেই দায়িত্ব নিলেন দলকে রক্ষার,সেভ দিলেন আরো দুইটা পেনাল্টি,দ্রগবার ডিসাইডার পেনাল্টিতে গোল হলো,চেলসি প্রথমবার ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ট্রফি। চেলসির বুড়োদের ক্লাব ক্যারিয়ার পেলো পূর্ণতা, চেক পেলেন অমরত্ব।চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলকিপিং পারফরম্যান্স সেটা।
চেকের জন্ম ১৯৮২ সালে ২০ মে চেকোস্লোভাকিয়ার প্লাজেইয়ে লিবুসে চেকোভা ও ভাচলাভ চেকের ছোট্ট সংসারে।তবে,একটা মজার বিষয় হয়েছিলো চেকের জন্মদিনে,সেদিন একই সাথে ভাচলাভ ও লিবুসের ঘরে ৫ মিনিটের ব্যবধানে জন্ম হয়েছিল তিন সন্তানের।চেকের সাথে জন্মেছিল জমজ ভাই মাইকেল ও বোন সারকা।তবে,তিনজনের জন্ম হওয়ায় কিছু জটিলতাও দেখা দিয়েছিল।যেমন, চেক দুর্বল মাথার খুলি নিয়ে জন্মেছিলেন।
চেকের বেড়ে ওঠা সেই প্লাজেইতেই।৭ বছর বয়সে যোগ দিলেন সেই দেশের বিখ্যাত ক্লাব ভিক্টোরিয়া প্লাজেইতে।সেখানে ৩ বছর খেললেন স্ট্রাইকার হিসেবেই,তবে ১০ বছর বয়সে এক ইঞ্জুরিতে পা ভেঙে গেলে ডাক্তার তাকে পায়ের উপর কম চাপ দিতে বলেছিলেন,হয়তো এভাবেই শেষ হয়ে যেত চেকের ফুটবল খেলার স্বপ্ন।তবে, চেক হার মানেনি,তাই ৩ মাস পর মাঠে ফিরলেন আবার।কোচের পরামর্শে খেলা শুরু করলেন গোলকিপার হিসেবে।সেখানেই থিতু হয়ে গেলেন আজীবনের মতোচেকের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ব্রেকথ্রু আসে ১৯৯৯ তে ,যখন তিনি ১৭ বছর বয়সে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম বিভাগের ক্লাব বিসনে এর হয়ে ডেবিউ করলেন স্পার্টা প্রাগের বিপক্ষে।
সেই ম্যাচে চেকের পারফরমেন্স দেখে স্পার্টার কোচ মুগ্ধ হয়েছিলেন,তাই ২০০১ এর গ্রীষ্মে তাকে দলে ভেরালেন।সেখানে প্রথম সিজনেই করলেন বাজিমাত।প্রথম তিন মাসে ৯০৩ মিনিট গোল হজম না করে বারের নিচে দাড়িয়ে রইলেন,যা চেক লিগে একটানা সর্বোচ্চ সময় গোল হজম না করার রেকর্ড হয়ে আছে আজও।
সেই সিজনে স্পার্টা দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করলো।ইউরোপের শীর্ষ লিগের দলগুলোর ততদিনে নজর পড়ে গেছে চেকের উপর। এমনকি আর্সেনাল কোচ ওয়েঙ্গার তাকে প্রায় দলে ভিড়িয়েও ফেলেছিলেন ২০০২ এর গ্রীষ্মে,তবে ওয়ার্ক পারমিট না পাওয়ায় সেবার দলবদল করে প্রিমিয়ার লিগে আসা হয়নি।
সেবছর সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ক্লাব রেনেস নিয়ে নিল তাকে।
তবে তাঁরা বেশিদিন চেককে ধরে রাখতে পারেনি, সদ্য চেলসির মালিকানা আদায় করা রোমান আব্রামোভিচ দলের জন্য তরুণ একজন গোলকিপার খুঁজলেন, বোর্ডের সাজেশনে চেককেই টার্গেট করা হলো।
চেলসি ২০০৪ এর জানুয়ারিতে প্রথমবার বিড করলে রেনে তা রিজেক্ট করে দেয়,তবে নাছোড়বান্দা রোমান যখন এবার ৭ মিলিয়ন ইউরোর বিড করলেন তখন রেনে তাকে চেলসিকে দিতে বাধ্য হয়।
২০০৪ এর গ্রীষ্মে সদ্য ইউরোপজয়ী কোচ হোসে মরিনহোর সাথেই চেলসির ইতিহাসের সবচেয়ে দামী গোলকিপার হিসাবে লন্ডনে পদার্পণ করেন চেক।
দলে কার্লো কুদিচিনির মতো অভিজ্ঞ গোলকিপারের উপস্থিতিতে প্রথম সিজনে সেকেন্ড চয়েস হয়েই থাকতে হতো চেককে,তবে ভাগ্য চেকের উপর প্রথম থেকেই প্রসন্ন।
প্রী সিজনে কনুইয়ের চোটে ছিটকে গেলেন কুচদিনি, চেক সেই সুযোগ কাজে লাগলেন ভালোমতো।
২০০৪/০৫ সিজনের প্রথমেই আলেক্স ফার্গুসনের লিজেন্ডারি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে, প্রথম ম্যাচেই ক্লিনশিট রাখলেন,চেলসি ম্যাচ জিতলো ১-০ তে।
