• ক্রিকেট

মুস্তাফিজুর রহমানকে টি-টোয়েন্টিতে নেওয়া আত্মহত্যার সামিল?

পোস্টটি ৩২২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

1664614075593বাংলাদেশের কাটারমাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমানের সমাদৃত বিশ্ব ক্রিকেটে। নতুন করে ক্রিকেটের মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছে তার বোলিং এ। সাকিব আল হাসানের পর মুস্তাফিজুর রহমানই একজন যিনি আইপিএলএর মত বড় আসরে নিজের জাত বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে বর্তমান বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি বরবারই ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছেন। সামনের ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপ দেশের মাটিতে হওয়ায় মুস্তাফিজকে নিয়ে বাড়তি চিন্তায় মগ্ন বিসিবি।

 

মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের হয়ে সর্বমোট ম্যাচ খেলেছে ৭২ টা। সর্বমোট ওভার করেছে ২৫৪.৪।  সর্বোমোট রান দিয়েছেন ১৯৬৯।  সর্বোমোট উইকেট নিয়েছেন ৯৪ টি। সর্বোমোট এভারেজ ২০.৯৫,  ইকোনোমিক রেট ৭.৭৩।

তবে হোম সিরিজ আর অ্যাওয়ে সিরিজের পার্থক্য দেখলেই বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হবে৷ 

হোম- এ ৩৪ ম্যাচ খেলে ৭৯০ রান দেওয়ার বিপরীতে উইকেট তুলেছেন ৪৬ টি। এভারেজ ১৭.১৭, অ্যাওয়ে সিরিজে ৩৮টি ম্যাচের বিপরীতে ১১৭৯ রান দেওয়ার বদৌলতে উইকেট তুলেছেন ৪৮টি, এভারেজ ২৪.৫৬।  পার্থক্যটা পরিষ্কার। দেশীয় মাঠগুলোতে মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার কাজে আসে, কিন্তু বাইরের দেশে কাটার কাজে আসে নাহ। তাই দেশের বাইরে তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলা অতি স্বাভাবিক।  

এখন কথা হলো বাইরের দেশের উইকেটে কেন খারাপ করছে তার কিছু কারণ :- 

দেশের উইকেট খুবই স্লো। স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। তাই যেকোনো স্পিনারের বলের টার্ন ভালো থাকে৷ কাটার বল যেহেতু ড্রপ খাওয়ার পর টার্ন হয়, তাই দেশের স্লো উইকেটে এসব বল খেলা অস্বস্তিদায়ক এবং কষ্টসাধ্য।  কিন্ত বাইরের দেশের উইকেট গুলো খুবই ব্যাটিং সহায়ক হওয়ায় ক্রিজ অসম্ভব ফাস্ট হয়ে থাকে, তাই টার্ন খাওয়ার সুযোগ থাকে না বললেই চলে। এবং সে ক্ষেত্রেই মুস্তাফিজুর রহমানের বল গুড লেন্হে পড়ে না ঘুরে সরাসরি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লাগতে সহজ হয়। যেহেতু মুস্তাফিজ ১৩৫-১৪৫ এ বল করে, বাইরের দেশে প্লেয়াররা বোলিং- এর স্পিডকে কাজে লাগিয়ে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি বের করে নিচ্ছে। তাই ফ্লাট উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের বল কার্যকরী না বললেই চলে।

 

সামনের ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতে। এসব জায়গার উইকেট সর্বাত্মক কম্পিটেটিভ উইকেট হয়, তাই যাদের পেস এবং সুইং আছে তাদের বলিং- ই  কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজকে নেওয়াটা একটা বিরাট লস প্রজেক্ট হবে।  মুস্তাফিজুর রহমান -এর ভ্যারিয়েশন প্রয়োজন যা দিয়ে পরাস্ত করতে পারবে অপোনেন্ট ব্যাটারদের৷ তাছাড়া তার আর উপায়ন্তর নেই।  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মাঠে নামার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে স্কোয়াড সাজালে আমরা নতুন বাংলাদেশকে দেখবো হয়তো।