প্রথম সিজনে চেক দুইটা রেকর্ডও করে ফেললেন।এবার টানা ১০২৫ মিনিট কোনো গোল হজম করলেন না প্রিমিয়ার লিগে,যা তখনকার সময়ে রেকর্ড ছিলো।আবার,লিগে ২১ ক্লিনশিট রেখে সেবার গোল্ডেন গ্লাভসও জিতলেন তিনি। চেলসিও সেবার জিতলো নিজেদের প্রথম প্রিমিয়ার লীগ।
২০০৫/০৬ সিজন চেকের জন্য খুব ভালো গিয়েছিলো।এবারও লিগে হজম করলেন মাত্র ২২ গোল,আবার জিতলেন গোল্ডেন গ্লাভস ও প্রিমিয়ার লীগ।২০০৫ এ IFFHS এর বর্ষসেরা গোলকিপারও হলেন তিনি।
এবার চেলসির সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন ২০১০ পর্যন্ত। ইংল্যান্ডে সব ঠিকঠাকই যাচ্ছিল চেকের জন্য,তবে হঠাৎ অভিশাপ হয়ে এলো এক দুর্ঘটনা।
২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর রিডিং এর বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি এরিয়াতে রিডিং মিডফিল্ডার স্টিফেন হান্টের হাঁটুর আঘাতে ফেটে যায় চেকের মাথার খুলি।তাকে সাথে সাথে পিচ থেকে সরিয়ে নিয়ে পাঠানো হলো হাসপাতালে।প্রথমে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে না পারলেও ডাক্তার পরবর্তীতে জানিয়েছেন যে আর ১০/১৫ মিনিট দেরি হলে চেকের মৃত্যু হতে পারত!
যেখানে জীবন নিয়েই সংশয়,সেখানে ফুটবল খেলার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু মানুষটা যেহেতু পিতর চেক,এতো সহজে দমে যাওয়ারও কথা না।দমে যাননি চেক,সেই বছরের অক্টোবরে ২৪ তারিখ ট্রেনিংয়ে ফিরলেন তিনি।
তবে জন্মের সময় থেকে আলগা থাকা মাথার খুলি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিলেন স্কাল প্রটেকটিভ মাস্ক পরার।তখন থেকে রাগবি মাস্ক পরেই মাঠে নামতে শুরু করলেন চেক। পরে মাথার খুলি ঠিক হয়ে গেলেও এই মাস্ক ছাড়া আর কোনোদিন খেলার মাঠে নামেননি।
পরবর্তিতে,এই মাস্কই চেকের ট্রেডমার্ক হয়ে যায়।
চেকের অনুপস্থিতিতে তার পগুরুত্ব হারে হারে বুঝলো চেলসি,সেবার অর্ধেক সিজন চেক না থাকায় চেলসির পক্ষে টাইটেল রিটেন করা সম্ভব হয়নি।চেক ফিরলেন ২০০৭ এর জানুয়ারিতে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে।যদিও চেলসি সেই ম্যাচ ২-০ তে হেরেছিল,এরপর খেলা ৯ ম্যাচে টানা ৮১০ মিনিট কোনো গোল হজম করেননি চেক।এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৭ এর এপ্রিলের প্লেয়ার অফ দ্যা মান্ঠ হলেন।সেবারই এফএ কাপ জিতলেন চেক।
২০০৮ এ ট্রেনিংয়ের সময় সতীর্থ তালের সাথে এক সংঘর্ষে ৫০ টা সেলাইয়ের দরকার হয়েছিলো তার,তাই আবার দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে চলে গেলেন।ফিরে নিজের সেরাতে ছিলেন না ,২০০৮ এর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হার্টব্রেকিং সেই হারের কথা আগেই বলেছি।
নতুন উদ্যমে শুরু করলেন ২০০৮/০৯ সিজন,সেবার প্রথম ১৬ লিগ ম্যাচে রাখলেন ১১ ক্লিনশিট।২০০৮ এর নভেম্বরে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতল চেলসি, সেদিনই চেলসির হয়ে ১৭৯ তম ম্যাচে পেয়ে গেলেন ১০০ তম ক্লিনশিট।সেই সিজনে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ২৪ গোল হজম করেছিলো চেলসি,যা লিগে যুগ্মভাবে সবচেয়ে কম ছিল,সিজন শেষ হলো এফএ কাপ ফাইনালে এভারটনকে হারিয়ে।
২০০৯/১০ সিজনে কার্লো আনচেলত্তির অধীনে নিজেদের ৩য় প্রিমিয়ার লিগ জিতলো চেলসি,১৭ ক্লিনশিট রেখে চেক দ্বিতীয়বার জিতলেন গোল্ডেন গ্লাভস।
২০১০/১১ সিজনে প্রথমবারের মত চেক চেলসির প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার হলেন, ব্যক্তিগতভাবে ভালো সময় গেলেও দল সেবার বিশেষ কিছু করতে পারেনি।
২০১১/১২ এর কথা শুরুতেই বলেছি।ফাইনালে অতিমানবীয় পারফরমেন্সের জন্য ফ্যানদের ভোটে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন চেক।
২০১২/১৩ মৌসুমে প্রথমবারের মত হলেন ইউরোপা লিগ বিজয়ী।
১৯ অক্টোবর ২০১৩-এ, চেলসির হয়ে ৩০০ তম প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ সেলিব্রেট করলেন কার্ডিফ সিটির বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয় পেয়ে। ১১ ই জানুয়ারী২০১৪ তে, তিনি পিটার বোনেটির ২০৮ ক্লীনশিটের ক্লাব রেকর্ডকে ভাঙলেন হাল সিটিকে ২-০ তে হারিয়ে।
২০১৪ এর এপ্রিলের ১৮ তারিখ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গ্যালটাসারাইয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে চেলসির হয়ে ১০০ তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ খেলতে নামলেন । ইকার ক্যাসিয়াস, ভেক্টর ভালডেস এবং অলিভার কান-এর পরে প্রতিযোগিতায় ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলা চতুর্থ গোলকিপার হয়ে গেলেন সেদিন।বহু ইনজুরির পরেও ২০১৩/১৪ সিজনে আবার জিতলেন গোল্ডেন গ্লাভস।
২০১৪/১৫ সিজনের শুরুতে চেক ৩২ এ পা দিলেন।আগের মত আর লড়তে পারছিলেন না ইঞ্জুরির সাথে।তাই ,নতুন গোলকিপার থীবো করতোয়ার আগমনে দ্বিতীয় পছন্দ হয়ে গেলেন গোলকিপার হিসেবে।
তবে চেক তখনও দ্বিতীয় পছন্দ হবার জন্য রাজি ছিলেন না,তাই ১০ মিলিয়ন মূল্যে ২০১৫ এর জুনে তাকে ট্রান্সফার করা হলো নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালে,সেখানে সেজনির অনুপস্থিতিতে হয়ে গেলেন দলের ফার্স্ট চয়েজ গোলকিপার এবং জিতলেন নিজের ৪র্থ প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন গ্লাভস।
সেখানে পরবর্তী বছরগুলো খুব ভালো যায়নি।২০১৯ এ আর্সেনাল থেকেই রিটায়ার করলেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে সাবেক দল চেলসির কাছে হেরে।
এবার স্থায়ীভাবে বিদায় বলে দিলেন ফুটবল ক্যারিয়ারকে।
২০০২ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে খেলেছেন ১২৪ ম্যাচ, যা চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে যেকোনো খেলোয়ারের সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড।
চেলসির হয়ে ক্লাব লেভেলে সম্ভাব্য সবই জিতেছেন চেক।আছে ৪ প্রিমিয়ার লিগ,৫ এফ এ কাপ(একটা আর্সেনালের হয়ে),১ টা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ,১ টা ইউরোপা লীগ।জাতীয় দল হোক বা ক্লাব, বরাবরই বহু রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন চেক।
চেক প্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে বেশি ৯ বার বর্ষসেরা ফুটবলার হবার রেকর্ড চেকের দখলেই আছে।৪৯৪ ক্যাপ নিয়ে চেলসির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ভিনদেশী প্লেয়ার চেক।
চেলসির হয়ে সর্বোচ্চ ২২৮ ক্লিনশিটের রেকর্ডটাও তার দখলে,এমনকি ২০২ ক্লিনশিট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসেও তার নামই সবার আগে।
তবুও,ফুটবলের এক মধ্যবিত্ত দেশে জন্ম নিয়েছিলেন বলে বুফন, ক্যাসিয়াস, ভালদেজদের মত সমসাময়িকদের মত তার নাম খুব একটা উচ্চারিত হয়না। চেক প্রজাতন্ত্র ও আধুনিক ফুটবলের অন্যতম সেরা এই গোলরক্ষক, মধ্যবিত্ত চেক প্রজাতন্ত্রে জন্ম নিয়েও যিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বড় ফুটবলার হওয়ার, যার নামটাই দেশের নামে, তার পরিচয়টাও সেই দেশের জন্যে অনেকটাই ঢাকা পরে গেছে।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া
- 0 মন্তব্য